ETV Bharat / state

খগেন মুর্মু প্রচারে এলে মহিলাদের কথা বলতে দেবেন না : শুভেন্দু - tmc

রাহুল গান্ধির সভাস্থানে সভা করতে গিয়ে আজ BJP, কংগ্রেস ও CPI(M)-কে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু

সভায় বক্তব্য রাখছেন শুভেন্দু অধিকারী
author img

By

Published : Mar 25, 2019, 9:33 PM IST

Updated : Mar 25, 2019, 11:27 PM IST

মালদা, 25 মার্চ : কলমবাগান ময়দানে রাহুল গান্ধির সভাস্থানেই আজ সভা করল শুভেন্দু অধিকারী। মালদা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী মৌসম বেনজির নুরের সমর্থনে সভাটি করেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান, মন্ত্রী গোলাম রব্বানিসহ তৃণমূলের মালদা জেলা নেতৃত্ব। মোটের উপর শনিবারের সভার থেকে আজকের সভায় লোকসংখ্যা ছিল কম। বিশৃঙ্খলার ছবিও স্পষ্ট। এবিষয়ে শুভেন্দুর সাফাই, এটা ট্রেলার। আসল ভিড় দেখা যাবে সামসিতে দলনেত্রীর সভায়। অন্যদিকে, সভার শুরু থেকেই সেখানকার BJP প্রার্থী খগেন মুর্মুকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখেন তিনি।

সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে BJP-র সাথে সাথে কংগ্রেসকেও তুলোধনা করেন শুভেন্দুবাবু। বলেন, "আজ ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে দিদির লড়াই। গত পাঁচ বছর ধরে তৃণমূলের নেতাদের উপর BJP কী অত্যাচার চালিয়েছে তা সবাই জানে। সংসদে আমাদের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রত্যেকের উপর আক্রমণ করেছে তারা। এখন বলছে, এটা দিল্লির লড়াই। আর এখানকার কংগ্রেসের কথা ? যত কম বলা যায় ততই ভালো। এরা সকালে কংগ্রেস করে, সন্ধ্যায় BJP। এই লোকগুলোকে তাড়ান। আজ রাহুলজিকে এখানে এনে BJP বিরোধী শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা হয়েছে। যদি এঁরা BJP-কে রুখতে চাইতেন, তাহলে চাঁচলে সভা করতেন না। হবিবপুরে সভা করতেন। এই ফাঁদে পা দেবেন না। জেলার ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১২টিতে আমরা জিতেছি। ১৫টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১২টিতে জিতেছি।"

বক্তব্যের মাঝেই সভায় লোকসংখ্যার প্রসঙ্গ টেনে রাহুল গান্ধিকে আক্রমণ করে বলেন, "রাহুলজির সভায় অন্য জেলা, এমন কী অন্য রাজ্য থেকে লোক এনে মাঠ ভরানো হয়েছিল। কিন্তু আমরা বাইরে থেকে লোক আনাইনি। দেশ থেকে এই সাম্প্রদায়িক BJP-কে তাড়াতে হলে মালদায় BJP-র দালাল মানে B টিম হিসেবে কংগ্রেসের যেসব লোকজন আছে, যারা পঞ্চায়েতে BJP-কে সমর্থন করেছে, তাদের আগে প্রত্যাখ্যান করুন। কংগ্রেস-CPI(M)-BJP-র এই হযবরল জোটকে আমি বলব, আজ শুধু ট্রেলার দেখালাম। দিদি যেদিন সামসিতে আসবেন, সেদিন আসল ছবি দেখাব। সেদিন সবাই দেখতে পাবেন, মালদা বদলে গেছে। দিদিই BJP-কে রুখবেন। আর মালদা আছে দিদির সঙ্গে।" কংগ্রেসের সাথে BJP-র আঁতাতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "১৯ জানুয়ারি সনিয়া গান্ধি বলেছিলেন, কংগ্রেস দিদির সঙ্গে আছে। আর আজ মালদা, মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস BJP-কে অক্সিজেন দিয়ে তৃণমূলকে দুর্বল করতে চায়। কিন্তু উন্নয়ন যদি করতে হয়, তৃণমূলকে দিয়েই করতে হবে। রাহুলবাবা, তুমি জানো না মমতা ব্যানার্জি প্রতিশ্রুতি দেয় না। কাজ করে দেখায়।"

