ETV Bharat / bharat

বারামতীর 'মতি' কোন দিকে ? কাকা-ভাইপোর লড়াই হার মানাবে থ্রিলারকে

বারামতীর ভোটে লড়াই পাওয়ার বনাম পাওয়ারের। নিজের হাতের তালুর মতো চেনা কেন্দ্রে এবার ভাইপো অজিতের লড়াই কাকা আদতে শরদের সঙ্গে। শেষ হাসি কে হাসবেন ?

-baramati-assembly-constituency
অজিত ও শরদ পাওয়ার (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 3 hours ago

বারামতী, 18 নভেম্বর: ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যর 'চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়' গানটি অজিত পাওয়ার নিশ্চয় শোনেননি । তবে বারামতীর ভোট-ময়দানে গানের সারাৎসার মালুম হচ্ছে কাকাকে 'দাগা' দেওয়া অজিতের । মাত্র পাঁচ বছর আগে বারামতী বিধানসভা কেন্দ্রে 1 লক্ষ 62 হাজার ভোটের ব্যবধানে নির্বাচনে জিতে রেকর্ড করেছিলেন। আর এবার সেখানেই 'পাওয়ার-গেমে' খানিকটা হলেও ব্যাকফুটে স্থানীয়দের প্রিয় 'অজিত দাদা' ।

কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপি পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তোলে । পাল্টা দাবি করে, বিজেপি দলটাই একটা বিরাট পরিবার। এই প্রশ্নে কাকা শরদ বা ভাইপো অজিত পাওয়ার কী বলবেন তা ব্যাঙ্কের পরীক্ষায় রিজনিং বিভাগের অন্যতম কঠিন প্রশ্ন হতে পারে। কারণ, একটাই । 'পাওয়ারের' সমীকরণ পাওয়ার-পরিবার এবং রাজনৈতিক দল দুটোই ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।

আদি শঙ্করাচার্য বলেছিলেন 'কা তব কান্তা কাস্তে পুত্রা...' । মানে জগৎ সংসার কখনও কখনও এমন পরিস্থিতির সামনে মানুষকে হাজির করে যখন স্ত্রী (কান্তা)-পুত্র সম্পর্কেও নির্লিপ্ত হতে হয়। এখন পাওয়ার-পরিবারের অবস্থা অনেকটা তেমন । এবার এখানে কাকা অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে লড়ছেন ভাইপো যুগেন্দ্র পাওয়ার। যুগেন্দ্রর সবচেয়ে বড় ভরসা আবার অজিতের কাকা এবং এনসিপির প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ার। এখানেই বারামতীর লড়াই আসলে অজিত বনাম শরদের ।

পাওয়ার পরিবার

এ তো গেল রাজনীতির কুশিলবদের কথা । ভোটের এই বিভাজন ঢুকে পড়েছে অন্দরমহলে । অজিতকে সমর্থন করছেন তাঁর স্ত্রী সুনেত্রা এবং দুই বোন। যুগেন্দ্রর হয়ে ময়দানে নেমেছেন শরদ-কন্যা তথা এই বারামতীর সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। যিনি আবার সুনেত্রা পাওয়ারকে বিরাট ব্যবধানে হারিয়ে সাংসদ হয়েছেন মাস কয়েক আগে। এছাড়া তরুণ যুগেন্দ্রকে সমর্থন করেছেন শরদ-জায়া প্রতিভাও।

57 বছর আগে প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়া শরদ বলেই দিয়েছেন, অনেক হয়েছে আর না । সংসদীয় রাজনৈতিক জীবনে ইতি টানার সময় হয়ে গিয়েছে। তবে এবার তিনি দারুণ সক্রিয়। মুখে ক্যানসার, অশক্ত শরীর নিয়েই 83 বছর বয়সে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন এদিক থেকে সেদিক । রোগের জন্য কথা জড়িয়ে যায় । তবু বলছেন। পাশে আছেন স্ত্রী । এতবছরে কখনও রাজনৈতিক ময়দানে যাঁকে তেমন সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি। এবার হয়েছেন ।

কাকিমার এই বদলে যাওয়া ভাবাচ্ছে অজিতকেও । রাজ্যের পাঁচবারের উপমুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, কাকিমা কেন প্রচার করতে এসেছেন সেই প্রশ্ন ভোট মিটলে জানতে চাইবেন । আবার সুপ্রিয়া সুলে দাবি করেছেন, তাঁদের পরিবারকে ভেঙেছে বিজেপি। সেই 'মহাপাপ' থেকে বিজেপি কখনও রেহাই পাবে না ।

রাস্তায় দাঁড়িয়ে উন্নয়ন

ভৌগোলিক পরিচয় বলছে বারামতী মহকুমা শহর । কিন্তু ধারে-ভারে দেশের যে কোনও মহানগরের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিতে পারে । পরিকাঠামো হোক বা নজরকাড়া ভবনের সমাহার-বারামতীর রাস্তায় যেন উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে !

