মালদা, 21 মে : লকডাউনের সুফল মিলতে শুরু করেছে । মালদায় কমছে কোভিড সংক্রমণের হার। কয়েক দিন আগেও জেলায় যে পরিমাণ লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছিল, তার 52 শতাংশের বেশি নমুনায় মিলছিল করোনার উপস্থিতি। গত 24 ঘণ্টায় সেই পরিসংখ্যান নেমে হয়েছে প্রায় 17 শতাংশ। তবে এখনও ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে মানুষ। বেশিরভাগ সংক্রমিতরাই নিজেদের বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। তবে এই আতঙ্ক আরও একবার প্রমাণ দিয়েছে, মনুষ্যত্ব এখনও হারায়নি। এখনও মানুষ, মানুষের পাশেই রয়েছে।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ কেড়েছে অনেক প্রাণ। প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় এবার মৃত্যুও বেশি হয়েছে। দেশে সংক্রমণের গতি কমলেও বাড়ছে মৃত্যুর হার। দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ শেষ হয়নি। এখন করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রহর গুনছে ভারত। তবে বিপন্ন সময়ে মনুষ্যত্বের ছবি ধরা পড়ছে গোটা দেশ জুড়েই। মালদাও তার ব্যতিক্রম নয়। আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে মানুষ। রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠনগুলির সঙ্গে সাধারণ মানুষও ঝাঁপ দিয়েছে আর্তের সেবায়। দিন ও রাত এক করে চলছে লড়াই। একটুও বিশ্রামের ফুসরত নেই এই মানুষদের। বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা বিপন্ন করোনা সংক্রমিতদের পাশে থাকতে পুরাতন মালদাতেও তৈরি হয়েছে এমনই একটি সহায়তা সংগঠন। স্থানীয় কিছু যুবক এলাকাবাসীর স্বার্থে একজোট হয়েছেন। তারা বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের অধীনে করোনা মোকাবিলায় কাজ করে চলেছেন। এই সংগঠনের এক সদস্য শ্যাম মণ্ডল বলেন, শুধু পুরাতন মালদা নয়, আমরা মালদা জেলা জুড়েই করোনা সংক্রমিতদের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। কারও অক্সিজেন লাগলে তা পৌঁছে দিচ্ছি। কারও খাবার, কারও ওষুধের প্রয়োজন হলে সে সবও আমাদের সদস্যরা পৌঁছে দিচ্ছে। দিনরাত আমাদের পরিষেবা চালু রয়েছে। যে করেই হোক, এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের একজোট হয়ে লড়তে হবেই।
আরও পড়ুন:মহামারিতে অনাথ শিশুদের শিক্ষার ভার নিক সরকার, মোদিকে চিঠি সোনিয়ার
এদিকে বৃহস্পতিবার মালদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কমেছে সংক্রমণের হার। গত 24 ঘণ্টায় মেডিক্যালে 958 টি লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্যে 171 টি নমুনা পজিটিভ এসেছে। সংক্রমণের হার 17.84 শতাংশ। মেডিক্যালের কোভিড ইউনিটে 200টি বেডের অধিকাংশই এখন খালি। এখন সেখানে মাত্র 85 জন ভর্তি রয়েছে। তবে গত 24 ঘণ্টায় এখানে ছ’জনের মৃত্যুও হয়েছে।