ETV Bharat / state

১৪ লাখের জমি কেনা হল ৩৫ লাখে ! হিমঘরে দুর্নীতি - cold storage

ভোটের মুখে পুরাতন মালদার আদিনা হিমঘর সমবায় সমিতিতে লাখ লাখ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ পেয়ে সমবায় দপ্তরের পক্ষ থেকে তদন্তে যাওয়া হলেও তদন্ত কমিটিকে এড়িয়ে গেলেন সমিতির শীর্ষকর্তারা। যদিও এই বিষয়ে আদিনা হিমঘর পরিচালিত সমিতির কোনও শীর্ষকর্তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

আদিনা হিমঘর
author img

By

Published : Mar 17, 2019, 10:33 AM IST

মালদা, ১৭ মার্চ : বরফে জ্বলল আগুন ! ভোটের মুখে পুরাতন মালদার আদিনা হিমঘর সমবায় সমিতিতে লাখ লাখ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ পেয়ে সমবায় দপ্তরের পক্ষ থেকে তদন্তে যাওয়া হলেও তদন্ত কমিটিকে এড়িয়ে গেলেন সমিতির শীর্ষকর্তারা। যদিও এই বিষয়ে আদিনা হিমঘর পরিচালিত সমিতির কোনও শীর্ষকর্তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

পুরাতন মালদা ব্লকের মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মালদা জেলার সবচেয়ে বড় হিমঘরটি সমবায় সমিতি পরিচালিত। যার সদস্য সংখ্যা ৫৬। বর্তমানে এই হিমঘরে ৩টি ইউনিট রয়েছে। চতুর্থ আরেকটি ইউনিট তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। চতুর্থ ইউনিটটি নিয়েই সদস্যদের ৪১ জন অভিযোগ তুলেছেন। তাঁরা নিজেদের লিখিত অভিযোগপত্র জেলা সমবায় সমিতি কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে এক সদস্য বিশ্বনাথ সুকুল বলেন, "৬ মাস আগে হিমঘর সমিতির সভায় চতুর্থ ইউনিট তৈরির প্রস্তাব গৃহীত হয়। গত ২৭ জানুয়ারি ফের সভা ডাকা হয়েছিল। সেই সভায় আমরা জানতে চাই, চতুর্থ ইউনিটটি কোথায় তৈরি হবে। কিন্তু সেই সভা চলাকালীন সমিতির চেয়ারম্যান কিংবা অন্য কোনও শীর্ষকর্তা কোনও উত্তর দেননি। সভা শেষ হওয়ার মুহূর্তে চেয়ারম্যান বলেন, ওই ইউনিটটি স্থানীয় মকরমদিঘি এলাকায় তৈরি করা হবে। আমরা মকরমদিঘিতে ওই ইউনিট তৈরির বিরোধিতা করি। বেশিরভাগ সদস্যই জানিয়ে দেন, মকরমদিঘি এলাকায় রাস্তা অপ্রশস্ত। বরং ওই ইউনিটটি চন্দ্রাইল গ্রামে তৈরি করলে ভালো হয়। কারণ সেখানে জমির অবস্থান ভালো। এইনিয়ে সভায় কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও পরবর্তীতে চেয়ারম্যান নিজের খেয়ালখুশি মতো মকরমদিঘিতে প্রায় ৭ বিঘা জায়গা কিনে ফেলেন। সেই জায়গার ভ্যালুয়েশন ১৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা। অথচ সেই জায়গা কেনা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকায়। এই বাড়তি টাকা কেন খরচ করা হবে তা নিয়ে হিমঘরের বেশিরভাগ সদস্য প্রশ্ন তোলেন। এই বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগের তদন্তে সরকারি প্রতিনিধিদল হিমঘরে আসে। কিন্তু হিমঘরের চেয়ারম্যান, সম্পাদক, এমন কী ম্যানেজার সহ কোনও বোর্ড সদস্য তদন্তকারী দলের সামনে উপস্থিত হননি। তাঁরা পালিয়ে গেছেন। গোটা ঘটনায় ব্যাপক দুর্নীতি রয়েছে। সেই কারণেই বোর্ড সদস্যদের কেউ আজ তদন্তে সহযোগিতা করেননি। এখানে আলুর বস্তা বিতরণ নিয়েও দুর্নীতি রয়েছে। সরকারি আধিকারিকরা আগামী সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় ফের তদন্তে আসবেন বলে চিঠি করেছেন।"