একটি সাধারণ শহরকে এই অসাধারণ উচ্চতায় কে পৌঁছে দিল ? উত্তর দিতে সময় নেবে না অমরাবতীর কোনও মহল্লা । সকলের একটাই জবাব- উন্নয়নের নেপথ্যে শরদ পাওয়ার । শুরু করেছিলেন তিনি । কাজে গতি এনেছেন ভাইপো অজিত । তাহলে এবার ওপেনিং ব্যাটার না পিঞ্চ হিটার, কাকে বেছে নেবে বারামতী ? 20 তারিখ উত্তর জমা পড়বে ইভিএমে ।

পরিসংখ্যানের চাপ আর অজিত-ফ্যাক্টর

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান এগিয়ে রাখছে, পাওয়ার দ্য সিনিয়রের শিবিরকে। লোকসভা নির্বাচনে এই বারামতী বিধানসভা সুপ্রিয়াকে কমবেশি 48 হাজারের লিড দিয়েছিল । কিন্তু সেই ভোট আর এই ভোটকে এক ভাবলে ভুল হবে। প্রথমত, এবার প্রার্থী স্ত্রী সুনেত্রা নন, অজিত নিজে । সেই নয়ের দশকের গোড়া থেকে এই কেন্দ্র থেকে টানা আটবার জিতেছেন। তাই সামগ্রিকভাবে অজিতকে 'পাওয়ারের' আশপাশে থাকতে হলে এই নির্বাচনে ভালো করা ছাড়া কোনও উপায় নেই ।

এনডিএ-র অজিত অস্বস্তি

অজিত নিজেও জানেন লড়াই কঠিন। রাজনীতিতে যুগেন্দ্র নবাগত হলেও শরদের বিপুল উপস্থিতি তাঁর ভোটের অঙ্ক বদলে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। আর তাই অজিত তৈরিও করেছেন নিজেকে । শহুরে ভোটারদের মন বুঝে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের 'বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে' স্লোগানোর বিরোধিতা করেছেন। তাতে অস্বস্তিতে পড়েছে এনডিএ। বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ অজিতকে আক্রমণও করেছেন । তবে রেখে ঢেকে । তাঁর দাবি, অজিত দীর্ঘদিন এমন চরিত্রদের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন যাঁরা হিন্দু বিরোধী । মানসিকভাবে 'ঘরওয়াপসি'তে সময় লাগবে ।

অজিতের শরদ-নীতি

শুধু তাই নয়, অজিত বলে দিয়েছিলেন ভোটে তাঁর হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর প্রচার করার কোনও দরকার নেই । রাজনৈতিক মহলের মতে, অজিত মনে করছেন বারামতীতে ভোটে জিততে হলে শরদ পাওয়ার সম্পর্কে কোনও আক্রমণাত্মক শব্দ ব্যবহার করা ঠিক হবে না । লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে সেই কাজটাই করেছিলেন শাহ । নির্বাচনী মঞ্চ থেকে বলেছিলেন শরদ পাওয়ারের চেয়ে বেশি দুর্নীতি পরায়ণ নেতা আর কেউ নেই । ফল ভুগতে হয়েছে ইভিএমে । এবার আর তেমন কিছু চাইছেন না অজিত, প্রচার করছেন নিজেই । বলছেন, নিজের হাতের তালুর মতো চেনা ও স্বযত্নে লালিত বারামতীর উন্নয়নের কথা । অন্যদিকে, প্রচারে খানিকটা স্মৃতিমেদুর শুনিয়েছে শরদ পাওয়ারকে । যুগেন্দ্রর মূল অস্ত্র এবং তাঁর ফ্রেন্ড-ফিলোজফার এবং গাইড শরদ পাওয়ার । শরদ-মন্ত্র জপে ভোট-বৈতরণী পার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ব্যবসা ছেড়ে রাজনীতিতে আসা তরুণ । সবমিলিয়ে বারামতীর 'মতি' কোন দিকে থাকে আর তাতে কার জয় গতি পায় সেটা জানা যাবে 23 তারিখ শনিবার দুপুরে ।

