ETV Bharat / state

টাঙন নদীতে সাঁকো তৈরির কাজে মালদার চাষিরা

author img

By

Published : May 3, 2020, 4:48 PM IST

পুরোনো সাঁকো কয়েকমাস আগে ভেঙে গিয়েছে । এদিকে মাঠের ধান এর মধ্যেই ঘরে তুলতে হবে । কিন্তু, কেউ নতুন সাঁকো বানানোর উদ্যোগ নেয়নি । শেষ পর্যন্ত জেলা পরিষদের দ্বারস্থ হয় চাষিরা । সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল টাকার ব্যবস্থা করে দেন । কিন্তু, লকডাউনের ফলে শ্রমিক না পাওয়া যাওয়ায় চাষিরাই সাঁকো তৈরির কাজে হাত লাগায় ।

টাঙন নদীতে সাঁকো তৈরির কাজে মালদার চাষিরা
টাঙন নদীতে সাঁকো তৈরির কাজে মালদার চাষিরা

মালদা, 3 মে : বাড়ি আর চাষের জমির মধ্যে রয়েছে টাঙন নদী ৷ এবার গ্রীষ্মকালেও নদীর চেহারাটা আলাদা ৷ প্রতি বছর শুকনো থাকলেও এবার নদীতে জল ভরতি ৷ এদিকে নদীর ওপারে চাষিদের এক হাজারেরও বেশি বিঘা জমি ৷ মাঠে এখন বোরো ধান ৷ পাক ধরেছে শিষে ৷ এখনই ধান কাটতে হবে ৷ গরমেও এবার প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে ৷ তাই পাকা ধানে বৃষ্টি পড়লে শিষ থেকে ধান ঝরে যাবে ৷ নষ্ট হবে ফসল । কিন্তু ধান কাটা গেলেও তা ঘরে আনা যাবে কীভাবে? নদীতে থাকা পুরোনো বাঁশের সাঁকো ভেঙে পড়েছে কয়েকমাস আগেই ৷ লকডাউনের ফলে নতুন সাঁকো আর তৈরি হয়নি ৷ সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় 500 চাষি ৷ এই সমস্যা মেটাতে তাঁরা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত, পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতি, এমন কী, ব্লক দপ্তরেরও দ্বারস্থ হয়েছিল ৷ কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি ৷ শেষ পর্যন্ত এলাকার যুব সমাজের মাধ্যমে তারা দ্বারস্থ হয় জেলা পরিষদের সভাধিপতির ৷ সভাধিপতির হস্তক্ষেপে কাজ হয়ে ৷ মুখে হাসি ফুটেছে চাষিদের ৷ তারা নিজেরাই নদীর উপর সাঁকো তৈরি করতে নেমে পড়েছে ৷

পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোরগ্রাম, মাধাইপুর, ভাটরা, সুজাপুর প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দাদের প্রায় সবাই চাষি ৷ এই সব গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে টাঙন নদী ৷ নদীর ওপারে হবিবপুর ব্লকের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ৷ হয়েছে এক হাজারের বেশি বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ । এই জমিগুলির মালিক পুরাতন মালদা ব্লকের চাষিরা ৷ নদীর পলিমিশ্রিত জমি আর আবহাওয়ার সৌজন্যে এবার ধানের ফলনও খুব ভালো ৷ কিন্তু জমিতে যাতায়াতের জন্য নদীতে কোনও সাঁকো ছিল না ৷ চাষিদের সাঁতরেই নদী পেরিয়ে ওপারে অথবা কয়েক কিলোমিটার ঘুরে চাষ করতে যেতে হচ্ছিল ৷ এখন ধান পেকে গিয়েছে ৷ নিয়মিত বৃষ্টিও হচ্ছে ৷ কয়েকদিনের মধ্যে পাকা ধান না কাটলে বৃষ্টিতে শিষ থেকে ধান ঝরে পড়বে ৷ তাই যত তাড়াতাড়ি ধান কেটে ঘরে তুলতে পারা যায়, ততই মঙ্গল ৷

নতুন সাঁকোর জন্য চাষিরা পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন জানালেও কোনও কাজ হয়নি ৷ তাই চাষিরা স্থানীয় মাধাইপুর যুব সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৷ যুব সমাজের পক্ষ থেকে বিষয়টি জেলা পরিষদের সভাধিপতির নজরে আনা হয় ৷ তাঁর হস্তক্ষেপে অবশেষে শুরু হয়েছে নতুন সাঁকো তৈরির কাজ ৷ জেলা পরিষদ থেকে এই সাঁকোর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ৷ কিন্তু শ্রমিকের অভাবে জেলা পরিষদ সেই কাজ শুরু করতে পারছিল না ৷ অবশেষে এই সাঁকো নির্মাণে এগিয়ে আসে চাষিরাই ৷ নিজেদের শ্রমে তারা সাঁকো তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে ৷

মাধাইপুর যুব সমাজের প্রতিনিধি হাসান রাজা বলেন, "নদীর ওপারে জমি থাকায় এর আগে চাষিরাই নদীর উপর সাঁকো তৈরি করত ৷ কিন্তু এবার টানা লকডাউনে তাদের আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ ৷ তাই তারা সাঁকো বানাতে পারেনি ৷ চাষিদের সমস্যার কথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলকে জানাই ৷ ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে তিনি এলাকার সহকারী ইঞ্জিনিয়রকে এখানে পাঠান ৷ ইঞ্জিনিয়র পরিদর্শন করে তাঁর রিপোর্ট সভাধিপতিকে দেন ৷ সঙ্গে সঙ্গেই গৌরবাবু এখানে সাঁকো নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেন ৷ আজ পুরোদমে সাঁকো তৈরির কাজ চলছে ৷ চাষিরাই তা তৈরি করছে ৷ সাঁকো তৈরি না হলে মাঠের ধান মাঠেই থেকে যেত ৷ চাষিদের অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে পড়ত ৷"

