মালদা, 26 মার্চ : মহিলার গলায় কোপ মেরে গয়না নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীদের(Criminals Snatch Jewellery) ৷ ঘটনাটি ঘটে মালদার চাঁচলে ৷ ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় ৷
আহত মহিলার নাম লুৎফা খাতুন ৷ এক বছর আগে বিয়ে হয় তাঁর । শুক্রবার বাপেরবাড়িতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য স্বামীকে নিয়ে চাঁচলের বৈরগাছি গ্রামে বাপের বাড়িতে যান 19 বছরের লুৎফা । গা ভর্তি গয়না পরেই এসেছিলেন তিনি । অনুষ্ঠান শেষে পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে তিনিও ঘুমোতে চলে যান । ভোরে শৌচালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়লে উঠোনে পা দিতেই কিছু বুঝে ওঠার আগে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে । সোনার গয়না ছিনতাই করতে দুষ্কৃতীরা তাঁর গলা ও হাত কেটে দেয় । অচৈতন্য হয়ে মাটিতে পড়ে যান লুৎফা। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা তাঁর শরীর থেকে সমস্ত গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। খানিক পর তাঁর স্বামী উঠোনে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন। তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে মালদা মেডিক্যালে রেফার করে দেন সেখানকার চিকিৎসকরা । লুৎফার স্বামী হজরত বেলাল বলেন, “সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘর থেকে বেরিয়েই দেখি, উঠোনে লুৎফা পড়ে রয়েছে। তাঁর জ্ঞান নেই। গলায় আর হাতে রক্ত। আমি সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির সবাইকে বিষয়টি জানাই । লুৎফাকে তড়িঘড়ি চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ওকে মালদা মেডিক্যালে রেফার করা হয়েছে। ওর পরিস্থিতি খুব একটা ভাল নয়। ওর শরীরে থাকা গয়না ছিনতাই করতেই দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে । ওর গায়ে এখন কোনও গয়না নেই ।”
আরর পড়ুন : শাশুড়িকে গলা কেটে খুনের অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে
গোটা ঘটনা নিয়ে চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন লুৎফার বাবা লতিফুর রহমান । অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্তে নেমেছে চাঁচল থানার পুলিশ । তবে লুৎফার জামাইবাবু টিংকু আলি এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন । তিনি বলেন, “আমার ধারণা, এটা মাদকাসক্তদের কাজ । তাদের চিনে ফেলায় তারা লুৎফাকে খুন করার চেষ্টা করে। ক’দিন আগেই এলাকায় একটি বড় ডাকাতি হয়েছে। আজ এই ঘটনা ঘটল। পুলিশের কঠোর নজরদারি চালানো উচিত।”