ETV Bharat / state

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশের দাবিতে ডেপুটেশন - প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তালিকা প্রকাশ হল

বাম আমলে 2009-10 সালে মালদা জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে 1331টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর ৷ তারপরই রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদল ঘটে ৷ নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই বিজ্ঞপ্তি অবৈধ ঘোষণা করে ৷ এনিয়ে আদালতে বহু মামলা হয়েছে ৷ এই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে তিনবার লিখিত পরীক্ষা হয় ৷ শেষবার সেই পরীক্ষা হয় 2014 সালের মার্চ মাসে ৷

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রকাশিত তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংসদে ডেপুটেশন
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রকাশিত তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংসদে ডেপুটেশন
author img

By

Published : Feb 11, 2021, 10:57 PM IST

মালদা, 11 ফেব্রুয়ারি : ভোট বড় বালাই ৷ সম্ভবত সেকারণেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের 11 বছর পর প্রকাশিত হল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তালিকা ৷ যদিও প্রকাশিত তালিকার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অসফল পরীক্ষার্থীরা ৷ তাঁদের অভিযোগ, প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী অনেক অযোগ্যকে চাকরি করে দেওয়া হয়েছে ৷ তাই এই তালিকা বাতিল করে স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশের দাবি তুলেছেন তাঁরা ৷ নিজেদের গণস্বাক্ষর সংবলিত দাবিপত্র আজ তাঁরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আধিকারিকের হাতে তুলে দেন ৷ তবে এনিয়ে সংসদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷

বাম আমলে 2009-10 সালে মালদা জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে 1331টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর ৷ তারপরেই রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদল ঘটে ৷ নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই বিজ্ঞপ্তি অবৈধ ঘোষণা করে ৷ এনিয়ে আদালতে বহু মামলা হয়েছে ৷ এই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে তিনবার লিখিত পরীক্ষা হয় ৷ শেষবার সেই পরীক্ষা হয় 2014 সালের মার্চ মাসে ৷ লিখিত পরীক্ষায় সফল পরীক্ষার্থীদের 2015 সালের ফেব্রুয়ারিতে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয় ৷ দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে গতকাল তার নিয়োগ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ৷ তালিকায় 1320 জনের নাম রয়েছে ৷ সেই তালিকার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অসফল পরীক্ষার্থীরা ৷

আজ বিকেলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে ডেপুটেশন দিতে আসা সুজয় দাস বলেন, “এখানে টাকার বিনিময়ে চাকরি হয়েছে ৷ যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে 38 শতাংশ নম্বর পেয়ে কারও চাকরি হয়েছে ৷ অথচ 80 শতাংশ নম্বর পেয়ে চাকরি হয়নি ৷ আমি নিজে 71 শতাংশ নম্বর পেয়েছি ৷ চাকরি পাচ্ছি না ৷ এখানে মেধার ভিত্তিতে চাকরি হচ্ছে না ৷ নেতা ধরে, টাকা দিয়ে চাকরি হচ্ছে ৷ সরকার এটা ঠিক করল না ৷ আমরা এই তালিকা মানছি না ৷ আমাদের দাবি, এই তালিকা বাতিল করে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ করা হোক ৷”

শিক্ষক নিয়োগের প্রকাশিত তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংসদে ডেপুটেশন দিলেন অসফল পরীক্ষার্থীরা

আরও পড়ুন : সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ পেয়ে যাঁরা টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন তাঁদের পরীক্ষা বাতিল করল ডিভিশন বেঞ্চ

আরেক চাকরিপ্রার্থী তারক সিদ্ধান্ত বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ৷ তিনি বলেন, “এই পরীক্ষার সময় সাধারণ ক্যাটিগরিতে প্রার্থীরা 60 শতাংশ নম্বর ছাড়া ফর্ম পায়নি ৷ অথচ দেখা যাচ্ছে, প্রকাশিত তালিকায় জেনারেল ক্যাটিগরিতেও অনেক পরীক্ষার্থীর নম্বর 60 শতাংশের নিচে থাকলেও তাদের চাকরি হয়েছে ৷ অথচ তাদের থেকে অনেক বেশি নম্বর থাকা পরীক্ষার্থীরাও চাকরি পায়নি ৷ এটা কীভাবে হল? এখানে টাকাপয়সার খেলা রয়েছে কিনা তা বলতে পারব না ৷ তবে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে ৷ আমরা চাইছি, এই নিয়োগের দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হোক ৷ যাদের নাম তালিকায় রয়েছে, তাদের অনেকের নাম তপশিলি প্রার্থীর তালিকাতেও রয়েছে ৷ দীর্ঘ ১২ বছরে অনেকে অন্য চাকরিতে যোগ দিয়েছে ৷ তাই দ্বিতীয় তালিকা করা হলে আরও কিছু ছেলেমেয়ের চাকরি হবে ৷”

