ETV Bharat / state

বাম-কংগ্রেসের বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইকে RSS-এর ভাষায় বলে লাভজেহাদ : সেলিম

"ভদ্রলোকের চুক্তিতে জেতা আসন ছেড়ে দেওয়া যায় না।" কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আজ এই মন্তব্য করলেন রায়গঞ্জের সাংসদ, CPI(M)-এর পলিটবিওরো সদস্য মহম্মদ সেলিম।

মহম্মদ সেলিম
author img

By

Published : Mar 8, 2019, 7:54 PM IST

মালদা, ৮ মার্চ : "ভদ্রলোকের চুক্তিতে জেতা আসন ছেড়ে দেওয়া যায় না।" কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আজ এই মন্তব্য করলেন রায়গঞ্জের সাংসদ, CPI(M)-এর পলিটবিওরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। মালদা জেলা কমিটির সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করতে আজ তিনি মালদায় আসেন।

লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের মালদা জেলা কমিটির এই বৈঠক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বৈঠক শুরুর আগে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন সেলিম। তবে বৈঠক নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারেননি। বলেন, "লোকসভা ভোটে কোন আসন কে কাকে ছাড়বে তা আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক হবে। ভদ্রলোকের চুক্তিতে জেতা আসন ছেড়ে দেওয়া যায় না। কমিউনিস্ট পার্টির নিজস্ব একটি স্ট্র্যাটেজি রয়েছে। সেই স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ীই নির্বাচনী রণকৌশল ঠিক করা হবে। এনিয়ে আজ কলকাতায় বামফ্রন্টের বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকের পর বাম চেয়ারম্যান বিমান বসু রণকৌশল ঘোষণা করবেন। তবে আমাদের লক্ষ্য, দেশ থেকে BJP-কে সরিয়ে একটি ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। একই সঙ্গে এই রাজ্য থেকে তৃণমূলকে হটাতে হবে। BJP-কে সরাতে না পারলে দেশে যেমন একটা ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠন সম্ভব নয়, তেমনই BJP-র দোসর তৃণমূলকে রাজ্য থেকে না সরাতে পারলে পশ্চিমবঙ্গকেও রক্ষা করা সম্ভব নয়। এরা ভাষা ও জনগোষ্ঠীর নামে বিভাজন তৈরি করছে। সব শেষ করে দিচ্ছে।" সেলিমের মন্তব্য, "গণতন্ত্রের সমাধি রচনা করে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রদীপ জ্বালানো সম্ভব নয়। আবার ধর্মনিরপেক্ষতাকে শেষ করে গণতন্ত্র রক্ষা করা যায় না।"

সেলিম আজ বলেন, "৫০ দশকের খাদ্য আন্দোলনের সময় থেকে আমরা মোট ১৭টি দল জোট করেছি। তাই জোট রাজনীতি আমাদের কাছে নতুন নয়। কিন্তু এখন UPA, NDA জোট তৈরি করছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ভালো ফল হয়েছিল। সেই নির্বাচনে BJP-তৃণমূলের টেবিলের তলায় জোট না হলে ওরাও ক্ষমতায় আসতে পারত না। মাত্র ২ শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে এরা ক্ষমতায় এসেছে। তবে আসন্ন নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। এই নিয়ে পলিটবিওরো সহ বামফ্রন্টে আলোচনা চলছে। আজই আমাদের রণকৌশল ঘোষণা করবেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। তবে ভদ্রলোকের চুক্তি হল জেতা আসন ছেড়ে দেওয়া। গত বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুরে আমরা অনেক আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিয়েছিলাম। তবে ইসলামপুরে ওরা জোর করে প্রার্থী দেয়। এখন রায়গঞ্জ শহর ছাড়া ওই জেলায় কংগ্রেসের তেমন সংগঠন নেই৷ দাড়িভিটের ঘটনার পর ওরা একটি মিছিল পর্যন্ত করতে পারেনি।"

গতকাল দক্ষিণ মালদার সাংসদ, প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরি মন্তব্য করেছিলেন, "লোকসভা নির্বাচনে কয়েকটি আসনে বামেদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হতে পারে।" সেপ্রসঙ্গে সেলিম বলেন, "RSS-এর ভাষায় এটাকে বলে লাভজেহাদ। প্রেম ও ধর্মযুদ্ধ কখনই একসঙ্গে হয় না। কিন্তু তৃণমূল ও কংগ্রেস এখনও নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ বজায় রেখেছে।" এই অবস্থায় কংগ্রেসের সাথে লোকসভা নির্বাচনে কতটা লড়াই করা সম্ভব, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "বন্ধু কখনও বন্ধুর ঘর ভাঙায় না। এখানে মামার ঘর ভাঙিয়ে ভাগ্নিকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমন বন্ধুকে আমি অন্তত বন্ধু বলি না।"

মালদা, ৮ মার্চ : "ভদ্রলোকের চুক্তিতে জেতা আসন ছেড়ে দেওয়া যায় না।" কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আজ এই মন্তব্য করলেন রায়গঞ্জের সাংসদ, CPI(M)-এর পলিটবিওরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। মালদা জেলা কমিটির সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করতে আজ তিনি মালদায় আসেন।

লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের মালদা জেলা কমিটির এই বৈঠক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বৈঠক শুরুর আগে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন সেলিম। তবে বৈঠক নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারেননি। বলেন, "লোকসভা ভোটে কোন আসন কে কাকে ছাড়বে তা আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক হবে। ভদ্রলোকের চুক্তিতে জেতা আসন ছেড়ে দেওয়া যায় না। কমিউনিস্ট পার্টির নিজস্ব একটি স্ট্র্যাটেজি রয়েছে। সেই স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ীই নির্বাচনী রণকৌশল ঠিক করা হবে। এনিয়ে আজ কলকাতায় বামফ্রন্টের বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকের পর বাম চেয়ারম্যান বিমান বসু রণকৌশল ঘোষণা করবেন। তবে আমাদের লক্ষ্য, দেশ থেকে BJP-কে সরিয়ে একটি ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। একই সঙ্গে এই রাজ্য থেকে তৃণমূলকে হটাতে হবে। BJP-কে সরাতে না পারলে দেশে যেমন একটা ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠন সম্ভব নয়, তেমনই BJP-র দোসর তৃণমূলকে রাজ্য থেকে না সরাতে পারলে পশ্চিমবঙ্গকেও রক্ষা করা সম্ভব নয়। এরা ভাষা ও জনগোষ্ঠীর নামে বিভাজন তৈরি করছে। সব শেষ করে দিচ্ছে।" সেলিমের মন্তব্য, "গণতন্ত্রের সমাধি রচনা করে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রদীপ জ্বালানো সম্ভব নয়। আবার ধর্মনিরপেক্ষতাকে শেষ করে গণতন্ত্র রক্ষা করা যায় না।"

সেলিম আজ বলেন, "৫০ দশকের খাদ্য আন্দোলনের সময় থেকে আমরা মোট ১৭টি দল জোট করেছি। তাই জোট রাজনীতি আমাদের কাছে নতুন নয়। কিন্তু এখন UPA, NDA জোট তৈরি করছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ভালো ফল হয়েছিল। সেই নির্বাচনে BJP-তৃণমূলের টেবিলের তলায় জোট না হলে ওরাও ক্ষমতায় আসতে পারত না। মাত্র ২ শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে এরা ক্ষমতায় এসেছে। তবে আসন্ন নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। এই নিয়ে পলিটবিওরো সহ বামফ্রন্টে আলোচনা চলছে। আজই আমাদের রণকৌশল ঘোষণা করবেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। তবে ভদ্রলোকের চুক্তি হল জেতা আসন ছেড়ে দেওয়া। গত বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুরে আমরা অনেক আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিয়েছিলাম। তবে ইসলামপুরে ওরা জোর করে প্রার্থী দেয়। এখন রায়গঞ্জ শহর ছাড়া ওই জেলায় কংগ্রেসের তেমন সংগঠন নেই৷ দাড়িভিটের ঘটনার পর ওরা একটি মিছিল পর্যন্ত করতে পারেনি।"

গতকাল দক্ষিণ মালদার সাংসদ, প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরি মন্তব্য করেছিলেন, "লোকসভা নির্বাচনে কয়েকটি আসনে বামেদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হতে পারে।" সেপ্রসঙ্গে সেলিম বলেন, "RSS-এর ভাষায় এটাকে বলে লাভজেহাদ। প্রেম ও ধর্মযুদ্ধ কখনই একসঙ্গে হয় না। কিন্তু তৃণমূল ও কংগ্রেস এখনও নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ বজায় রেখেছে।" এই অবস্থায় কংগ্রেসের সাথে লোকসভা নির্বাচনে কতটা লড়াই করা সম্ভব, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "বন্ধু কখনও বন্ধুর ঘর ভাঙায় না। এখানে মামার ঘর ভাঙিয়ে ভাগ্নিকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমন বন্ধুকে আমি অন্তত বন্ধু বলি না।"