ভিডিয়োয় শুনুন শুভেন্দু ও খগেন মুর্মুর বক্তব্য

উত্তর মালদার BJP প্রার্থী খগেন মুর্মুকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, "এই প্রার্থী যখন ভোট প্রচার করতে আসবেন, তখন বাড়ির পুরুষদের কথা বলতে বলবেন। মহিলারা যেন কথা না বলে। এনিয়ে আমি আপনাদের সতর্ক করলাম।" শুভেন্দুর এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন খগেনবাবু। তিনি বলেন, "ব্যক্তিগত আক্রমণ করার রাজনীতি আমি শিখিনি। নির্বাচনী রাজনৈতিক মঞ্চে যারা এসব করেন, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক নেতা নন। এখন মানুষ থেকে এরা সব বিচ্ছিন্ন। এরা এখন পাগল হয়ে গেছে। নির্বাচনের সময় যখন উন্নয়নের কথা বলার কথা, আট বছরে তারা কী করেছে সেটা বলার কথা, যুব-কৃষকদের জন্য কী করেছে, শিল্পের পরিকাঠামোর কতটা উন্নতি করেছে। এর বিচার মানুষই করবে। কোনও রাজনৈতিক নেতা এভাবে অপপ্রচার করে অন্যকে নিচু করতে পারেন না। ২৩ এপ্রিল মানুষ এর জবাব দেবে। আর ২৩ মে এদের মুখোশ খুলে যাবে।"

মালদা জেলা BJP সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র বলেন, "এটা অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য। যে দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে দলের নেতা হয়ে একটা মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই কথা বলা কাম্য নয়।"

মালদা, 25 মার্চ : কলমবাগান ময়দানে রাহুল গান্ধির সভাস্থানেই আজ সভা করল শুভেন্দু অধিকারী। মালদা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী মৌসম বেনজির নুরের সমর্থনে সভাটি করেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান, মন্ত্রী গোলাম রব্বানিসহ তৃণমূলের মালদা জেলা নেতৃত্ব। মোটের উপর শনিবারের সভার থেকে আজকের সভায় লোকসংখ্যা ছিল কম। বিশৃঙ্খলার ছবিও স্পষ্ট। এবিষয়ে শুভেন্দুর সাফাই, এটা ট্রেলার। আসল ভিড় দেখা যাবে সামসিতে দলনেত্রীর সভায়। অন্যদিকে, সভার শুরু থেকেই সেখানকার BJP প্রার্থী খগেন মুর্মুকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখেন তিনি।

সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে BJP-র সাথে সাথে কংগ্রেসকেও তুলোধনা করেন শুভেন্দুবাবু। বলেন, "আজ ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে দিদির লড়াই। গত পাঁচ বছর ধরে তৃণমূলের নেতাদের উপর BJP কী অত্যাচার চালিয়েছে তা সবাই জানে। সংসদে আমাদের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রত্যেকের উপর আক্রমণ করেছে তারা। এখন বলছে, এটা দিল্লির লড়াই। আর এখানকার কংগ্রেসের কথা ? যত কম বলা যায় ততই ভালো। এরা সকালে কংগ্রেস করে, সন্ধ্যায় BJP। এই লোকগুলোকে তাড়ান। আজ রাহুলজিকে এখানে এনে BJP বিরোধী শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা হয়েছে। যদি এঁরা BJP-কে রুখতে চাইতেন, তাহলে চাঁচলে সভা করতেন না। হবিবপুরে সভা করতেন। এই ফাঁদে পা দেবেন না। জেলার ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১২টিতে আমরা জিতেছি। ১৫টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১২টিতে জিতেছি।"