মালদা, 3 মে : বাড়ি আর চাষের জমির মধ্যে রয়েছে টাঙন নদী ৷ এবার গ্রীষ্মকালেও নদীর চেহারাটা আলাদা ৷ প্রতি বছর শুকনো থাকলেও এবার নদীতে জল ভরতি ৷ এদিকে নদীর ওপারে চাষিদের এক হাজারেরও বেশি বিঘা জমি ৷ মাঠে এখন বোরো ধান ৷ পাক ধরেছে শিষে ৷ এখনই ধান কাটতে হবে ৷ গরমেও এবার প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে ৷ তাই পাকা ধানে বৃষ্টি পড়লে শিষ থেকে ধান ঝরে যাবে ৷ নষ্ট হবে ফসল । কিন্তু ধান কাটা গেলেও তা ঘরে আনা যাবে কীভাবে? নদীতে থাকা পুরোনো বাঁশের সাঁকো ভেঙে পড়েছে কয়েকমাস আগেই ৷ লকডাউনের ফলে নতুন সাঁকো আর তৈরি হয়নি ৷ সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় 500 চাষি ৷ এই সমস্যা মেটাতে তাঁরা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত, পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতি, এমন কী, ব্লক দপ্তরেরও দ্বারস্থ হয়েছিল ৷ কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি ৷ শেষ পর্যন্ত এলাকার যুব সমাজের মাধ্যমে তারা দ্বারস্থ হয় জেলা পরিষদের সভাধিপতির ৷ সভাধিপতির হস্তক্ষেপে কাজ হয়ে ৷ মুখে হাসি ফুটেছে চাষিদের ৷ তারা নিজেরাই নদীর উপর সাঁকো তৈরি করতে নেমে পড়েছে ৷

পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোরগ্রাম, মাধাইপুর, ভাটরা, সুজাপুর প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দাদের প্রায় সবাই চাষি ৷ এই সব গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে টাঙন নদী ৷ নদীর ওপারে হবিবপুর ব্লকের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ৷ হয়েছে এক হাজারের বেশি বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ । এই জমিগুলির মালিক পুরাতন মালদা ব্লকের চাষিরা ৷ নদীর পলিমিশ্রিত জমি আর আবহাওয়ার সৌজন্যে এবার ধানের ফলনও খুব ভালো ৷ কিন্তু জমিতে যাতায়াতের জন্য নদীতে কোনও সাঁকো ছিল না ৷ চাষিদের সাঁতরেই নদী পেরিয়ে ওপারে অথবা কয়েক কিলোমিটার ঘুরে চাষ করতে যেতে হচ্ছিল ৷ এখন ধান পেকে গিয়েছে ৷ নিয়মিত বৃষ্টিও হচ্ছে ৷ কয়েকদিনের মধ্যে পাকা ধান না কাটলে বৃষ্টিতে শিষ থেকে ধান ঝরে পড়বে ৷ তাই যত তাড়াতাড়ি ধান কেটে ঘরে তুলতে পারা যায়, ততই মঙ্গল ৷

নতুন সাঁকোর জন্য চাষিরা পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন জানালেও কোনও কাজ হয়নি ৷ তাই চাষিরা স্থানীয় মাধাইপুর যুব সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৷ যুব সমাজের পক্ষ থেকে বিষয়টি জেলা পরিষদের সভাধিপতির নজরে আনা হয় ৷ তাঁর হস্তক্ষেপে অবশেষে শুরু হয়েছে নতুন সাঁকো তৈরির কাজ ৷ জেলা পরিষদ থেকে এই সাঁকোর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ৷ কিন্তু শ্রমিকের অভাবে জেলা পরিষদ সেই কাজ শুরু করতে পারছিল না ৷ অবশেষে এই সাঁকো নির্মাণে এগিয়ে আসে চাষিরাই ৷ নিজেদের শ্রমে তারা সাঁকো তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে ৷

মাধাইপুর যুব সমাজের প্রতিনিধি হাসান রাজা বলেন, "নদীর ওপারে জমি থাকায় এর আগে চাষিরাই নদীর উপর সাঁকো তৈরি করত ৷ কিন্তু এবার টানা লকডাউনে তাদের আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ ৷ তাই তারা সাঁকো বানাতে পারেনি ৷ চাষিদের সমস্যার কথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলকে জানাই ৷ ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে তিনি এলাকার সহকারী ইঞ্জিনিয়রকে এখানে পাঠান ৷ ইঞ্জিনিয়র পরিদর্শন করে তাঁর রিপোর্ট সভাধিপতিকে দেন ৷ সঙ্গে সঙ্গেই গৌরবাবু এখানে সাঁকো নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেন ৷ আজ পুরোদমে সাঁকো তৈরির কাজ চলছে ৷ চাষিরাই তা তৈরি করছে ৷ সাঁকো তৈরি না হলে মাঠের ধান মাঠেই থেকে যেত ৷ চাষিদের অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে পড়ত ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.