Intro:মালদা, ৭ মার্চ : এগিয়ে আসছে ভোট৷ তার আগে নিজেদের জনমোহিনী রূপ তুলে ধরতে নজিরবিহীনভাবে বার্ষিক বাজেটসভা থেকেই প্রায় ৭৬ কোটি ৭৪ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকার কাজের উদ্‌বোধন ও শিলান্যাস করলেন মালদা জেলাপরিষদের সভাধিপতি৷ এই পদ্ধতিকে সংবিধানবিরোধী বলে দাবি করেছে বিরোধীরা৷ আজ জেলাপরিষদের অতিথি আবাসে এই বাজেটসভার আয়োজন করা হয়৷ সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলাপরিষদের মেন্টর কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি, জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য সহ সদস্যরা৷Body:         মালদা জেলাপরিষদে তৃণমূল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ৷ ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাস হয়ে যায় বার্ষিক বাজেট৷ সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, আজ জেলাপরিষদের চূড়ান্ত বাজেট পাস হয়েছে৷ বাজেট অর্থের পরিমাণ ৪২২ কোটি ৬৬ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে শামিল হতে এই জেলাতেও প্রচুর প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে৷ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পানীয় জল, ছোটো ছোটো সেতু, সৌরশক্তি চালিত সাব মার্সিবল পাম্প, সোলার লাইট, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে৷ এছাড়াও সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে যে যে ক্ষেত্রে প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন, তা সবই করা হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, বাজেট পাস হওয়ার পর আজই সভা থেকে বিভিন্ন স্কিমের প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকার কাজের শিলান্যাস ও উদ্‌বোধন করা হয়েছে৷
         বাজেটসভা থেকে এই শিলান্যাস নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা৷ বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উৎপল সরকার সাফ জানিয়েছেন, "বিরোধীদের কোনও গুরুত্ব না দিয়েই আজ বাজেট পাস করানো হয়েছে৷ আজ যে ৭৬ কোটি টাকার কাজের শিলান্যাস ও উদ্‌বোধন করা হল, তার একটিও বিরোধী এলাকায় হয়নি৷ আসলে এটা ভোট পাওয়ার রাজনীতি৷ এই শিলান্যাস আর উদ্‌বোধন তো ভোট প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেও করা যেত! আমার মনে হয়, যে পদ্ধতিতে আজ ২০১৯-২০ সালের বাজেট পাস করানো হল তা আইন মেনে হয়নি৷ কিন্তু মানুষ এদের রাজনীতি পরিষ্কার বুঝে গেছে৷ আগামী লোকসভা নির্বাচনে এর ফল তৃণমূল পেয়ে যাবে৷ তবে এভাবে বাজেটসভা থেকে এরা শিলান্যাস করতেই পারে৷ কারণ, দিদি আইনকে পরোয়া করেন না৷ সংবিধানকেও মানেন না৷ উনি নিজেই সংবিধান তৈরি করেন৷" এই বাজেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেলাপরিষদের বিরোধী দলনেতা জুয়েল মুর্মুও৷ তিনি বলেন, "এই বাজেট আমাদের মনের মতো হয়নি৷ বাজেট আরও কিছু বাড়াতে হত৷ কিন্তু বাজেটের ক্ষেত্রে আমাদের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি৷ আজ আমরা বলারও কিছু সুযোগ পাইনি৷ বিরোধীদের কোনও কাজ দেওয়া হয়নি৷ বর্তমান জেলাপরিষদ বোর্ড বিরোধীদের কোনও সম্মান দেয় না৷ এটা ভোটের আগে শুধুই রাজনীতি৷ শিলান্যাস হবে, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হবে না৷"
Conclusion:         যদিও বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সভাধিপতি৷ তাঁর মন্তব্য, তাঁরা মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছেন৷ আর কাজ করলে উদ্‌বোধন করতেই হবে৷ বিরোধীরা অনেক কিছুই বলবে৷ কারণ, তারা কাজ করতে পারবে না৷ বিরোধিতা করার জন্যই তারা এসব গুরুত্বহীন কথাবার্তা বলছে৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.