ETV Bharat / state

নকল করতে বাধা দেওয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর

নকল করতে বাধা দেওয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর চালানো হল। পুরাতন মালদার সাহাপুরের পর এবার রতুয়া ব্লক-২ এর আড়াইডাঙা হাইস্কুলে তাণ্ডব চালাল পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। হামলায় আহত হয়েছেন আটজন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী।

পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর
author img

By

Published : Mar 10, 2019, 4:26 AM IST

মালদা, ১০ মার্চ : নকল করতে বাধা দেওয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর চালানো হল। পুরাতন মালদার সাহাপুরের পর এবার রতুয়া ব্লক-২ এর আড়াইডাঙা হাইস্কুলে তাণ্ডব চালাল পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। হামলায় আহত হয়েছেন আটজন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। আহতদের মধ্যে তিনজন ইনভিজ়িলেটরও রয়েছেন।

আড়াইডাঙা হাইস্কুলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছে পুখুরিয়া হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীদের। গতকাল ছিল এডুকেশন পরীক্ষা। প্রধান শিক্ষক মানবেন্দ্র কুমার বলেন, "উচ্চমাধ্যমিকের প্রতিটি পরীক্ষায় নকল করছিল জাভেদ আখতার নামে একজন। এনিয়ে তাকে সতর্কও করা হয়। কিন্তু, সে পাত্তা দেয়নি। গতকালও সে যথারীতি নকল শুরু করে। গতকাল সে যখন নকল করছিল, তখন ইনভিজ়িলেটররা তাকে ধরে ফেলেন। বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। তাকে বাড়ি যেতে বলা হয়। সে শ্রেণিকক্ষ থেকে বেরিয়ে আব্বা আবুল হোসেন সহ আরও কয়েকজনকে ডেকে আনে। এরপর ৪০-৫০ জন মানুষ লাঠি, ইট সহ স্কুলে ঢুকে পড়ে। স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের উপর চড়াও হয়। লাইব্রেরিয়ান কৃষ্ণগোপাল দাসকে বেধড়ক মারধর করে তারা। মারধর করা হয় আরও একজনকে। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে অন্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরাও আক্রান্ত হন।"

স্কুলের তরফে পুখুরিয়া থানায় খবর খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছালে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। মানবেন্দ্রবাবু জাভেদ আখতার ও তার আব্বা আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া ঘটনাটি পুখুরিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককেও জানানো হয়েছে। স্কুলের এক অশিক্ষক কর্মী ওবাইদুর রহমান বলেন, "জাভেদ আখতার নামে ওই পরীক্ষার্থীর ইন্ধনেই ঘটনাটি ঘটেছে। তারা এগজ়াম কন্ট্রোল রুমের ভিতরে গিয়ে কৃষ্ণগোপালবাবুকে মারধর করে।"

খবর পেয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আড়াইডাঙা হাইস্কুলে যান ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের রেভিনিউ ইন্সপেকটর ইন্দ্রজিৎ বসু। তিনি বলেন, "জাভেদ আখতার নামে ওই ছেলেটি নাকি প্রথম দিন থেকেই নকল করছিল। ইনভিজ়িলেটররা বাধা দিলেও সে সাফ জানিয়ে দেয়, সে নকল করবে। কে কী করতে পারে সে দেখে নেবে। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও নকল বন্ধ না করায় তাকে হাতেনাতে ধরা হয় এবং পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। সে স্কুলের গেটের কাছে এসে লোকজন ডেকে আনে। এরপরই স্কুলে হামলার ঘটনা ঘটে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগেই এই ঘটনা ঘটে।"

মালদা, ১০ মার্চ : নকল করতে বাধা দেওয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর চালানো হল। পুরাতন মালদার সাহাপুরের পর এবার রতুয়া ব্লক-২ এর আড়াইডাঙা হাইস্কুলে তাণ্ডব চালাল পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। হামলায় আহত হয়েছেন আটজন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। আহতদের মধ্যে তিনজন ইনভিজ়িলেটরও রয়েছেন।