বারামতী, 18 নভেম্বর: ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যর 'চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়' গানটি অজিত পাওয়ার নিশ্চয় শোনেননি । তবে বারামতীর ভোট-ময়দানে গানের সারাৎসার মালুম হচ্ছে কাকাকে 'দাগা' দেওয়া অজিতের । মাত্র পাঁচ বছর আগে বারামতী বিধানসভা কেন্দ্রে 1 লক্ষ 62 হাজার ভোটের ব্যবধানে নির্বাচনে জিতে রেকর্ড করেছিলেন। আর এবার সেখানেই 'পাওয়ার-গেমে' খানিকটা হলেও ব্যাকফুটে স্থানীয়দের প্রিয় 'অজিত দাদা' ।

কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপি পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তোলে । পাল্টা দাবি করে, বিজেপি দলটাই একটা বিরাট পরিবার। এই প্রশ্নে কাকা শরদ বা ভাইপো অজিত পাওয়ার কী বলবেন তা ব্যাঙ্কের পরীক্ষায় রিজনিং বিভাগের অন্যতম কঠিন প্রশ্ন হতে পারে। কারণ, একটাই । 'পাওয়ারের' সমীকরণ পাওয়ার-পরিবার এবং রাজনৈতিক দল দুটোই ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।

আদি শঙ্করাচার্য বলেছিলেন 'কা তব কান্তা কাস্তে পুত্রা...' । মানে জগৎ সংসার কখনও কখনও এমন পরিস্থিতির সামনে মানুষকে হাজির করে যখন স্ত্রী (কান্তা)-পুত্র সম্পর্কেও নির্লিপ্ত হতে হয়। এখন পাওয়ার-পরিবারের অবস্থা অনেকটা তেমন । এবার এখানে কাকা অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে লড়ছেন ভাইপো যুগেন্দ্র পাওয়ার। যুগেন্দ্রর সবচেয়ে বড় ভরসা আবার অজিতের কাকা এবং এনসিপির প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ার। এখানেই বারামতীর লড়াই আসলে অজিত বনাম শরদের ।

পাওয়ার পরিবার

এ তো গেল রাজনীতির কুশিলবদের কথা । ভোটের এই বিভাজন ঢুকে পড়েছে অন্দরমহলে । অজিতকে সমর্থন করছেন তাঁর স্ত্রী সুনেত্রা এবং দুই বোন। যুগেন্দ্রর হয়ে ময়দানে নেমেছেন শরদ-কন্যা তথা এই বারামতীর সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। যিনি আবার সুনেত্রা পাওয়ারকে বিরাট ব্যবধানে হারিয়ে সাংসদ হয়েছেন মাস কয়েক আগে। এছাড়া তরুণ যুগেন্দ্রকে সমর্থন করেছেন শরদ-জায়া প্রতিভাও।

57 বছর আগে প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়া শরদ বলেই দিয়েছেন, অনেক হয়েছে আর না । সংসদীয় রাজনৈতিক জীবনে ইতি টানার সময় হয়ে গিয়েছে। তবে এবার তিনি দারুণ সক্রিয়। মুখে ক্যানসার, অশক্ত শরীর নিয়েই 83 বছর বয়সে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন এদিক থেকে সেদিক । রোগের জন্য কথা জড়িয়ে যায় । তবু বলছেন। পাশে আছেন স্ত্রী । এতবছরে কখনও রাজনৈতিক ময়দানে যাঁকে তেমন সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি। এবার হয়েছেন ।

কাকিমার এই বদলে যাওয়া ভাবাচ্ছে অজিতকেও । রাজ্যের পাঁচবারের উপমুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, কাকিমা কেন প্রচার করতে এসেছেন সেই প্রশ্ন ভোট মিটলে জানতে চাইবেন । আবার সুপ্রিয়া সুলে দাবি করেছেন, তাঁদের পরিবারকে ভেঙেছে বিজেপি। সেই 'মহাপাপ' থেকে বিজেপি কখনও রেহাই পাবে না ।

রাস্তায় দাঁড়িয়ে উন্নয়ন

ভৌগোলিক পরিচয় বলছে বারামতী মহকুমা শহর । কিন্তু ধারে-ভারে দেশের যে কোনও মহানগরের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিতে পারে । পরিকাঠামো হোক বা নজরকাড়া ভবনের সমাহার-বারামতীর রাস্তায় যেন উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে !

একটি সাধারণ শহরকে এই অসাধারণ উচ্চতায় কে পৌঁছে দিল ? উত্তর দিতে সময় নেবে না অমরাবতীর কোনও মহল্লা । সকলের একটাই জবাব- উন্নয়নের নেপথ্যে শরদ পাওয়ার । শুরু করেছিলেন তিনি । কাজে গতি এনেছেন ভাইপো অজিত । তাহলে এবার ওপেনিং ব্যাটার না পিঞ্চ হিটার, কাকে বেছে নেবে বারামতী ? 20 তারিখ উত্তর জমা পড়বে ইভিএমে ।

পরিসংখ্যানের চাপ আর অজিত-ফ্যাক্টর

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান এগিয়ে রাখছে, পাওয়ার দ্য সিনিয়রের শিবিরকে। লোকসভা নির্বাচনে এই বারামতী বিধানসভা সুপ্রিয়াকে কমবেশি 48 হাজারের লিড দিয়েছিল । কিন্তু সেই ভোট আর এই ভোটকে এক ভাবলে ভুল হবে। প্রথমত, এবার প্রার্থী স্ত্রী সুনেত্রা নন, অজিত নিজে । সেই নয়ের দশকের গোড়া থেকে এই কেন্দ্র থেকে টানা আটবার জিতেছেন। তাই সামগ্রিকভাবে অজিতকে 'পাওয়ারের' আশপাশে থাকতে হলে এই নির্বাচনে ভালো করা ছাড়া কোনও উপায় নেই ।

এনডিএ-র অজিত অস্বস্তি

অজিত নিজেও জানেন লড়াই কঠিন। রাজনীতিতে যুগেন্দ্র নবাগত হলেও শরদের বিপুল উপস্থিতি তাঁর ভোটের অঙ্ক বদলে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। আর তাই অজিত তৈরিও করেছেন নিজেকে । শহুরে ভোটারদের মন বুঝে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের 'বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে' স্লোগানোর বিরোধিতা করেছেন। তাতে অস্বস্তিতে পড়েছে এনডিএ। বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ অজিতকে আক্রমণও করেছেন । তবে রেখে ঢেকে । তাঁর দাবি, অজিত দীর্ঘদিন এমন চরিত্রদের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন যাঁরা হিন্দু বিরোধী । মানসিকভাবে 'ঘরওয়াপসি'তে সময় লাগবে ।

অজিতের শরদ-নীতি

শুধু তাই নয়, অজিত বলে দিয়েছিলেন ভোটে তাঁর হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর প্রচার করার কোনও দরকার নেই । রাজনৈতিক মহলের মতে, অজিত মনে করছেন বারামতীতে ভোটে জিততে হলে শরদ পাওয়ার সম্পর্কে কোনও আক্রমণাত্মক শব্দ ব্যবহার করা ঠিক হবে না । লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে সেই কাজটাই করেছিলেন শাহ । নির্বাচনী মঞ্চ থেকে বলেছিলেন শরদ পাওয়ারের চেয়ে বেশি দুর্নীতি পরায়ণ নেতা আর কেউ নেই । ফল ভুগতে হয়েছে ইভিএমে । এবার আর তেমন কিছু চাইছেন না অজিত, প্রচার করছেন নিজেই । বলছেন, নিজের হাতের তালুর মতো চেনা ও স্বযত্নে লালিত বারামতীর উন্নয়নের কথা । অন্যদিকে, প্রচারে খানিকটা স্মৃতিমেদুর শুনিয়েছে শরদ পাওয়ারকে । যুগেন্দ্রর মূল অস্ত্র এবং তাঁর ফ্রেন্ড-ফিলোজফার এবং গাইড শরদ পাওয়ার । শরদ-মন্ত্র জপে ভোট-বৈতরণী পার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ব্যবসা ছেড়ে রাজনীতিতে আসা তরুণ । সবমিলিয়ে বারামতীর 'মতি' কোন দিকে থাকে আর তাতে কার জয় গতি পায় সেটা জানা যাবে 23 তারিখ শনিবার দুপুরে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.