ETV Bharat / state

রাহুলের সভায় লাখো ভিড়, হুড়োহুড়িতে জখম ৭ - PUBLIC MEETING

মালদায় রাহুল গান্ধির সভা শুরুর আগেই বিশৃঙ্খলা। পরে সভা চলাকালীন হুড়োহুড়িতে জখম ৭।

chaos
author img

By

Published : Mar 23, 2019, 3:07 PM IST

Updated : Mar 23, 2019, 9:17 PM IST

মালদা, ২৩ মার্চ : চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার নিদর্শন হয়ে রইল চাঁচলের কলমবাগানে আয়োজিত রাহুল গান্ধির সভা। অত্যধিক ভিড়ের চাপে ভেঙে গেল বাঁশের ব্যারিকেড। ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তত ৭ জন। ছ'জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। একজনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।

রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারের জন্য প্রথমে মালদাকে বেছে নিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। চাঁচলের কলমবাগান ময়দানে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। মাঠটিতে প্রায় এক লাখ লোক ধরে। মঞ্চের পিছনে মাঠের একদিকে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছিল। কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়েছিল, দুপুর তিনটে নাগাদ রাহুল গান্ধির সভা শুরু হবে। তবে সভার কাজ দুপুর একটা থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বেলা ১২টা থেকে পিলপিল করে মাঠে ঢুকতে থাকে মানুষ। দুপুর দেড়টা নাগাদ মাঠ ভরতি হয়ে যায়। ভিড়ের চাপে বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে যায়। মুহূর্তের মধ্যে মঞ্চের সামনে VIP ও সংবাদমাধ্যমের জন্য নির্ধারিত জায়গায় ঢুকে পড়ে কয়েক হাজার মানুষ।

পরিস্থিতি দেখে ছুটে আসে SPG। মঞ্চ থেকে নেমে মানুষজনকে বোঝাতে এগিয়ে আসেন আবু হাসেম খান, দীপা দাশমুন্সি, ইশা খান চৌধুরিরা। কিন্তু ব্যর্থ হন তাঁরা। তাঁদের সামনেই চলতে থাকে চেয়ার ছোড়াছুড়ি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ফের মঞ্চে চলে যান নেতানেত্রীরা। মঞ্চ থেকেই শান্ত থাকার বার্তা দেওয়া হয়। আসরে নামতে হয় পুলিশকে। কিন্তু, পুলিশও উপস্থিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। পরিস্থিতি বুঝে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর ভাষণ কাটছাঁট করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নির্দিষ্ট সূচির আগেই বক্তব্য শুরু করেছিলেন রাহুল। তাঁর বক্তব্যের মধ্যেই একসময় ভেঙে পড়ে বৈদ্যুতিন মাধ্যমের সাংবাদিকদের জন্য নির্মিত ছোটো একটি এনক্লোজ়ারের ব্যারিকেডও। সামান্য আহত হন কয়েকজন সাংবাদিক। কয়েকজনের ক্যামেরার সামগ্রীও ভেঙে যায়।

রাহুল সভাস্থান ছেড়ে যাওয়ার পরও বিশৃঙ্খলা বন্ধ হয়নি। মঞ্চের সামনের ব্যারিকেড টপকে মানুষ দৌড়াতে শুরু করে রাহুল গান্ধির চপারের দিকে। তাদের আটকাতে পারেনি SPG-ও। বিশৃঙ্খলা নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য কিছু বলতে চায়নি। তবে নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক নেতা বলেন, "এই মুহূর্তে উত্তর মালদায় কংগ্রেসের শক্তি যে অনেকটা কমেছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু এই বাজারেও যে কংগ্রেসের এত সমর্থক চড়া রোদ মাথায় নিয়ে রাহুলজির সভায় আসবেন তা কেউ বুঝতে পারেনি। ওই নেতার দাবি, আজ সভায় দেড় লাখেরও বেশি লোক হয়েছিল। এত লোক ধারণ করার ক্ষমতা এই মাঠের নেই। সেকারণেই মানুষের আবেগকে আমরা আটকাতে পারিনি।"

মালদা, ২৩ মার্চ : চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার নিদর্শন হয়ে রইল চাঁচলের কলমবাগানে আয়োজিত রাহুল গান্ধির সভা। অত্যধিক ভিড়ের চাপে ভেঙে গেল বাঁশের ব্যারিকেড। ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তত ৭ জন। ছ'জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। একজনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।

রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারের জন্য প্রথমে মালদাকে বেছে নিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। চাঁচলের কলমবাগান ময়দানে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। মাঠটিতে প্রায় এক লাখ লোক ধরে। মঞ্চের পিছনে মাঠের একদিকে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছিল। কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়েছিল, দুপুর তিনটে নাগাদ রাহুল গান্ধির সভা শুরু হবে। তবে সভার কাজ দুপুর একটা থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বেলা ১২টা থেকে পিলপিল করে মাঠে ঢুকতে থাকে মানুষ। দুপুর দেড়টা নাগাদ মাঠ ভরতি হয়ে যায়। ভিড়ের চাপে বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে যায়। মুহূর্তের মধ্যে মঞ্চের সামনে VIP ও সংবাদমাধ্যমের জন্য নির্ধারিত জায়গায় ঢুকে পড়ে কয়েক হাজার মানুষ।