তদন্ত চলাকালীন হিমঘরে উপস্থিত হিসাবরক্ষক সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, "আজ হিমঘরে তদন্ত করতে এসেছিলেন সরকারি আধিকারিকরা। কিন্তু হিমঘর পরিচালন সমিতির কোনও শীর্ষকর্তা আজ ছিলেন না। হিমঘরের কোনও তথ্য আমার কাছেও নেই। তদন্তের বিষয়ে আগে জানতাম না। আমার কাছে কোনও মেইল আসেনি। এব্যাপারে চেয়ারম্যানই বলতে পারবেন।"

তদন্তকারী দলের পক্ষে জেলা সমবায় উন্নয়ন আধিকারিক সরিৎ দাস বলেন, "হিমঘরের কাজকর্মের বিষয়ে একটি অভিযোগ আমাদের কাছে জমা পড়েছিল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক ও মালদা সমবায় রেঞ্জের পক্ষ থেকে একটি তদন্তকারী দল এখানে তদন্ত করতে আসে। এই তদন্তের বিষয়ে আগে থেকেই ম্যানেজার ও অন্যান্য কর্তাদের মেইল ও মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল। যে কোনও কারণেই হোক, নথিপত্র যাঁদের হাতে থাকে তাঁরা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। ফলে আমরা তদন্তের কোনও কাজ করতে পারিনি। আগামী সোমবার ফের এই হিমঘরে তদন্তে আসব। তার লিখিত নির্দেশিকা হিমঘর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে।"

গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি সমবায় হিমঘর কর্তৃপক্ষ। চেয়ারম্যান সুজিত দাস, সম্পাদক অনিল রাজবংশী কিংবা ম্যানেজার বীরেশ রাজবংশী নিজেদের ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। তবে স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, "একমাত্র নির্বাচন এলেই হিমঘরে রাজনৈতিক দলগুলির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। তারপর সব দলই এক হয়ে যায়। এক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। এই হিমঘরের বোর্ড সদস্যদের মধ্যে বাম, কংগ্রেস, তৃণমূল, সব দলেরই লোক রয়েছে। এই সব দুর্নীতির বিষয় নিয়ে আমার কিছু জানা নেই।"

মালদা, ১৭ মার্চ : বরফে জ্বলল আগুন ! ভোটের মুখে পুরাতন মালদার আদিনা হিমঘর সমবায় সমিতিতে লাখ লাখ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ পেয়ে সমবায় দপ্তরের পক্ষ থেকে তদন্তে যাওয়া হলেও তদন্ত কমিটিকে এড়িয়ে গেলেন সমিতির শীর্ষকর্তারা। যদিও এই বিষয়ে আদিনা হিমঘর পরিচালিত সমিতির কোনও শীর্ষকর্তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

পুরাতন মালদা ব্লকের মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মালদা জেলার সবচেয়ে বড় হিমঘরটি সমবায় সমিতি পরিচালিত। যার সদস্য সংখ্যা ৫৬। বর্তমানে এই হিমঘরে ৩টি ইউনিট রয়েছে। চতুর্থ আরেকটি ইউনিট তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। চতুর্থ ইউনিটটি নিয়েই সদস্যদের ৪১ জন অভিযোগ তুলেছেন। তাঁরা নিজেদের লিখিত অভিযোগপত্র জেলা সমবায় সমিতি কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে এক সদস্য বিশ্বনাথ সুকুল বলেন, "৬ মাস আগে হিমঘর সমিতির সভায় চতুর্থ ইউনিট তৈরির প্রস্তাব গৃহীত হয়। গত ২৭ জানুয়ারি ফের সভা ডাকা হয়েছিল। সেই সভায় আমরা জানতে চাই, চতুর্থ ইউনিটটি কোথায় তৈরি হবে। কিন্তু সেই সভা চলাকালীন সমিতির চেয়ারম্যান কিংবা অন্য কোনও শীর্ষকর্তা কোনও উত্তর দেননি। সভা শেষ হওয়ার মুহূর্তে চেয়ারম্যান বলেন, ওই ইউনিটটি স্থানীয় মকরমদিঘি এলাকায় তৈরি করা হবে। আমরা মকরমদিঘিতে ওই ইউনিট তৈরির বিরোধিতা করি। বেশিরভাগ সদস্যই জানিয়ে দেন, মকরমদিঘি এলাকায় রাস্তা অপ্রশস্ত। বরং ওই ইউনিটটি চন্দ্রাইল গ্রামে তৈরি করলে ভালো হয়। কারণ সেখানে জমির অবস্থান ভালো। এইনিয়ে সভায় কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও পরবর্তীতে চেয়ারম্যান নিজের খেয়ালখুশি মতো মকরমদিঘিতে প্রায় ৭ বিঘা জায়গা কিনে ফেলেন। সেই জায়গার ভ্যালুয়েশন ১৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা। অথচ সেই জায়গা কেনা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকায়। এই বাড়তি টাকা কেন খরচ করা হবে তা নিয়ে হিমঘরের বেশিরভাগ সদস্য প্রশ্ন তোলেন। এই বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগের তদন্তে সরকারি প্রতিনিধিদল হিমঘরে আসে। কিন্তু হিমঘরের চেয়ারম্যান, সম্পাদক, এমন কী ম্যানেজার সহ কোনও বোর্ড সদস্য তদন্তকারী দলের সামনে উপস্থিত হননি। তাঁরা পালিয়ে গেছেন। গোটা ঘটনায় ব্যাপক দুর্নীতি রয়েছে। সেই কারণেই বোর্ড সদস্যদের কেউ আজ তদন্তে সহযোগিতা করেননি। এখানে আলুর বস্তা বিতরণ নিয়েও দুর্নীতি রয়েছে। সরকারি আধিকারিকরা আগামী সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় ফের তদন্তে আসবেন বলে চিঠি করেছেন।"

