ETV Bharat / state

ব্লাড সুগারে আক্রান্ত দার্জিলিঙের প্রৌঢ়ার চলন্ত ট্রেনে মৃত্যু, আতঙ্ক সহযাত্রীদের মধ্যে - চলন্ত ট্রেনে যাত্রীর মৃত্যু

ব্লাড সুগারের রোগী ছিলেন৷ পদাতিক এক্সপ্রেসে বাড়ি ফেরার সময় ট্রেনে মৃত্যু হল এক প্রৌঢার৷ তাঁর ও তাঁর মেয়ের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷

malda
মালদা
author img

By

Published : Jun 3, 2020, 4:44 AM IST

মালদা, 3 জুন : চালু হতেই বিপত্তি৷ পদাতিক এক্সপ্রেসে বাড়ি ফেরার সময় ট্রেনেই মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ার৷ নাম রিতা শেরপা (62)৷ বাড়ি দার্জিলিঙের সোনাদা এলাকায়৷ গতকাল মালদা স্টেশনের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে৷ যাত্রীরা চেন টেনে ট্রেন থামালে রেলপুলিশ ওই প্রৌঢ়ার শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করে৷ চিকিৎসক ওই প্রৌঢ়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ রেলপুলিশের পক্ষ থেকে প্রৌঢ়ার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে৷ মৃতদেহ থেকে লালারস সংগ্রহ করেছেন মালদা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ৷ প্রৌঢ়ার মেয়ের লালারসও সংগ্রহ করা হয়েছে৷ তবে তাঁর রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি৷

রিতা শেরপা ব্লাড সুগারের রোগী ছিলেন৷ লকডাউনের আগে মেয়ে পুনম শেরপা তাঁকে নিয়ে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন৷ কলকাতায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন তাঁরা৷ এরই মধ্যে লকডাউন ঘোষিত হয়৷ আটকে পড়েন মা ও মেয়ে৷ অবশেষে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতেই প্রথমদিনেই তাঁরা NJP ফেরার টিকিট কাটেন৷ পদাতিক এক্সপ্রেসের S2 কোচে তাঁদের আসন সংরক্ষিত ছিল৷ সোমবার রাতে শিয়ালদা থেকে তাঁরা ট্রেনে ওঠেন৷ গতকাল সকালে মালদা স্টেশন ছাড়ার পরেই মেয়ে লক্ষ্য করেন, মা নিথর৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি সহযাত্রীদের সেকথা জানান৷ ওই কোচে থাকা অন্য যাত্রীরা চেন টেনে ট্রেন থামান৷ তাঁরা ট্রেনের গার্ডকে গোটা ঘটনা জানালে গার্ড মালদা স্টেশনে খবর দেন৷ খবর পেয়ে রেলপুলিশ ও রেলকর্মীরা স্টেশন থেকে সামান্য দূরে ট্রেনে এসে পৌঁছান৷ খবর দেওয়া হয় মালদা রেল হাসপাতালে৷ সেখান থেকে এক চিকিৎসক ওই কামরায় গিয়ে প্রৌঢ়াকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷

পুনম জানিয়েছেন, “রাত ১২টা নাগাদ মা একবার বাথরুমে গিয়েছিলেন৷ তিনি ব্লাড সুগারের রোগী ছিলেন৷ বাথরুম যাওয়ার প্রয়োজন বেশি পড়ত৷ তাই এনিয়ে কিছু ভাবিনি৷ মালদা স্টেশন ছাড়ার পর মায়ের শুয়ে থাকার ধরন দেখে একটু সন্দেহ হয়৷ আমি তাঁকে ধাক্কা দিয়ে জাগানোর চেষ্টা করি৷ তখনই লক্ষ্য করি, মায়ের দেহ অসম্ভব ঠান্ড৷ কোনও সাড় নেই৷ আমার সন্দেহ আরও গাঢ় হয়৷ সহযাত্রীদের সব কথা খুলে বলি৷ তখনও ট্রেন খুব একটা গতি নেয়নি৷ সহযাত্রীরা সঙ্গে সঙ্গে চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে গার্ডকে খবর দেন৷ পরে চিকিৎসক এসে মা-কে মৃত ঘোষণা করেন৷ রেলপুলিশ মায়ের মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়৷”

মালদা GRP-র IC ভাস্কর প্রধান বলেন, “চলন্ত ট্রেনে ওই প্রৌঢ়ার মৃত্যুতে কামরার অন্য যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়৷ আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে মালদা মেডিকেলে পাঠিয়েছি৷ প্রৌঢ়ার মেয়েকেও ট্রেন থেকে নামানো হয়েছে৷ এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে৷”

