মালদা, 7 ডিসেম্বর: হিন্দিবলয়ে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর লোকসভা ভোটের আগে ‘ইন্ডিয়া’র ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে ৷ কিন্তু সর্বভারতীয় ওই লড়াইয়ে কংগ্রেসের নেতৃত্বের উপরেই ভরসা রাখছে বামফ্রন্ট ৷ শুধু কেরালা ছাড়া ৷ বৃহস্পতিবার মালদায় এসে সাফ জানালেন সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র ৷
অল ইন্ডিয়া এগ্রিকালচারাল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ডাকে রেগা প্রকল্পের সার্বিক রূপায়ণ, বকেয়া মজুরি ফেরত-সহ একগুচ্ছ দাবিতে বৃহস্পতিবার মালদা শহরে বামপন্থীদের মিছিল, সভা ও জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় ৷ তবে সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টিতে কর্মসূচিতে বাম-কর্মী ও সমর্থকদের ঢল লক্ষ্য করা যায়নি ৷ কর্মসূচি শুরুর আগে সিপিআইএমের জেলা সদর দফতর মিহির দাস ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বর্ষীয়ান বাম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র ৷
সেখানেই তিনি ‘ইন্ডিয়া’র ভবিষ্যৎ নিয়ে বলেন, “বিজেপি এগিয়ে না আনলে লোকসভা ভোটের দেরি আছে ৷ সেই সম্ভাবনাও অবশ্য বাতিল করছি না ৷ তবে আমরা প্রস্তুত ৷ আগামীকাল দিল্লিতে পলিটব্যুরো বৈঠক আছে ৷ সেখানে নির্বাচন নিয়ে সর্বশেষ খবর পাব ৷ তারপর ইন্ডিয়া ব্লকের আলোচনায় ভোটের কর্মপদ্ধতি ঠিক হবে ৷ তবে আমরা বলেই দিয়েছি, সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে কত দ্রুত সেই পদ্ধতি বাস্তবায়িত করা যায়, তা দেখতে হবে ৷’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া আরও উন্নত করতে হবে ৷ আমরা আরও বলে দিয়েছি, এই রাজ্যে আমরা বিজেপি ও তৃণমূল, দুই দলের বিরুদ্ধে লড়ব ৷ কেরালায় আমরা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়ব ৷ তবে ইন্ডিয়া জোটের সাম্প্রতিক বৈঠক ভেস্তে যায়নি ৷ পিছিয়ে গিয়েছে মাত্র ৷ আর ইন্ডিয়া বৈঠকে এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকা হয়নি সেটা হতে পারে না ৷ তাঁর কী কাজ রয়েছে, তাই তিনি বৈঠকে যাবেন না ৷”
এ দিনই শিলিগুড়িতে বিজনেস সামিট করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এই প্রসঙ্গে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “এসব সামিট আগেও হয়েছে ৷ কত বিনিয়োগের গল্প শুনেছি ৷ গল্পের গরু গাছে উঠেছে ৷ এসব গল্প বলে কিছু হয় না ৷ করে দেখাতে হবে ৷ এতদিন উনি কী করলেন ? আমাদের সময় মিডিয়াম, স্মল অ্যান্ড মাইক্রো এন্টারপ্রাইজেসে আমরা দেশে প্রথম ছিলাম ৷ অনেক পিছনে থেকে দ্বিতীয় ছিল গুজরাত ৷’’
তাঁর আরও দাবি, ‘‘এখন আমরা আর ওই জায়গায় নেই ৷ করোনার সময় এসব বন্ধ হয়ে যায় ৷ সরকারও এসব বাঁচিয়ে রাখতে পদক্ষেপ করেনি ৷ সরকার তো এখন আবার আম্বানি-আদানি করছে ৷ আর মন্ত্রীদের ঘর থেকে তাড়া তাড়া নোট বেরোচ্ছে ৷ জেলে যাচ্ছে ৷ এটাই ওঁর শিল্প৷ মাঝেমধ্যে ওঁকেও মেলা করতে হয় ৷”
আরও পড়ুন: