মালদা, 3 ফেব্রুয়ারি: দেশের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে উড়ান শুরু করল তুলনায় নবীন, মালদার গনি খান ইন্সটিটিইউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (MoU signed on drone and Robotics)৷ ডোরোটিক্স (ড্রোন এবং রোবটিক্স) নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানে হয়ে গেল দু’দিনের একটি কনক্লেভ ৷
কনক্লেভে অংশ নেন চেন্নাইয়ের জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানী রঞ্জনা ভাস্কর এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ইন্টারন্যাশনাল এভিয়েশন গেমস বোর্ডের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর আশু গুপ্তা ৷ ছিলেন জিকেসিআইইটির ডিরেক্টর পরমেশ্বর রাও আলাপতিও ৷ এই কনক্লেভে ড্রোন এবং রোবট নিয়ে গবেষণা ও প্রশিক্ষণের জন্য ইন্টারন্যাশনাল এভিয়েশন গেমস বোর্ডের সঙ্গে জিকেসিআইইটির একটি মউ চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে ৷
কনক্লেভের দ্বিতীয় দিন জিকেসিআইইটির ডিরেক্টর পরমেশ্বর রাও আলাপতি বলেন, “এই কনক্লেভে আমরা অ্যাকাডেমিক, ইন্ডাস্ট্রি, কর্পোরেট সংস্থাগুলির সঙ্গে আর্মড ফোর্স, প্যারামিলিটারি ফোর্স ও পুলিশের সঙ্গে ড্রোন এবং রোবোটিক্স নিয়ে আলোচনা করেছি ৷ এই দুটি ক্ষেত্রে দেশের বর্তমান অবস্থা ঠিক কোথায়, আমাদের কী কী সমস্যা রয়েছে, সব কিছু নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে ৷ আলোচনা থেকে আমরাও অনেক ধারণা পেয়েছি ৷"
তিনি বলেন, "রোবটিক্স, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ডেটা সায়েন্সের উপর অনেক গবেষণা চলছে ৷ জিকেসিআইইটি ছোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৷ সবেমাত্র পথ চলা শুরু করেছে ৷ এখানে রোবোটিক্স নিয়ে সামান্য পড়াশোনা করানো হয় ৷ কিন্তু আমরা চাইছি, এই প্রতিষ্ঠানে রোবোটিক্স নিয়ে বিশদে গবেষণা হোক ৷ এর জন্য বিআইএজির সঙ্গে আমাদের একটি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ৷ আমরা আনন্দিত, এই রাজ্যে বিআইএজির সঙ্গে আমরাই প্রথম যুক্ত হলাম ৷”
আরও পড়ুন: বিশেষভাবে সক্ষম মেয়েকে খাইয়ে দিতে 'মা রোবট' বানালেন গোয়ার দিনমজুর
বিআইএজির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর আশু গুপ্তা বলেন, “ন্যাশনাল বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী আমরা যে কোনও রাজ্যে সর্বাধিক চারটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি ৷ পশ্চিমবঙ্গে আমরা প্রথমে জিকেসিআইইটির সঙ্গে যুক্ত হলাম ৷ ড্রোন ও রোবটিক্স গবেষণায় আমরা অ্যাপেক্স বডি ৷ এ বছর থেকেই আন্তর্জাতিক ডোরোটিক্স প্রতিযোগিতায় ভারত অংশগ্রহণ করছে ৷ আমরা বিভিন্ন প্রজেক্টের সঙ্গে প্রতিযোগিতাতেও অংশগ্রহণ করি ৷ এ সব প্রজেক্টের মধ্যে ডোরোটিক্স ছাড়া আরও দুটি বিষয় রয়েছে ৷"
তিনি আরও বলেন, "বর্তমানে ড্রোন এবং রোবোটিক্স সারা বিশ্বে সমাদৃত ৷ প্রতিটি বড় কোম্পানি, এমনকী সরকারি সংস্থাগুলিও ডোরোটিক্স নিয়ে কাজ করছে ৷ কিন্তু এই দেশে ডোরোটিক্স নিয়ে পঠনপাঠন কিংবা গবেষণা অনেক পরে শুরু হয়েছে ৷ 2016 সালে বাহরিনে একটি রোবটকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল ৷ তার মানে তারও 10 বছর আগে ইরান রোবট তৈরি করেছিল ৷ কিন্তু এ দেশে এখনও রোবট তৈরি হয়নি ৷ আমরা বিভিন্ন রাজ্যে কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে যুক্ত হয়ে ড্রোন ও রোবটিক্সে উৎসাহী পড়ুয়াদের খোঁজ চালাচ্ছি ৷ প্রথমে আমরা জিকেসিআইইটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছি ৷ কারণ, 2021 সালে প্রথম জাতীয় ড্রোন প্রতিযোগিতায় এই প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা দ্বিতীয় হয়েছিল ৷”
অনুমান করা হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ড্রোন ও রোবটিক্স ইন্ডাস্ট্রিতে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতরের অনুমান, এই মুহূর্তে এই ইন্ডাস্ট্রির বাজার বার্ষিক 80 কোটি টাকা হলেও 2026 সালের মধ্যে সেই বাজার 12 থেকে 15 হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে যাবে ৷