মালদা, ১০ মার্চ : নকল করতে বাধা দেওয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর চালানো হল। পুরাতন মালদার সাহাপুরের পর এবার রতুয়া ব্লক-২ এর আড়াইডাঙা হাইস্কুলে তাণ্ডব চালাল পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। হামলায় আহত হয়েছেন আটজন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। আহতদের মধ্যে তিনজন ইনভিজ়িলেটরও রয়েছেন।
আড়াইডাঙা হাইস্কুলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছে পুখুরিয়া হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীদের। গতকাল ছিল এডুকেশন পরীক্ষা। প্রধান শিক্ষক মানবেন্দ্র কুমার বলেন, "উচ্চমাধ্যমিকের প্রতিটি পরীক্ষায় নকল করছিল জাভেদ আখতার নামে একজন। এনিয়ে তাকে সতর্কও করা হয়। কিন্তু, সে পাত্তা দেয়নি। গতকালও সে যথারীতি নকল শুরু করে। গতকাল সে যখন নকল করছিল, তখন ইনভিজ়িলেটররা তাকে ধরে ফেলেন। বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। তাকে বাড়ি যেতে বলা হয়। সে শ্রেণিকক্ষ থেকে বেরিয়ে আব্বা আবুল হোসেন সহ আরও কয়েকজনকে ডেকে আনে। এরপর ৪০-৫০ জন মানুষ লাঠি, ইট সহ স্কুলে ঢুকে পড়ে। স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের উপর চড়াও হয়। লাইব্রেরিয়ান কৃষ্ণগোপাল দাসকে বেধড়ক মারধর করে তারা। মারধর করা হয় আরও একজনকে। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে অন্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরাও আক্রান্ত হন।"
স্কুলের তরফে পুখুরিয়া থানায় খবর খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছালে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। মানবেন্দ্রবাবু জাভেদ আখতার ও তার আব্বা আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া ঘটনাটি পুখুরিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককেও জানানো হয়েছে। স্কুলের এক অশিক্ষক কর্মী ওবাইদুর রহমান বলেন, "জাভেদ আখতার নামে ওই পরীক্ষার্থীর ইন্ধনেই ঘটনাটি ঘটেছে। তারা এগজ়াম কন্ট্রোল রুমের ভিতরে গিয়ে কৃষ্ণগোপালবাবুকে মারধর করে।"
খবর পেয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আড়াইডাঙা হাইস্কুলে যান ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের রেভিনিউ ইন্সপেকটর ইন্দ্রজিৎ বসু। তিনি বলেন, "জাভেদ আখতার নামে ওই ছেলেটি নাকি প্রথম দিন থেকেই নকল করছিল। ইনভিজ়িলেটররা বাধা দিলেও সে সাফ জানিয়ে দেয়, সে নকল করবে। কে কী করতে পারে সে দেখে নেবে। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও নকল বন্ধ না করায় তাকে হাতেনাতে ধরা হয় এবং পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। সে স্কুলের গেটের কাছে এসে লোকজন ডেকে আনে। এরপরই স্কুলে হামলার ঘটনা ঘটে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগেই এই ঘটনা ঘটে।"