মালদা, 27 মার্চ : বাংলায় ভোট পার্বণ শুরু হয়েছে । আজ মালদায় প্রচারে গেলেন ফিরহাদ হাকিম ৷ চাঁচলের তৃণমূল প্রার্থী নীহাররঞ্জন ঘোষের সমর্থনে জেলার প্রথম নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেন তিনি ৷
চাঁচলের কলমবাগান ময়দানে জনসভা অনুষ্ঠিত হয় ৷ নীহারবাবু ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর, হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রার্থী তাজমুল হোসেন, রতুয়ার প্রার্থী সমর মুখোপাধ্যায়, মালতিপুরের প্রার্থী আবদুর রহিম বক্সি, গায়ক সৌমিত্র রায় সহ আরও এক ঝাঁক নেতা-নেত্রী ৷ এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফিরহাদ হাকিমের মুখে উঠে এসেছে প্রথম দফা নির্বাচন প্রসঙ্গ ৷ এনিয়ে বিজেপিকে 'শকুনি' বলে কটাক্ষ করেন তিনি ৷ তিনি বলেন, “বিজেপি বাংলায় মানুষের সঙ্গে মানুষের লড়াই বাধানোর চেষ্টা করছে ৷ কিন্তু এই শকুনিগুলোকে কেন আমরা সুযোগ করে দেব ? আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই, বাঁচতে চাই ৷ এটা আমাদের বাংলা ৷ কেউ এসে বলবে, দোস্তো, হাম আপকে পাস আ গ্যায়ে হ্যায় ৷ হাম সুনার বাংগাল বানাব ৷ সোনার উত্তরপ্রদেশ বানাতে গিয়ে মলের বানিয়ে দিয়েছে ৷"
তিনি মানুষকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, " আমরাই আপনাদের সঙ্গে থাকব ৷ যেহেতু নীহার ইংরেজবাজার পৌরসভা ভালভাবে চালিয়েছেন, তাই চাঁচল পৌরসভা গঠনেও আমি ওঁর সাহায্য নিতে চাই ৷ কারণ, নতুন পৌরসভার ক্ষেত্রে বিধায়কদের সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে ৷ চাঁচলের অনেক উন্নয়ন হয়েছে ৷ আরও হবে ৷" কংগ্রেস এবং সিপিআইএমকে কটাক্ষ করে ফিরহাদ বলেন, ‘‘ওদের তো পা খোঁড়া ৷ তাই জোট বেঁধে দুই পা সচল রাখার চেষ্টা করছে ৷
প্রথম দফার নির্বাচন নিয়ে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বলেন, “ইভিএমে মানুষ ভোট দিচ্ছেন এক জায়গায়, যাচ্ছে আরেক জায়গায় ৷ মারছে তৃণমূলে, যাচ্ছে বিজেপিতে ৷ নতুন একজনকে বিজেপি নিয়েছে ৷ যে বলেছিল, মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে ৷ মনে রাখা ভাল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের মুখ্যমন্ত্রী, আর নরেন্দ্র মোদি ইভিএমের প্রধানমন্ত্রী ৷ এটাই দুই দলের তফাত ৷”
আরও পড়ুন : পদ্মফুলে শিশির-বিন্দু, বড়-অধিকারীর দৃপ্ত ঘোষণার ঘাসফুলে আরও শ্যাওলা !
সভা শেষে সংবাদমাধ্যমকে ফিরহাদ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, ইভিএম নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ আজ তার প্রমাণ মিলেছে ৷ এখন বলছে, মেশিন খারাপ ৷ যেসব মেশিনে এই কারসাজি ধরা পড়ছে সেগুলি বদলানো হচ্ছে ৷ আর যে মেশিনগুলোতে কিছু ধরা পড়ছে না, সেখানে এভাবেই ভোট করানো হবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবে হারানো যায় না ৷ বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন, আছেন, থাকবেন ৷”