মালদা, 21 অক্টোবর : পুজোর আগে মালদা শহরের বাজার ও পুজোমণ্ডপগুলি স্যানিটাইজ় করার কাজ শুরু করল দমকল বিভাগ ৷ আজ শহরের চিত্তরঞ্জন পৌরবাজার, ফোয়ারা মোড় সহ বিভিন্ন জায়গা স্যানিটাইজ় করা হয় ৷ দমকল বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর মধ্যেও এই কাজ জারি থাকবে ৷
কোরোনা আবহেই একদম দোরগোড়ায় চলে এসেছে দুর্গাপুজো ৷ আজ মহাপঞ্চমী৷ রাত পোহালেই মহাষষ্ঠীর কল্পারম্ভ শুরু হয়ে যাবে পুজোর৷ এদিকে এবার অতিমারী রুখতে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মানুষের কাছে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোনোর আবেদন জানিয়েছেন৷ একই আবেদন জানিয়েছে দুই সরকার ও প্রশাসন৷ কিন্তু তবুও গত কয়েকদিন ধরে পুজোর বাজারে প্রবল ভিড় লক্ষ করা গিয়েছে৷ এনিয়ে মালদায় এসে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উত্তরবঙ্গে কোরোনা মোকাবিলায় নিযুক্ত অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি সুশান্ত রায়৷ কোরোনা সংক্রমণ রুখতে এবার বাড়ি কিংবা পাড়াতেই মানুষকে পুজোর আনন্দ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী ও মালদা মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষ অমিত দাঁ৷ কিন্তু এরপরেও মানুষ পুজোর ক’টা দিন নিজেদের ঘর কিংবা পাড়াবন্দী করে রাখবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে৷
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চতুর্থী তিথি থেকে দমকল বিভাগ শহরের প্রতিটি বাজার, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সহ পুজোমণ্ডপগুলি প্রতিদিন স্যানিটাইজ করবে৷ সেই নির্দেশ পেতেই পথে নেমে পড়েছেন দমকলকর্মীরা৷ এপ্রসঙ্গে দমকল দপ্তরের আধিকারিক বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গতকাল থেকেই আমাদের স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে৷ শহরের প্রতিটি বাজার, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও মণ্ডপগুলি স্যানিটাইজ করা হচ্ছে৷ আজ সকালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন পৌরবাজার থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছে৷ পুজোমণ্ডপগুলিও স্যানিটাইজ করার কাজ চলছে৷ মূলত সোডিয়াম হাইপো ক্লোরাইড ও ফিনাইলের মিশ্রণ স্প্রে করা হচ্ছে৷ আপাতত আমাদের আড়াই হাজার লিটার মিশ্রণ দেওয়া হয়েছে৷ জলে গুলে সেই মিশ্রণ স্প্রে করা হচ্ছে৷”