আড়াইডাঙা হাইস্কুলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছে পুখুরিয়া হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীদের। গতকাল ছিল এডুকেশন পরীক্ষা। প্রধান শিক্ষক মানবেন্দ্র কুমার বলেন, "উচ্চমাধ্যমিকের প্রতিটি পরীক্ষায় নকল করছিল জাভেদ আখতার নামে একজন। এনিয়ে তাকে সতর্কও করা হয়। কিন্তু, সে পাত্তা দেয়নি। গতকালও সে যথারীতি নকল শুরু করে। গতকাল সে যখন নকল করছিল, তখন ইনভিজ়িলেটররা তাকে ধরে ফেলেন। বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। তাকে বাড়ি যেতে বলা হয়। সে শ্রেণিকক্ষ থেকে বেরিয়ে আব্বা আবুল হোসেন সহ আরও কয়েকজনকে ডেকে আনে। এরপর ৪০-৫০ জন মানুষ লাঠি, ইট সহ স্কুলে ঢুকে পড়ে। স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের উপর চড়াও হয়। লাইব্রেরিয়ান কৃষ্ণগোপাল দাসকে বেধড়ক মারধর করে তারা। মারধর করা হয় আরও একজনকে। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে অন্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরাও আক্রান্ত হন।"

স্কুলের তরফে পুখুরিয়া থানায় খবর খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছালে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। মানবেন্দ্রবাবু জাভেদ আখতার ও তার আব্বা আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া ঘটনাটি পুখুরিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককেও জানানো হয়েছে। স্কুলের এক অশিক্ষক কর্মী ওবাইদুর রহমান বলেন, "জাভেদ আখতার নামে ওই পরীক্ষার্থীর ইন্ধনেই ঘটনাটি ঘটেছে। তারা এগজ়াম কন্ট্রোল রুমের ভিতরে গিয়ে কৃষ্ণগোপালবাবুকে মারধর করে।"

খবর পেয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আড়াইডাঙা হাইস্কুলে যান ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের রেভিনিউ ইন্সপেকটর ইন্দ্রজিৎ বসু। তিনি বলেন, "জাভেদ আখতার নামে ওই ছেলেটি নাকি প্রথম দিন থেকেই নকল করছিল। ইনভিজ়িলেটররা বাধা দিলেও সে সাফ জানিয়ে দেয়, সে নকল করবে। কে কী করতে পারে সে দেখে নেবে। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও নকল বন্ধ না করায় তাকে হাতেনাতে ধরা হয় এবং পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। সে স্কুলের গেটের কাছে এসে লোকজন ডেকে আনে। এরপরই স্কুলে হামলার ঘটনা ঘটে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগেই এই ঘটনা ঘটে।"

Intro:মালদা, ৪ মার্চঃ সাদা কাগজে শেষবারের মত প্রেমিককে বার্তা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী৷ গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার থানার আমজামতলা এলাকায়৷ এই ঘটনায় আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ৷Body:মৃত কিশোরীর নাম সঞ্চিতা হালদার৷ বয়স ১৭৷ কন্যাশিক্ষালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল সঞ্চিতা৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী ছোট্টু মণ্ডলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে সেকথা জানতে পারেন ছোট্টুর মা নীতি মণ্ডল৷ ছেলের সঙ্গে সঞ্চিতার সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি নীতিদেবী৷ অভিযোগ, ৪-৫ দিন আগে নীতিদেবী সঞ্চিতাকে বকাবকিও করে৷ তারপরেও সঞ্চিতা ও ছোট্টু একে অপরের সঙ্গে দেখা করে৷ সেকথা জানতে পেরে গতকাল দুপুরে নীতিদেবী সঞ্চিতার বাড়িতে গিয়ে সঞ্চিতা ও তার দাদাকে বকাবকি করে৷ গতকাল রাতে পরিবারের লোকজনের অনুপস্থিতিতে সঞ্চিতা ছোট্টুর উদ্দেশ্যে বার্তা লিখে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে৷ এদিন সকালে পরিবারের লোকজন বাড়ি ফিরলে সঞ্চিতার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান৷ ঘটনাস্থলে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ এসে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে৷Conclusion:সঞ্চিতার মা শেফালী হালদার জানান, তাঁর মেয়ের ছোট্টু নামে প্রতিবেশী এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল৷ বিষয়টি তাঁর আগে জানা ছিল না৷ ছোট্টুর মা ৪-৫ দিন আগে তাঁদের বাড়িতে এসে তাঁর ছেলেমেয়েকে গালিগালাজ করে৷ কিন্তু তাঁকে কিছুই জানায়নি৷ গতপরশু থেকে তিনি বাড়িতে ছিলেন না৷ গতকাল দুপুরে আবার ছোট্টুর মা তাঁদের বাড়িতে এসে সঞ্চিতাকে বকাবকি করে ও তাঁর ছেলেকে মারধর করে৷ সেই অভিমানে গতকাল রাতে তাঁর মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে৷ সঞ্চিতাকে যদি নীতিদেবীর পছন্দ না হয়ে থাকে তবে সেকথা নীতিদেবী কেন তাঁকে জানাননি?
ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযোগ জমা পড়েনি৷ আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.