পরিস্থিতি দেখে ছুটে আসে SPG। মঞ্চ থেকে নেমে মানুষজনকে বোঝাতে এগিয়ে আসেন আবু হাসেম খান, দীপা দাশমুন্সি, ইশা খান চৌধুরিরা। কিন্তু ব্যর্থ হন তাঁরা। তাঁদের সামনেই চলতে থাকে চেয়ার ছোড়াছুড়ি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ফের মঞ্চে চলে যান নেতানেত্রীরা। মঞ্চ থেকেই শান্ত থাকার বার্তা দেওয়া হয়। আসরে নামতে হয় পুলিশকে। কিন্তু, পুলিশও উপস্থিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। পরিস্থিতি বুঝে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর ভাষণ কাটছাঁট করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নির্দিষ্ট সূচির আগেই বক্তব্য শুরু করেছিলেন রাহুল। তাঁর বক্তব্যের মধ্যেই একসময় ভেঙে পড়ে বৈদ্যুতিন মাধ্যমের সাংবাদিকদের জন্য নির্মিত ছোটো একটি এনক্লোজ়ারের ব্যারিকেডও। সামান্য আহত হন কয়েকজন সাংবাদিক। কয়েকজনের ক্যামেরার সামগ্রীও ভেঙে যায়।

রাহুল সভাস্থান ছেড়ে যাওয়ার পরও বিশৃঙ্খলা বন্ধ হয়নি। মঞ্চের সামনের ব্যারিকেড টপকে মানুষ দৌড়াতে শুরু করে রাহুল গান্ধির চপারের দিকে। তাদের আটকাতে পারেনি SPG-ও। বিশৃঙ্খলা নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য কিছু বলতে চায়নি। তবে নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক নেতা বলেন, "এই মুহূর্তে উত্তর মালদায় কংগ্রেসের শক্তি যে অনেকটা কমেছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু এই বাজারেও যে কংগ্রেসের এত সমর্থক চড়া রোদ মাথায় নিয়ে রাহুলজির সভায় আসবেন তা কেউ বুঝতে পারেনি। ওই নেতার দাবি, আজ সভায় দেড় লাখেরও বেশি লোক হয়েছিল। এত লোক ধারণ করার ক্ষমতা এই মাঠের নেই। সেকারণেই মানুষের আবেগকে আমরা আটকাতে পারিনি।"

Intro:EXCLUSIVE
মালদা, ২০ ডিসেম্বর : মিড-ডে মিলের রান্নার মান নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অভিযোগে সরব হয় জনতা৷ মাঝেমধ্যে ক্ষিপ্ত অভিভাবকদের হাতে ঘেরাও হয়ে যান শিক্ষক কিংবা এই রান্নার সঙ্গে উক্ত মহিলারা৷ এর জন্য পড়ুয়া পিছু যে অর্থ সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়, তাতে ভালো মানের খাবার দেওয়া যায় না বলেও অনেক সময় অভিযোগ উঠে আসে৷ এবার সেই সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ এবার থেকে স্কুলেই সারা বছর ধরে উৎপাদন করা হবে শাকসবজির৷ সেই তাজা শাকসবজি দিয়ে রান্না হবে মিড-ডে মিল৷ গোটা রাজ্যেই এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে৷ পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে প্রথমে প্রতি জেলায় ২০টি স্কুলকে বেছে নেওয়া হয়েছে৷ সেই কাজ শুরু হয়েছে মালদাতেও৷
Body:জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মিড-ডে মিলে রান্নার মান উন্নত করতে রাজ্য সরকার এই প্রকল্প গ্রহণ করেছে৷ গোটা প্রকল্পটি পরিচালনা করছে জেলা উদ্যানপালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তর৷ পাইলট প্রজেক্টের জন্য ইতিমধ্যে জেলার ২০টি স্কুলকে বেছে নেওয়া হয়েছে৷ গতকাল সেই স্কুলগুলির শিক্ষকদের নিয়ে একটি বৈঠক করে উদ্যানপালন দপ্তর৷ এই প্রকল্পে স্কুলেই তৈরি করা হবে কেঁচো সার৷ শাকসবজিতে সেই সার প্রয়োগ করা হবে৷ অর্থাৎ পুরোপুরি জৈব পদ্ধতিতে এই চাষ করা হবে৷ বিভিন্ন মরশুমের জন্য শাকসবজির তালিকাও ইতিমধ্যে তৈরি করে ফেলেছে উদ্যানপালন দপ্তর৷
         জেলা উদ্যানপালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের সহকারী ডিরেক্টর রাহুল চক্রবর্তী ইনাডু ইন্ডিয়াকে বলেন, “স্কুলের মিড-ডে মিলের পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য সম্প্রতি রাজ্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে৷ কোনও স্কুলে মাত্র ৩ কাঠা জায়গা থাকলেই এই প্রকল্প সেখানে চালু করা যাবে৷ সেই জায়গায় উৎপাদিত সবজি ও ফল স্কুলের মিড-ডে মিলে অন্তর্ভূক্ত করা যাবে৷ এই প্রকল্পের পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে প্রতিটি জেলায় ২০টি স্কুলকে বেছে নেওয়া হয়েছে৷ এই জেলাতেও আমরা ২০টি স্কুলকে বেছে নিয়েছি৷ স্কুলগুলির শিক্ষকদের নিয়ে গতকাল আমরা একটি বৈঠক করেছি৷ এই প্রকল্পে স্কুলের কোনও শিক্ষক কিংবা অশিক্ষক কর্মী স্কুল কিচেন গার্ডেন দেখাশোনার দায়িত্বে থাকবেন৷ তাঁর সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরাও এই বাগান দেখাশোনা করবে৷ কী করে বাগানে বেড তৈরি করা হবে, কোন কোন সবজির চাষ করা ভালো হবে, সারের জোগান কীভাবে দেওয়া হবে, কম্পোস্ট ও ভার্মি কম্পোস্ট সার কীভাবে বানাতে হবে, সেসব গতকালের বৈঠকে আমরা সবাইকে বুঝিয়ে বলেছি৷ মালদায় এই কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে৷ আশা করছি, জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে ২০টি স্কুলেরই কিচেন গার্ডেনের কাজ আমরা শেষ করে ফেলতে পারব৷”
         রাহুলবাবু জানান, এখন শীতের মরশুম৷ তাই তাঁরা প্রথমে শীতকালীন শাকসবজি চাষে গুরুত্ব দিচ্ছেন৷ যেমন পালং শাক, মুলো প্রভৃতি শাকসবজি খুব তাড়াতাড়ি উৎপাদিত হয়৷ খুব তাড়াতাড়ি এই সব সবজি মিড-ডে মিলে ব্যবহার করা যেতে পারে৷ বেগুন, টম্যাটো, লংকার মতো সারা বছর ব্যবহারযোগ্য সবজির জন্য তাঁরা আলাদা বেড তৈরি করবেন৷ প্রতিটি স্কুলে অন্তত ৬টি করে বেড তৈরি করতে হবে৷ তবে জায়গা থাকলে আরও বেশি বেড তৈরি করা যেতে পারে৷ এই চাষ পুরোপুরি জৈব পদ্ধতিতে করা হবে৷ এতে মিড-ডে মিলে পুষ্টি বৃদ্ধির পাশাপাশি আরও একটি সুবিধে রয়েছে৷ সব পড়ুয়ারা কখনই চাকরি করবে না৷ তাদের অনেকে কৃষিকাজ করতে পারে৷ স্কুলে এই চাষ আধুনিক কৃষিকাজ সম্পর্কে তাদের একটা ধারণা দেবে৷ এতে পড়ুয়াদের কায়িক পরিশ্রমও হবে৷ প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক, প্রতিটি স্তরের স্কুলকেই এই প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে৷ এই প্রকল্পের পাইলট প্রজেক্টের জন্য মালদা জেলায় বরাদ্দ হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা৷
         মালদা জেলার ১৫টি ব্লকের যে ২০টি স্কুলকে এই প্রকল্পের পাইলট প্রজেক্টের আওতায় আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে পুরাতন মালদার কালাচাঁদ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়৷ এই স্কুলে প্রায় ১৮০০ পড়ুয়া৷ তার মধ্যে মিড-ডে মিল খায় প্রায় ৭০০ জন৷ স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাহুলরঞ্জন দাস এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন৷ তিনি বলেন, “এখন প্রতিদিন আমরা উন্নত মানের সবজি মিড-ডে মিলে দিতে পারি না৷ এই প্রকল্পে বলা হচ্ছে, স্কুলের ৩ কাঠা জমিতে সবজি চাষ করার জন্য রাজ্য সরকার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ স্কুলকে দেবে৷ সেই টাকায় স্কুলের শিক্ষক, পড়ুয়া সবাই মিলে সারা বছর মরশুমি সবজি চাষ করবে৷ জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত সেই শাকসবজি স্কুলের মিড-ডে মিলে ব্যবহার করা হবে৷ মিড-ডে মিলের পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য এটা একটা অসাধারণ সিদ্ধান্ত৷ এতে পড়ুয়ারাও ছোটো থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজের বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবে৷ এতে আমাদের হয়তো একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে, কিন্তু এই প্রকল্প চালু হলে সবার সুবিধে হবে
Conclusion:রাজ্যের পড়ুয়াদের পুষ্টির কথা ভেবে রাজ্য সরকার যে প্রকল্প চালুর উদ্যোগ নিয়েছে, তাকে স্বাগত জানাচ্ছেন সবাই৷ এখন দেখার, এই প্রকল্প কবে সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়৷
Last Updated : Mar 23, 2019, 9:17 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.