গুয়াহাটি/কলকাতা/ইম্ফল, 17 নভেম্বর: ফের উত্তপ্ত মণিপুর ! শনিবার বরাক নদী থেকে উদ্ধার হয় উদ্বাস্তু ক্যাম্প থেকে নিঁখোজ হয়ে যাওয়া তিনজনের দেহ ৷ তারপরেই আছড়ে পরে জনরোষ ৷ হামলা চলে রাজ্যে একাধিক মন্ত্রী ও বিধায়কের বাড়িতে ৷ তাঁদের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের জামাতাও রয়েছেন ৷ জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে বিক্ষোভকারীরা ৷
বিক্ষোভকারীরা তিন বিধায়কের বাড়ি ভাঙচুর, সম্পত্তিতে আগুন ধরিয়ে দেয় ৷ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ইম্ফলের বিভিন্ন অংশে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ । তারপরেই রাজ্যের পাঁচটি জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু জারি করেছে সরকার ৷ পাশাপাশি, রাজ্যের বেশ কিছু অংশে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও ৷
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, যে মন্ত্রীদের বাসভবনে বিক্ষোভকারীরা হামলা চালিয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাপম রঞ্জন, এল সুসিন্দ্রো সিং এবং ওয়াই খেমচাঁদ । হামলা চালানো হয়েছে বিজেপি বিধায়ক তথা মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের জামাতা আরকে ইমো-সহ একাধিক বিধায়ক ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের বাড়িতেও ৷
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা
বিক্ষোভকারীরা পৌঁছে যায় মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের বাড়িতেও ৷ যদিও শেষ মুহূর্তে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ ৷ সূত্রের খবর, সেসময় বাড়িতে ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী ৷ নিজের দফতরে ছিলেন ৷ বিধানসভার 200 মিটার দূরেও বিক্ষোভ দেখানো হয় ৷ রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ ৷
কী হয়েছে ?
বাস্তুহারাদের ক্যাম্পে থাকা লোকজনের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মারা গিয়েছিলেন 10 জন বিক্ষোভকারী ৷ শুক্রবার থেকে নিঁখোজ হয়ে যান 6 জন ৷ পরে তাদের দেহ উদ্ধার হয় ৷ তারপর থেকেই ক্রমাগত জিরিবাম জেলায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলতে থাকে ৷ শনিবার রাতে সেই বিক্ষোভের আঁচ লাগল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও ৷