মালদা, 17 নভেম্বর: কয়েকদিন আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে । এবার মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে বেআইনিভাবে ওষুধ বিক্রির অভিযোগ উঠল । মেডিক্যালের নিরাপত্তারক্ষীরা হাতেনাতে এক কারবারীকে ধরতে গেলেও কোনও মতে পালিয়ে যায় সে ।
মেডিক্যালের বহির্বিভাগ থেকে যে ওষুধ দেওয়া হয় না, সে সব ওষুধ নিয়ে দালাল চক্র গজিয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ তুলছেন রোগীর আত্মীয়রা । ওষুধ বিক্রির চেষ্টার বিষয়টি মেনে নিয়েছে খোদ মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষও । এই চক্রের হদিশ পেতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্তও শুরু করা হয়েছে ৷
মালদা মালদা মেডিক্যাল সূত্রে খবর, গতকাল বর্হিবিভাগের বাইরে বসার জায়গায় এক ব্যক্তিকে ওষুধ বিক্রি করতে দেখেন নিরাপত্তারক্ষীরা । ঘটনাস্থলে পৌঁছে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি । রোগীর আত্মীয়দের থেকে নিরাপত্তারক্ষীরা জানতে পারেন, মেডিক্যালের বর্হিবিভাগ থেকে দেওয়া হয় না, এমন একটি 200 টাকার ওষুধের বাক্সের জন্য 300 টাকা দাবি করছিল ওই ব্যক্তি । এই ঘটনা সামনে আসতেই বেআইনিভাবে ওষুধ বিক্রি চক্রের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে ।
কীভাবে ওই ব্যক্তি জানল, মালদা মেডিকেলের বর্হিবিভাগ থেকে কোন কোন ওষুধ দেওয়া হয় না ? মেডিক্যাল চত্বরে কোন ওষুধের চাহিদা রয়েছে ? একাংশের অনুমান, দীর্ঘদিন ধরে মালদা মেডিক্যালে এই চক্র চলছে । ফলে এই সমস্ত তথ্য কারবারীরা জানেন ৷
ঘটনা প্রসঙ্গে মেডিক্যাল সুপার প্রসেনজিৎ বর বলেন, “গতকাল বর্হিবিভাগের বাইরে ওষুধ বিক্রির চেষ্টার একটা অভিযোগ শুনতে পেয়েছি । আমাদের নিরাপত্তারক্ষীরা ধরতে গেলে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায় । নিরাপত্তারক্ষীরা রোগীর আত্মীয়দের থেকে ওষুধও বাজেয়াপ্ত করেছেন । যে ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা মেডিক্যাল থেকে দেওয়া হয় না । আমাদের অনুমান, কেউ বা কারা বাইরের ওষুধ নিয়ে এসে মেডিক্যালে বিক্রির চেষ্টা করছিল । তবে মেডিক্যাল চত্ত্বরে এই ধরণের কাজ করা যায় না । সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুরো ঘটনার তদন্ত করছি । মেডিক্যালের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।”