এদিকে মালদা মেডিকেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে৷ ওই প্রৌঢ়ার মৃতদেহসহ তাঁর মেয়ের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷ তবে তার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি৷ রিপোর্ট পাওয়ার পর তা নেগেটিভ হলে বৃদ্ধার মৃতদেহ পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হবে৷

মালদা, 3 জুন : চালু হতেই বিপত্তি৷ পদাতিক এক্সপ্রেসে বাড়ি ফেরার সময় ট্রেনেই মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ার৷ নাম রিতা শেরপা (62)৷ বাড়ি দার্জিলিঙের সোনাদা এলাকায়৷ গতকাল মালদা স্টেশনের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে৷ যাত্রীরা চেন টেনে ট্রেন থামালে রেলপুলিশ ওই প্রৌঢ়ার শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করে৷ চিকিৎসক ওই প্রৌঢ়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ রেলপুলিশের পক্ষ থেকে প্রৌঢ়ার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে৷ মৃতদেহ থেকে লালারস সংগ্রহ করেছেন মালদা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ৷ প্রৌঢ়ার মেয়ের লালারসও সংগ্রহ করা হয়েছে৷ তবে তাঁর রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি৷

রিতা শেরপা ব্লাড সুগারের রোগী ছিলেন৷ লকডাউনের আগে মেয়ে পুনম শেরপা তাঁকে নিয়ে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন৷ কলকাতায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন তাঁরা৷ এরই মধ্যে লকডাউন ঘোষিত হয়৷ আটকে পড়েন মা ও মেয়ে৷ অবশেষে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতেই প্রথমদিনেই তাঁরা NJP ফেরার টিকিট কাটেন৷ পদাতিক এক্সপ্রেসের S2 কোচে তাঁদের আসন সংরক্ষিত ছিল৷ সোমবার রাতে শিয়ালদা থেকে তাঁরা ট্রেনে ওঠেন৷ গতকাল সকালে মালদা স্টেশন ছাড়ার পরেই মেয়ে লক্ষ্য করেন, মা নিথর৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি সহযাত্রীদের সেকথা জানান৷ ওই কোচে থাকা অন্য যাত্রীরা চেন টেনে ট্রেন থামান৷ তাঁরা ট্রেনের গার্ডকে গোটা ঘটনা জানালে গার্ড মালদা স্টেশনে খবর দেন৷ খবর পেয়ে রেলপুলিশ ও রেলকর্মীরা স্টেশন থেকে সামান্য দূরে ট্রেনে এসে পৌঁছান৷ খবর দেওয়া হয় মালদা রেল হাসপাতালে৷ সেখান থেকে এক চিকিৎসক ওই কামরায় গিয়ে প্রৌঢ়াকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷

পুনম জানিয়েছেন, “রাত ১২টা নাগাদ মা একবার বাথরুমে গিয়েছিলেন৷ তিনি ব্লাড সুগারের রোগী ছিলেন৷ বাথরুম যাওয়ার প্রয়োজন বেশি পড়ত৷ তাই এনিয়ে কিছু ভাবিনি৷ মালদা স্টেশন ছাড়ার পর মায়ের শুয়ে থাকার ধরন দেখে একটু সন্দেহ হয়৷ আমি তাঁকে ধাক্কা দিয়ে জাগানোর চেষ্টা করি৷ তখনই লক্ষ্য করি, মায়ের দেহ অসম্ভব ঠান্ড৷ কোনও সাড় নেই৷ আমার সন্দেহ আরও গাঢ় হয়৷ সহযাত্রীদের সব কথা খুলে বলি৷ তখনও ট্রেন খুব একটা গতি নেয়নি৷ সহযাত্রীরা সঙ্গে সঙ্গে চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে গার্ডকে খবর দেন৷ পরে চিকিৎসক এসে মা-কে মৃত ঘোষণা করেন৷ রেলপুলিশ মায়ের মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়৷”

মালদা GRP-র IC ভাস্কর প্রধান বলেন, “চলন্ত ট্রেনে ওই প্রৌঢ়ার মৃত্যুতে কামরার অন্য যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়৷ আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে মালদা মেডিকেলে পাঠিয়েছি৷ প্রৌঢ়ার মেয়েকেও ট্রেন থেকে নামানো হয়েছে৷ এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে৷”

এদিকে মালদা মেডিকেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে৷ ওই প্রৌঢ়ার মৃতদেহসহ তাঁর মেয়ের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷ তবে তার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি৷ রিপোর্ট পাওয়ার পর তা নেগেটিভ হলে বৃদ্ধার মৃতদেহ পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হবে৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.