ETV Bharat / state

জ্বর-শ্বাসকষ্টে মৃত কিশোরী, দেহ কবর থেকে তুলে শ্মশানে পাঠাল পুলিশ

জ্বর ও শ্বাসকষ্টে নিয়ে মালদা মেডিকেলে ভরতি ছিল মৃত কিশোরী। যদিও তার সোয়াবের পরীক্ষা হয়নি। কিশোরীর পরিবার এদিন দেহ কবর দিতে গেলে বাধা দেয় গ্রামবাসীরা।

Police sent girls body grave to crematorium
গ্রামবাসী
author img

By

Published : Apr 18, 2020, 4:58 PM IST

মালদা, 18 এপ্রিল: কোরোনা আতঙ্কের এই সময়ে যে কোনও মৃত্যুকেই সন্দেহের চোখে দেখছে সমাজ৷ উঠছে হাজারও প্রশ্ন। শনিবার মালদার জেলার এক কিশোরীর মৃ্ত্যু নিয়েও রহস্য দানা বাঁধল। আজ যখন মহানন্দা নদীর ধারে ওই কিশোরীর মৃতদেহ কবর দিচ্ছিল পরিবারের সদস্যরা৷ এমনকী কবর দেওয়ার কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল ৷ তার আগে জানাজানি হয় যে, ওই কিশোরী জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল৷ এমনকী, সে গত কয়েকদিন মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভরতি ছিল বলেও জানা যায়। এরপরেই গ্রামবাসীরা ওই কিশোরীর বাড়ির লোকজনকে আটকে রেখে স্থানীয় থানায় খবর দেয়৷ ঘটনাস্থানে আসে পুলিশ। পুলিশই মৃতদেহটি কবর থেকে তুলে সৎকারের জন্য নিয়ে যায় সাদুল্লাপুর শ্মশানে৷ সেখানেই শেষকার্য সম্পন্ন হয়।

মৃতা কিশোরীর নাম মিলি মণ্ডল৷ বয়স 11 বছর৷ বাড়ি ইংরেজবাজার পৌরসভার 23 নম্বর ওয়ার্ডের নরসিংহ কুপ্পা এলাকায়৷ বাবা সঞ্জিত মণ্ডল পেশায় রাজমিস্ত্রি ৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এমনিতে কিশোরীর কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলেও গত রবিবার বিকেলে সে খেলতে খেলতে বাড়ি চলে আসে ৷ সন্ধে থেকেই জ্বর হয় তার৷ এইসঙ্গে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট৷ এরপরই তাকে মালদা মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চেকাআপের পর তাকে ভরতি করে নেওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু, দিনের পর দিন শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে কিশোরীর৷ অবশেষে আজ ভোর সাড়ে 4টে নাগাদ মারা যায় সে৷ এদিকে, মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে দেওয়া ওই কিশোরীর ডেথ সার্টিফিকেট নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দিন সাতেক মালদা মেডিকেলে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে ভরতি থাকার পরও কেন কিশোরীর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা হল না? এদিকে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মালদা মেডিকেলের ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে লেখা হয়েছে মৃগীরোগ ৷ যদিও, পরিবারের দাবি, মৃত কিশোরীর কোনওদিন মৃগী রোগ ছিল না৷

মৃতার আত্মীয় ছেদন মণ্ডল বলেন, "এগারো বছরের মেয়ে বলেই পরিবারের রীতি অনুযায়ী মৃতদেহ কবর দিই নিমাসরাই এলাকায় মহানন্দার ধারে৷ কিন্তু সেখানকার লোকজন আমাদের বাধা দেয়৷ শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে কবর থেকে মৃতদেহ তুলে সাদুল্লাপুর শ্মশানে সৎকারের ব্যবস্থা করে৷”

এই বিষয়ে নিমাসরাইয়ের বাসিন্দা গোবিন্দ হালদার বলেন, “রাজ্যে কোরোনার প্রকোপ দেখা দিয়েছে৷ লোক মরছে ৷ আমরা ভয়ে রয়েছি ৷ এরই মধ্যে দুপুরে শুনতে পাই, মহানন্দার ধারে রেলব্রিজের পাশে এক কিশোরীর দেহ কবর দেওয়া হচ্ছে ৷ সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে যাই৷ কবরে বাধা দিই। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে কবর খুঁড়ে দেহ তুলে নিয়ে যায়৷“

এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷

মালদা, 18 এপ্রিল: কোরোনা আতঙ্কের এই সময়ে যে কোনও মৃত্যুকেই সন্দেহের চোখে দেখছে সমাজ৷ উঠছে হাজারও প্রশ্ন। শনিবার মালদার জেলার এক কিশোরীর মৃ্ত্যু নিয়েও রহস্য দানা বাঁধল। আজ যখন মহানন্দা নদীর ধারে ওই কিশোরীর মৃতদেহ কবর দিচ্ছিল পরিবারের সদস্যরা৷ এমনকী কবর দেওয়ার কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল ৷ তার আগে জানাজানি হয় যে, ওই কিশোরী জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল৷ এমনকী, সে গত কয়েকদিন মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভরতি ছিল বলেও জানা যায়। এরপরেই গ্রামবাসীরা ওই কিশোরীর বাড়ির লোকজনকে আটকে রেখে স্থানীয় থানায় খবর দেয়৷ ঘটনাস্থানে আসে পুলিশ। পুলিশই মৃতদেহটি কবর থেকে তুলে সৎকারের জন্য নিয়ে যায় সাদুল্লাপুর শ্মশানে৷ সেখানেই শেষকার্য সম্পন্ন হয়।

মৃতা কিশোরীর নাম মিলি মণ্ডল৷ বয়স 11 বছর৷ বাড়ি ইংরেজবাজার পৌরসভার 23 নম্বর ওয়ার্ডের নরসিংহ কুপ্পা এলাকায়৷ বাবা সঞ্জিত মণ্ডল পেশায় রাজমিস্ত্রি ৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এমনিতে কিশোরীর কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলেও গত রবিবার বিকেলে সে খেলতে খেলতে বাড়ি চলে আসে ৷ সন্ধে থেকেই জ্বর হয় তার৷ এইসঙ্গে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট৷ এরপরই তাকে মালদা মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চেকাআপের পর তাকে ভরতি করে নেওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু, দিনের পর দিন শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে কিশোরীর৷ অবশেষে আজ ভোর সাড়ে 4টে নাগাদ মারা যায় সে৷ এদিকে, মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে দেওয়া ওই কিশোরীর ডেথ সার্টিফিকেট নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দিন সাতেক মালদা মেডিকেলে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে ভরতি থাকার পরও কেন কিশোরীর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা হল না? এদিকে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মালদা মেডিকেলের ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে লেখা হয়েছে মৃগীরোগ ৷ যদিও, পরিবারের দাবি, মৃত কিশোরীর কোনওদিন মৃগী রোগ ছিল না৷

মৃতার আত্মীয় ছেদন মণ্ডল বলেন, "এগারো বছরের মেয়ে বলেই পরিবারের রীতি অনুযায়ী মৃতদেহ কবর দিই নিমাসরাই এলাকায় মহানন্দার ধারে৷ কিন্তু সেখানকার লোকজন আমাদের বাধা দেয়৷ শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে কবর থেকে মৃতদেহ তুলে সাদুল্লাপুর শ্মশানে সৎকারের ব্যবস্থা করে৷”

এই বিষয়ে নিমাসরাইয়ের বাসিন্দা গোবিন্দ হালদার বলেন, “রাজ্যে কোরোনার প্রকোপ দেখা দিয়েছে৷ লোক মরছে ৷ আমরা ভয়ে রয়েছি ৷ এরই মধ্যে দুপুরে শুনতে পাই, মহানন্দার ধারে রেলব্রিজের পাশে এক কিশোরীর দেহ কবর দেওয়া হচ্ছে ৷ সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে যাই৷ কবরে বাধা দিই। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে কবর খুঁড়ে দেহ তুলে নিয়ে যায়৷“

এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷

For All Latest Updates

TAGGED:

Malda
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.