তদন্ত চলাকালীন হিমঘরে উপস্থিত হিসাবরক্ষক সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, "আজ হিমঘরে তদন্ত করতে এসেছিলেন সরকারি আধিকারিকরা। কিন্তু হিমঘর পরিচালন সমিতির কোনও শীর্ষকর্তা আজ ছিলেন না। হিমঘরের কোনও তথ্য আমার কাছেও নেই। তদন্তের বিষয়ে আগে জানতাম না। আমার কাছে কোনও মেইল আসেনি। এব্যাপারে চেয়ারম্যানই বলতে পারবেন।"

তদন্তকারী দলের পক্ষে জেলা সমবায় উন্নয়ন আধিকারিক সরিৎ দাস বলেন, "হিমঘরের কাজকর্মের বিষয়ে একটি অভিযোগ আমাদের কাছে জমা পড়েছিল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক ও মালদা সমবায় রেঞ্জের পক্ষ থেকে একটি তদন্তকারী দল এখানে তদন্ত করতে আসে। এই তদন্তের বিষয়ে আগে থেকেই ম্যানেজার ও অন্যান্য কর্তাদের মেইল ও মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল। যে কোনও কারণেই হোক, নথিপত্র যাঁদের হাতে থাকে তাঁরা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। ফলে আমরা তদন্তের কোনও কাজ করতে পারিনি। আগামী সোমবার ফের এই হিমঘরে তদন্তে আসব। তার লিখিত নির্দেশিকা হিমঘর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে।"

গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি সমবায় হিমঘর কর্তৃপক্ষ। চেয়ারম্যান সুজিত দাস, সম্পাদক অনিল রাজবংশী কিংবা ম্যানেজার বীরেশ রাজবংশী নিজেদের ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। তবে স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, "একমাত্র নির্বাচন এলেই হিমঘরে রাজনৈতিক দলগুলির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। তারপর সব দলই এক হয়ে যায়। এক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। এই হিমঘরের বোর্ড সদস্যদের মধ্যে বাম, কংগ্রেস, তৃণমূল, সব দলেরই লোক রয়েছে। এই সব দুর্নীতির বিষয় নিয়ে আমার কিছু জানা নেই।"

