কলকাতা, 31 জানুয়ারি: সশস্ত্র পুলিশি নিরাপত্তায় যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ডে ও ল কলেজে সরস্বতী পুজোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । জয়েন্ট কমিশনার পদ-মর্যাদার আধিকারিককে পুজোর নিরাপত্তায় নজরদারি করতে শুক্রবার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত । 5 ফেব্রুয়ারি বুধবার বেলা 2টোর সময় ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানান বিচারপতি ।
যোগেশচন্দ্র ডে ও ল কলেজে পুজোর নির্দেশিকা :
- ডে কলেজ ও ল কলেজে আলাদা আলাদা পুজো করতে হবে ।
- পুজোর সময় সম্পূর্ণ ভিডিওগ্রাফি করতে নির্দেশ ।
- যাদের এফআইআরে নাম রয়েছে তাদের যেন যোগেশচন্দ্র ল কলেজের পুজোয় ঢুকতে না-দেওয়া হয় ৷
- ডে কলেজ এবং ল কলেজের ছাত্রছাত্রীরাই পুজো করতে পারবে ।
- ডে কলেজের ভিতরে অবৈধ প্যান্ডেল আগামিকাল শনিবার বেলা 12টার মধ্যে ভেঙে ফেলবে চারুমার্কেট থানা। পুলিশকে তার ভিডিয়ো করতে হবে।
- নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন কলকাতার জয়েন্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার।
সরস্বতী পুজো করতে দেওয়া হচ্ছে না দাবি করে ল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন । তাঁদের অভিযোগ ছিল, বর্তমান পড়ুয়াদের বদলে বহিরাগতরা সেখানে প্যান্ডেল বেঁধে পুজো করছে । সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই নির্দেশ দেন ৷
আইনজীবীদের বক্তব্য :
এই বিষয়ে মামলাকারীদের আইনজীবী সপ্তাংশু বসু বলেন, "যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল তাদেরকে কলেজে ঢুকতে না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । তারপরেও আদালতের নির্দেশ মানা হচ্ছে না । ল কলেজের পুজো যেখানে আয়োজন হচ্ছে, সেখানেই ডে কলেজের বহিরাগত প্রাক্তন ছাত্ররা পুজোর আয়োজন করে ল কলেজের পুজো বন্ধ করার চেষ্টা করছে ।"
ডে কলেজের তরফে আইনজীবী অর্ক নাগ বলেন, "অধ্যক্ষের কাছে কলেজের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কোনও ক্ষমতা নেই । যে অধ্যাপককে পুজোর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁর থেকে পুজোর টাকা ছিনতাই পর্যন্ত করে নেওয়া হয়েছে। তারপর সেই অধ্যাপক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান । এই প্যান্ডেল ডে কলেজের ছাত্ররা করেনি । বহিরাগতরা করেছে ।" বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষান্য বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, "এটা 50 বছরের পুরনো পুজো । আমি নিজে জিএস থেকে পুজো করিয়েছিলাম । বহিরাগত হস্তক্ষেপ ছিল না ।"