মালদা, 6 জুলাই : জেলে বসেই মাদকের কারবার সামলাচ্ছে চক্রের পান্ডা ! বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধারের পর এমনই তথ্য জানতে পেরেছেন রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) সদস্যরা ৷ মালদার ইংরেজবাজারের এক অভিযান থেকেই সামনে এসেছে এই সূত্র ৷
আরও পড়ুন : শিলিগুড়িতে দু’টি পৃথক অভিযানে 25 লাখ টাকার গাঁজা এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের কাছে খবর ছিল, কোচবিহার থেকে দুই মাদক কারবারি বিপুল পরিমাণ গাঁজা নদিয়ায় নিয়ে যাওয়ার ছক কষেছে ৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এসটিএফের একটি দল মঙ্গলবার ভোর রাতে ইংরেজবাজারের বাধাপুকুর মোড়ে ওঁৎ পেতে থাকে ৷ ঘণ্টা খানেক অপেক্ষার পর নির্দিষ্ট নম্বরের গাড়ি দেখতে পেয়েই সেটিকে আটক করেন এসটিএফ কর্মীরা ৷ সওয়ারিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে গাড়িতে তল্লাশি চালান তাঁরা ৷ গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ছ’টি গাঁজাভর্তি বস্তা ৷ গ্রেফতার করা হয় ওই দুই মাদক কারবারিকে।
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সাবির মন্ডল (25) ও বাবুন মন্ডল (28) ৷ তারা দুজনেই উত্তর 24 পরগনার হাবড়া কাশীপুরের বাসিন্দা ৷ ধৃতদের কাছ থেকে মোট 201 কেজি 486 গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে ৷ যার আনুমানিক বাজারদর 6 লাখ টাকা।
আরও পড়ুন : শিলিগুড়িতে জোড়া অভিযান, বিপুল মাদক-সহ গ্রেফতার 6
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানিয়েছে, কোচবিহার থেকে ছ’টি গাঁজার বস্তা রানাঘাটে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাদের উপর ৷ তারা নদিয়ার চকদা এলাকার বাসিন্দা শ্রীবাস হালদারের জন্য কাজ করে বলেও জানিয়েছে ধৃত দুই মাদক পাচারকারী ৷
সূত্রের খবর, এই শ্রীবাস বর্তমানে হাওয়া জেলা সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছে ৷ এই তথ্য হাতে আসার পরই একাধিক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এসটিএফ আধিকারিকদের মনে ৷ তবে কি জেল থেকেই মাদক পাচার চক্র নিয়ন্ত্রণ করছে শ্রীবাস ? তাহলে জেলের বাইরে থেকে কারা মদত দিচ্ছে তাকে? এই ঘটনার সঙ্গে কি কোনও আন্তঃরাজ্য মাদক পাচার চক্রের যোগ রয়েছে ? ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছে এসটিএফ ৷