ETV Bharat / state

ক্ষোভ নয়, কোয়ারানটিন সেন্টারের ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট মালদার পরিযায়ীরা

ক্ষোভ নয়, কোয়ারানটিন সেন্টারের পরিষেবায় খুশী মালদা জেলার পরিযায়ী শ্রমিকেরা৷ পুরাতন মালদার মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মহাদেবপুর পিপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোয়ারানটিন সেন্টার থেকে 14 জন পরিযায়ী শ্রমিকেরা আজ বাড়ি ফিরলেন৷

Malda quarantine center
কোয়ারানটিন সেন্টার থেকে বাড়ি ফিরলেন 14 জন পরিযায়ী শ্রমিক
author img

By

Published : May 31, 2020, 8:19 PM IST

মালদা, 31 মে : মালদা জেলার বিভিন্ন কোয়ারানটিন সেন্টার নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন অনেকেই ৷ কিন্তু, পুরাতন মালদার মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মহাদেবপুর পিপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোয়ারানটিন সেন্টারের ছবিটা একেবারেই উলটো ৷ ১৪ দিন কাটিয়ে আজ সেখান থেকে বাড়ি ফিরেছেন ৪৮ জন পরিযায়ী শ্রমিক ৷ কোয়ারানটিন সেন্টারে যথাযথ পরিষেবার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েতকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তাঁরা ৷

সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে ফেরেন মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৪৮ জন শ্রমিক৷ তাঁদের মধ্যে কয়েকজন মহিলাও ছিলেন৷ নাসিকে তাঁরা আঙুর খেতে কাজ করতেন৷ লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় কাজ৷ নিজেদের উদ্যোগে কোনওরকমে জেলায় ফিরে আসেন তাঁরা৷ এলাকায় ফেরার পরেই সরকারি নির্দেশিকা মেনে তাঁদের সবাইকে সরকারি কোয়ারানটিনে পাঠায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসন৷ স্থানীয় মহাদেবপুর পিপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁদের রাখা হয়৷ ১৪ দিন সেখানে কাটানোর পর আজ তাঁরা সবাই বাড়ি ফিরেছেন৷ প্রশাসনের নির্দেশ মেনে তাঁরা আরও সাতদিন হোম কোয়ারানটিনে থাকবেন৷

কোয়ারানটিনে থাকা শ্রমিকদের বক্তব্য, এই সেন্টারে যথেষ্ট ভালো ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ ঘুমোনোর জন্যও ছিল খুব ভালো ব্যবস্থা৷ প্রতিদিন চারবেলা করে পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার দেওয়া হতো বলেও জানান তাঁরা৷ নিয়ম মেনে তাঁদের প্রত্যেকের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে৷ সেন্টারে থাকলেও তাঁরা যে বাড়ির বাইরে রয়েছেন তা কখনও বুঝতে পারেননি বলে জানান শ্রমিকেরা৷

মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শুভলক্ষ্মী গায়েন বলেন, ‘’এই শ্রমিকরা নাসিক থেকে ফেরার পর কোয়ারানটিন সেন্টারে ১৪ দিন কাটিয়েছেন৷ সেন্টারে থাকাকালীন তাঁদের কারোর শরীরে কোরোনা উপসর্গ ধরা পড়েনি৷ আজ তাঁরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন৷ তাঁরা আরও সাতদিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন৷ পরিযায়ীদের জন্য আমরা সবরকম ব্যবস্থা করেছিলাম৷ ভবিষ্যতেও সেই ব্যবস্থা করা হবে৷’’

উল্লেখ্য, মালদা জেলার সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টারের বিরুদ্ধে বার বার অভিযোগ তুলেছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা৷ খাবার পানীয় জলের ব্যবস্থা ঠিকমতো করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন শ্রমিকেরা৷ জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বাসি ও পচা খাবার দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ এপ্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর কোয়ারানটিন সেন্টার থেকে বেরিয়ে ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখায় পরিযায়ী শ্রমিকরা৷ মোথাবাড়ি এলাকায় এক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা পরিযায়ীরা অভিযোগ করেন, নিম্নমানের খাবারের প্রতিবাদ করায় তাঁদের খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে ৷

মালদা, 31 মে : মালদা জেলার বিভিন্ন কোয়ারানটিন সেন্টার নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন অনেকেই ৷ কিন্তু, পুরাতন মালদার মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মহাদেবপুর পিপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোয়ারানটিন সেন্টারের ছবিটা একেবারেই উলটো ৷ ১৪ দিন কাটিয়ে আজ সেখান থেকে বাড়ি ফিরেছেন ৪৮ জন পরিযায়ী শ্রমিক ৷ কোয়ারানটিন সেন্টারে যথাযথ পরিষেবার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েতকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তাঁরা ৷

সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে ফেরেন মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৪৮ জন শ্রমিক৷ তাঁদের মধ্যে কয়েকজন মহিলাও ছিলেন৷ নাসিকে তাঁরা আঙুর খেতে কাজ করতেন৷ লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় কাজ৷ নিজেদের উদ্যোগে কোনওরকমে জেলায় ফিরে আসেন তাঁরা৷ এলাকায় ফেরার পরেই সরকারি নির্দেশিকা মেনে তাঁদের সবাইকে সরকারি কোয়ারানটিনে পাঠায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসন৷ স্থানীয় মহাদেবপুর পিপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁদের রাখা হয়৷ ১৪ দিন সেখানে কাটানোর পর আজ তাঁরা সবাই বাড়ি ফিরেছেন৷ প্রশাসনের নির্দেশ মেনে তাঁরা আরও সাতদিন হোম কোয়ারানটিনে থাকবেন৷

কোয়ারানটিনে থাকা শ্রমিকদের বক্তব্য, এই সেন্টারে যথেষ্ট ভালো ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ ঘুমোনোর জন্যও ছিল খুব ভালো ব্যবস্থা৷ প্রতিদিন চারবেলা করে পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার দেওয়া হতো বলেও জানান তাঁরা৷ নিয়ম মেনে তাঁদের প্রত্যেকের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে৷ সেন্টারে থাকলেও তাঁরা যে বাড়ির বাইরে রয়েছেন তা কখনও বুঝতে পারেননি বলে জানান শ্রমিকেরা৷

মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শুভলক্ষ্মী গায়েন বলেন, ‘’এই শ্রমিকরা নাসিক থেকে ফেরার পর কোয়ারানটিন সেন্টারে ১৪ দিন কাটিয়েছেন৷ সেন্টারে থাকাকালীন তাঁদের কারোর শরীরে কোরোনা উপসর্গ ধরা পড়েনি৷ আজ তাঁরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন৷ তাঁরা আরও সাতদিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন৷ পরিযায়ীদের জন্য আমরা সবরকম ব্যবস্থা করেছিলাম৷ ভবিষ্যতেও সেই ব্যবস্থা করা হবে৷’’

উল্লেখ্য, মালদা জেলার সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টারের বিরুদ্ধে বার বার অভিযোগ তুলেছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা৷ খাবার পানীয় জলের ব্যবস্থা ঠিকমতো করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন শ্রমিকেরা৷ জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বাসি ও পচা খাবার দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ এপ্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর কোয়ারানটিন সেন্টার থেকে বেরিয়ে ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখায় পরিযায়ী শ্রমিকরা৷ মোথাবাড়ি এলাকায় এক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা পরিযায়ীরা অভিযোগ করেন, নিম্নমানের খাবারের প্রতিবাদ করায় তাঁদের খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.