Intro:মালদা, ৭ মার্চ : এবারের লোকসভা ভোটে উত্তর মালদা কেন্দ্র কংগ্রেসের কাছে অগ্নিপরীক্ষা৷ আজ সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন দক্ষিণ মালদার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি (ডালু মিঞা)৷ আজও তিনি দাবি করেছেন, উত্তর মালদায় তাঁর ছেলে ইশা খান চৌধুরিই প্রার্থী হতে চলেছেন৷ যদিও ওই কেন্দ্রের জন্য প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আরও কিছু নাম এআইসিসিতে পাঠানো হয়েছে৷ ওই তালিকায় রয়েছে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলমের নামও৷ এদিকে এবার উত্তর মালদা কেন্দ্রকে পাখির চোখ করেছে বিজেপিও৷ দলের জেলা সভাপতি আজ দাবি করেছেন, ওই কেন্দ্র বিজেপির হাত থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না৷ অর্থাৎ, ডঙ্কা বাজার আগেই ভোটবাজার মাতিয়ে দিয়েছে উত্তর মালদা৷ Body:         গতকালই ডালু মিঞা জানিয়েছিলেন, উত্তর মালদা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে ইশা খান চৌধুরির নাম ঘোষণা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা৷ আজ সেই অবস্থান থেকে যেন কিছুটা সরে এসেছেন দক্ষিণ মালদার সাংসদ৷ জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে এসে তিনি উপস্থিত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ওই কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা প্রদেশের তরফ থেকে এআইসিসিতে পাঠানো হয়েছে৷ তালিকায় প্রথমে নাম রয়েছে ইশার৷ তবে সেখানে মোস্তাক আলম, আলবেরুণি জুলকারনাইন সহ আরও ২-৩ জনের নাম রয়েছে৷ তিনি নিশ্চিত, ওই কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী হিসাবে ইশা খানের নামই ঘোষিত হতে চলেছে৷ তবে ওই কেন্দ্রে এবার লড়াইটা যে সহজ নয়, তা মেনে নিয়েছেন পোড় খাওয়া এই রাজনীতিবিদ্৷
         আজ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন ডালুবাবু৷ সিপিএমের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি৷ বলেন, "সিপিএম বলছে, যেসব জায়গায় কংগ্রেস জিতেছিল, সেই জায়গাগুলিতে ওরা কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থন করবে৷ সেই হিসাবে মালদায় সিপিএমের প্রার্থী থাকছে না৷ তবে এনিয়ে রাজ্য স্তরে আলোচনা হলেও জেলাস্তরে সিপিএমের সঙ্গে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি৷ রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসনেও জেতার মতো শক্তি নেই সিপিএমের৷ বরং ওই দুই আসনে কংগ্রেস সিপিএমের তুলনায় বেশি শক্তিশালী৷ তাই ওই দুই আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দেওয়া হলে আমরা জিতে যাব৷ রায়গঞ্জ আসনে আমরা গতবার সামান্য ভোটে হেরেছিলাম৷ সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে৷ আর মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে আমাদের প্রার্থী হবেন আবু হেনা৷ তিনি শক্তিশালী প্রার্থী৷ তবে এই বিষয়ে এখনও কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে সীতারাম ইয়েচুরির কথাবার্তা চলছে৷ এনিয়ে অবশ্য রাহুল গান্ধিই শেষ কথা বলবেন৷"
Conclusion:         এদিকে উত্তর মালদা কেন্দ্রে নিজেদের জয়ের ব্যাপারে এখনই নিশ্চিত বিজেপি৷ গাজোলে দলীয় প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমকে দলের জেলা সভাপতি সঞ্জিৎ মিশ্র আজ বলেন, "পঞ্চায়েত নির্বাচনের ছবি দেখার পর মানুষের মনে এখন একটাই প্রশ্ন, ভোটটা দিতে পারব তো? আমি সবাইকে আশ্বস্ত করে বলছি, শুধু ভোট দেওয়া নয়, তৃণমূল এবার কতটা ভোট করাতে পারবে তা নিয়েই সন্দেহ থাকবে৷ কারণ, তাদের সমাজবিরোধীরা সবাই জেলে চলে যাবে৷ আর উত্তর মালদা কেন্দ্রে মৌসম যেদিন তৃণমূলে গেছেন, সেদিনই তিনি নিজের হার নিশ্চিত করে দিয়েছেন৷ কংগ্রেসে যারা তাঁর অন্ধ ভক্ত ছিল, তারাও এখন বলছে, মৌসমকে হারানোর জন্য যা করতে হয় তা করা হবে৷ সেকারণেই এখন সংখ্যালঘু মানুষরা দলে দলে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে৷ সেই মানুষজনের একটাই কথা, তারা কিছু চায় না৷ কিন্তু যে কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, যে গণি খান চৌধুরির নাম করে ভোটে জিতে এখন বলছে, গণি খান আর তাঁর আদর্শ নয়, এখন তাঁর আদর্শ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাকে হারাতে হবে৷ আসলে যেদিন মৌসম এসব কথা বলেছেন, সেদিনই তিনি নিজের কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতে ফেলেছেন৷ এই আসনে কেউ আমাদের হারাতে পারবে না৷" কংগ্রেসের পক্ষে উত্তর মালদা কেন্দ্রে রাহুল গান্ধির নির্বাচনি সভা প্রসঙ্গে সঞ্জিতবাবুর বক্তব্য, "রাহুল গান্ধিকে নিয়ে কে যে সিরিয়াস, তা আমি জানি না৷ রাহুল গান্ধি সভা করতে আসলে বরং আমাদের ভালো হবে৷ রাহুল গান্ধি কী বলেন, আর কী বোঝেন, আমি জানি না৷ তাঁর আসা আর না আসায় ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না৷ শুধু রাহুল গান্ধি কেন, কোনও গান্ধিই এই আসন বিজেপির হাত থেকে কাড়তে পারবে না৷"

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.