মালদা, 15 এপ্রিল : কংগ্রেসের পথসভায় সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করল চাঁচল থানার পুলিশ। ধৃতদের আজ চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের মধ্যে দু'জন তৃণমূল কর্মী, বাকি দু'জনের একজন কংগ্রেস ও অন্যজন CPI(M) কর্মী।
গতকাল বিকেল 4টা থেকে রাত 8টা পর্যন্ত নুরগঞ্জ গ্রামের চৌমাথা মোড়ে কংগ্রেসের দলীয় প্রার্থী ইশা খান চৌধুরির সমর্থনে পথসভার অনুমতি নিয়েছিল স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। অভিযোগ, বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রেজাউল খানের নেতৃত্বে সেখানে উপস্থিত হয় 10-12 জন যুবক। তারা মঞ্চ এবং সামনে থাকা চেয়ার ভাঙচুর শুরু করে। কংগ্রেসের সমস্ত ফ্ল্যাগ-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। শুধু তাই নয়, চৌমাথার মোড়ে থাকা কংগ্রেস সমর্থকদের কয়েকটি দোকানের চালাও ভেঙে দেয়। কংগ্রেস প্রার্থীরা প্রতিবাদ করলে দুই পক্ষের মধ্যে লাঠালাঠি শুরু হয়। যার ফলে দুই পক্ষের তরফে আহত হন 8 জন। এরপরই সমস্ত ঘটনা জানিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে কমিশনের কাছে মালদার জেলাশাসক সহ পুলিশ সুপারের অপসরণের দাবি তোলে।
অন্যদিকে, দলীয় কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে আজ প্রচার বন্ধ রেখে চাঁচলে ধিক্কার মিছিলে নামেন উত্তর মালদার কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান। তাঁর সঙ্গে পা মেলান জেলা কংগ্রেস সভাপতি, হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলম ও চাঁচলের বিধায়ক আসিফ মেহেবুব। ধিক্কার মিছিল শেষে SDO-র কাছে ডেপুটেশন জমা দেন তাঁরা। তার আগে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলীয় কর্মীদের দেখতে যান কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খানসহ জেলার কংগ্রেস নেতৃত্ব।
ইশা খান বলেন, "গতকালের ঘটনার প্রতিবাদে প্রচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চাঁচলের সভাতে এসে আমাদের সভা ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমাদের প্রচারের সমস্ত পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছে। গতকালের ঘটনায় আমাদের কর্মী সহ বেশ কয়েকজন মহিলা ও শিশু আক্রান্ত হয়েছে। আমাদের দুই কর্মী মাথায় গুরুতর চোট নিয়ে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা SDO-র কাছে অভিযোগ জানাতে এসেছি। একাধিক ঘটনায় তৃণমূলের রেজাউল খান জড়িত রয়েছে। চাঁচলের পরিবেশ নষ্ট করছে সে।" পরে কংগ্রেস নেতৃত্ব চাঁচলের SDPO সজলকান্তি বিশ্বাসকেও ডেপুটেশন দেয়।
কংগ্রেসের দলীয় সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র ও রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য কলিগ্রামের নুরগঞ্জ এলাকা পরিদর্শনে আসছেন৷
এদিকে গতরাতে নুরগঞ্জে পুলিশবাহিনীর সঙ্গে রুটমার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, গতরাতেও তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সেই গ্রামে কংগ্রেসের পতাকা ও ফেস্টুন ছিঁড়ে দিয়েছে। এইবিষয়ে আজ চাঁচল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।