বক্তব্যের মাঝেই সভায় লোকসংখ্যার প্রসঙ্গ টেনে রাহুল গান্ধিকে আক্রমণ করে বলেন, "রাহুলজির সভায় অন্য জেলা, এমন কী অন্য রাজ্য থেকে লোক এনে মাঠ ভরানো হয়েছিল। কিন্তু আমরা বাইরে থেকে লোক আনাইনি। দেশ থেকে এই সাম্প্রদায়িক BJP-কে তাড়াতে হলে মালদায় BJP-র দালাল মানে B টিম হিসেবে কংগ্রেসের যেসব লোকজন আছে, যারা পঞ্চায়েতে BJP-কে সমর্থন করেছে, তাদের আগে প্রত্যাখ্যান করুন। কংগ্রেস-CPI(M)-BJP-র এই হযবরল জোটকে আমি বলব, আজ শুধু ট্রেলার দেখালাম। দিদি যেদিন সামসিতে আসবেন, সেদিন আসল ছবি দেখাব। সেদিন সবাই দেখতে পাবেন, মালদা বদলে গেছে। দিদিই BJP-কে রুখবেন। আর মালদা আছে দিদির সঙ্গে।" কংগ্রেসের সাথে BJP-র আঁতাতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "১৯ জানুয়ারি সনিয়া গান্ধি বলেছিলেন, কংগ্রেস দিদির সঙ্গে আছে। আর আজ মালদা, মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস BJP-কে অক্সিজেন দিয়ে তৃণমূলকে দুর্বল করতে চায়। কিন্তু উন্নয়ন যদি করতে হয়, তৃণমূলকে দিয়েই করতে হবে। রাহুলবাবা, তুমি জানো না মমতা ব্যানার্জি প্রতিশ্রুতি দেয় না। কাজ করে দেখায়।"

ভিডিয়োয় শুনুন শুভেন্দু ও খগেন মুর্মুর বক্তব্য

উত্তর মালদার BJP প্রার্থী খগেন মুর্মুকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, "এই প্রার্থী যখন ভোট প্রচার করতে আসবেন, তখন বাড়ির পুরুষদের কথা বলতে বলবেন। মহিলারা যেন কথা না বলে। এনিয়ে আমি আপনাদের সতর্ক করলাম।" শুভেন্দুর এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন খগেনবাবু। তিনি বলেন, "ব্যক্তিগত আক্রমণ করার রাজনীতি আমি শিখিনি। নির্বাচনী রাজনৈতিক মঞ্চে যারা এসব করেন, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক নেতা নন। এখন মানুষ থেকে এরা সব বিচ্ছিন্ন। এরা এখন পাগল হয়ে গেছে। নির্বাচনের সময় যখন উন্নয়নের কথা বলার কথা, আট বছরে তারা কী করেছে সেটা বলার কথা, যুব-কৃষকদের জন্য কী করেছে, শিল্পের পরিকাঠামোর কতটা উন্নতি করেছে। এর বিচার মানুষই করবে। কোনও রাজনৈতিক নেতা এভাবে অপপ্রচার করে অন্যকে নিচু করতে পারেন না। ২৩ এপ্রিল মানুষ এর জবাব দেবে। আর ২৩ মে এদের মুখোশ খুলে যাবে।"

মালদা জেলা BJP সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র বলেন, "এটা অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য। যে দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে দলের নেতা হয়ে একটা মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই কথা বলা কাম্য নয়।"

Intro:মালদা, ১৯ ডিসেম্বর : সংসারে ভীষণ অভাব৷ নুন আনতে পান্তা ফোরানোর সংসার৷ এদিকে পরিবারের সদস্য ৬ জন৷ সবার জন্য দু’বেলা পেট ভরা ভাতেরও ব্যবস্থা করতে পারতেন না আব্বা৷ তখনই সুযোগ এসেছিল ভিনরাজ্যে কাজ করার৷ সেই সুযোগ পেয়ে উত্তরপ্রদেশের মাহবা এলাকায় একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে যান পরিবারের কর্তা৷ পরে সুযোগ বুঝে তিনি বিবি ও ১৭ বছরের মেয়েকেও সেই ফ্যাক্টরিতে কাজে লাগিয়ে দেন৷ এতে উপার্জনের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল৷ কিন্তু সেখানে বিপদও যে ঘাপটি মেরে পড়েছিল তা বুঝতে পারেননি কেউ৷ ওই ফ্যাক্টরিতে কাজ করার সময়ই নাবালিকা মেয়ের উপর নজর পড়েছিল মাহবা এলাকার ২০ বছরের এক যুবকের৷ নাবালিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য সে ওই পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ায়৷ মাস দুয়েক আগে সে চলে আসে চাঁচল থানা এলাকায় ওই নাবালিকার বাড়িতে৷ সেখান থেকেই ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে সে৷ মেয়ের অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁচল থানার পুলিশ মাহবা থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে৷ উদ্ধার করা হয় ওই নাবালিকাকেও৷ আজ ধৃতকে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাকে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক৷Body:চাঁচল থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বাড়ি চাঁচল থানার কুশমাই এলাকায়৷ অত্যন্ত গরিব পরিবারের মেয়ে সে৷ কয়েক বছর আগে তার আব্বা উত্তরপ্রদেশের মাওবা এলাকায় একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে যান৷ পরবর্তী সময়ে তিনি নিজের বিবি ও বড়ো মেয়েকেও সেখানে কাজে লাগিয়ে দেন৷ সেখানেই তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয় মাওবা এলাকার ২০ বছরের যুবক বিনোদ গুপ্তার সঙ্গে৷ তাঁরা জানতে পারেননি, বিনোদের নিশানা ছিল তাঁদের ১৭ বছরের মেয়ে৷ মাস দুয়েক আগে ওই নাবালিকার পরিবার মাওবা থেকে নিজেদের গ্রামে ফিরে আসে৷ দু’চারদিন পর সেখানে চলে আসে বিনোদও৷ কয়েকদিন থাকার পর গত ২৮ অক্টোবর বিনোদ নাবালিকাকে নিয়ে এ’রাজ্য ছেড়ে চলে যায়৷ পরদিন নাবালিকার অভিভাবকরা চাঁচল থানায় বিনোদের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণ করার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ৷ এরই মধ্যে বিনোদ মুক্তিপণ দাবি করে নাবালিকার বাড়িতে কয়েকবার ফোন করে৷ কিন্তু সে এক জায়গা থেকে ফোন করছিল না৷ অবশেষে চাঁচল থানার পুলিশ বিনোদের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে জানতে পারে, সে মাওবা গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরেছে৷ এরপরেই সেখানকার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাঁচল থানার পুলিশ৷ কয়েকদিন আগে চাঁচল থানার একটি পুলিশদল উত্তরপ্রদেশ পৌঁছোয়৷ গত পরশু সেখানকার পুলিশের সহযোগিতায় হানা দেওয়া হয় বিনোদের বাড়িতে৷ সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় ওই নাবালিকাকে৷ গ্রেফতার করা হয় বিনোদকে৷ সেখানকার আদালতের অনুমতি পেয়ে ট্রানজিট রিমান্ডে আজ সকালে ধৃত বিনোদ ও ওই নাবালিকাকে চাঁচলে নিয়ে আসা হয়৷Conclusion:আজই বিনোদকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করে চাঁচল থানার পুলিশ৷ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনোদের জামিনের আবেদন অগ্রাহ্য করে তাকে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক৷ উদ্ধার করা নাবালিকাকেও আজ আদালতের অনুমতিক্রমে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷
Last Updated : Mar 25, 2019, 11:27 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.