মালদা, 11 ফেব্রুয়ারি : ভোট বড় বালাই ৷ সম্ভবত সেকারণেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের 11 বছর পর প্রকাশিত হল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তালিকা ৷ যদিও প্রকাশিত তালিকার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অসফল পরীক্ষার্থীরা ৷ তাঁদের অভিযোগ, প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী অনেক অযোগ্যকে চাকরি করে দেওয়া হয়েছে ৷ তাই এই তালিকা বাতিল করে স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশের দাবি তুলেছেন তাঁরা ৷ নিজেদের গণস্বাক্ষর সংবলিত দাবিপত্র আজ তাঁরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আধিকারিকের হাতে তুলে দেন ৷ তবে এনিয়ে সংসদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷

বাম আমলে 2009-10 সালে মালদা জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে 1331টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর ৷ তারপরেই রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদল ঘটে ৷ নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই বিজ্ঞপ্তি অবৈধ ঘোষণা করে ৷ এনিয়ে আদালতে বহু মামলা হয়েছে ৷ এই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে তিনবার লিখিত পরীক্ষা হয় ৷ শেষবার সেই পরীক্ষা হয় 2014 সালের মার্চ মাসে ৷ লিখিত পরীক্ষায় সফল পরীক্ষার্থীদের 2015 সালের ফেব্রুয়ারিতে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয় ৷ দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে গতকাল তার নিয়োগ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ৷ তালিকায় 1320 জনের নাম রয়েছে ৷ সেই তালিকার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অসফল পরীক্ষার্থীরা ৷

আজ বিকেলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে ডেপুটেশন দিতে আসা সুজয় দাস বলেন, “এখানে টাকার বিনিময়ে চাকরি হয়েছে ৷ যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে 38 শতাংশ নম্বর পেয়ে কারও চাকরি হয়েছে ৷ অথচ 80 শতাংশ নম্বর পেয়ে চাকরি হয়নি ৷ আমি নিজে 71 শতাংশ নম্বর পেয়েছি ৷ চাকরি পাচ্ছি না ৷ এখানে মেধার ভিত্তিতে চাকরি হচ্ছে না ৷ নেতা ধরে, টাকা দিয়ে চাকরি হচ্ছে ৷ সরকার এটা ঠিক করল না ৷ আমরা এই তালিকা মানছি না ৷ আমাদের দাবি, এই তালিকা বাতিল করে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ করা হোক ৷”

শিক্ষক নিয়োগের প্রকাশিত তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংসদে ডেপুটেশন দিলেন অসফল পরীক্ষার্থীরা

আরও পড়ুন : সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ পেয়ে যাঁরা টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন তাঁদের পরীক্ষা বাতিল করল ডিভিশন বেঞ্চ

আরেক চাকরিপ্রার্থী তারক সিদ্ধান্ত বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ৷ তিনি বলেন, “এই পরীক্ষার সময় সাধারণ ক্যাটিগরিতে প্রার্থীরা 60 শতাংশ নম্বর ছাড়া ফর্ম পায়নি ৷ অথচ দেখা যাচ্ছে, প্রকাশিত তালিকায় জেনারেল ক্যাটিগরিতেও অনেক পরীক্ষার্থীর নম্বর 60 শতাংশের নিচে থাকলেও তাদের চাকরি হয়েছে ৷ অথচ তাদের থেকে অনেক বেশি নম্বর থাকা পরীক্ষার্থীরাও চাকরি পায়নি ৷ এটা কীভাবে হল? এখানে টাকাপয়সার খেলা রয়েছে কিনা তা বলতে পারব না ৷ তবে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে ৷ আমরা চাইছি, এই নিয়োগের দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হোক ৷ যাদের নাম তালিকায় রয়েছে, তাদের অনেকের নাম তপশিলি প্রার্থীর তালিকাতেও রয়েছে ৷ দীর্ঘ ১২ বছরে অনেকে অন্য চাকরিতে যোগ দিয়েছে ৷ তাই দ্বিতীয় তালিকা করা হলে আরও কিছু ছেলেমেয়ের চাকরি হবে ৷”

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.