মালদা, 14 এপ্রিল : শীতলকুচির ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতা-নেত্রী কমিশনের দিকে যে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন, তার কঠোর সমালোচনা করলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সায়ন্তন বসু ৷ তিনি রাজ্য নির্বাচন দফতরের কাছে শীতলকুচির ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশ্যে আনারও দাবি জানিয়েছেন ৷
আজ, বুধবার মালদার ইংরেজবাজার কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর সমর্থনে প্রচার করেন সায়ন্তন বসু ৷ তিনি মালদা শহরের সদরঘাট এলাকায় চায়ে পে চর্চায় অংশ নেন ৷ সেখানে তিনি বলেন, “10 তারিখের নির্বাচনের পর চারদিকে শীতলকুচির নাম ৷ সেখানে নাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী খুব ভুল কাজ করেছে ৷ যাঁরা ভোট দিতে এসেছিলেন, তাঁরা নাকি সবাই শান্তশিষ্ট, নিরীহ মানুষ ৷ তাঁদেরকে খুন করা হয়েছে ৷ এরপরেই দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, শুভেন্দু অধিকারী, এমনকী আমার নামেও অনেক কথা বলা হচ্ছে ৷ যাঁরা দুঃখপ্রকাশ করছেন, তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে ৷’’
এর পরই তিনি 2010 সালের কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে আনেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘কিন্তু একটা কথা জানাতে চাই, 2010 সালে কলকাতা পুর-নির্বাচনে পাটুলিতে সিপিএমের পোলিং এজেন্ট অরবিন্দ ধর ওরফে বাপি ভোটের পর ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের গুলিতে মারা যান ৷ তখন আজকের দুঃখের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছিলেন, বাপি কুখ্যাত দুষ্কৃতী ৷ রিগিং করতে গিয়ে গুলিতে মরে গিয়েছে ৷’’
সেই সময় মমতার মন্তব্য ও এখন শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে তৃণমূল নেত্রীর অবস্থান কেন ভিন্ন সেই প্রশ্ন তুলেছেন এই বিজেপি নেতা ৷ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘দিদিমনি (মমতা) এখন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ধর্না দিচ্ছেন ৷ তাঁর সঙ্গে থাকা স্তাবকদের মিডিয়া বড় করে দেখাচ্ছে ৷ কিন্তু বিজেপি এভাবে হিন্দু-মুসলমানের ভেদাভেদ করে না ৷ সমাজবিরোধী হিন্দু হলেও যা, মুসলমান হলেও তাই ৷ তৃণমূল পঞ্চায়েতের মতো বিধানসভা ভোট করাতে চাইছে ৷ বিজেপি সেটা হতে দেবে না ৷”
আরও পড়ুন : ভোটের ফলের আগেই তৃণমূলকে ‘বিরোধী’ বলে কটাক্ষ দিলীপের
সায়ন্তন আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃতদের বাড়ি যাচ্ছেন ৷ কিন্তু আনন্দ বর্মনের বাড়িতে যাচ্ছেন না ৷ আসলে যারা দুধেল গোরু, তাদের বাড়িতেই যাচ্ছেন তিনি ৷ সব ভোট ব্যাংকের দিকে তাকিয়ে ৷ পঞ্চায়েত ভোটে 100 জন মারা গিয়েছিলেন ৷ তিনি কারও বাড়িতে গিয়েছেন ? আসলে দুধেল গোরু দেখলেই তাঁর ভোটের কথা মনে পড়ে ৷ তবে এখন নির্বাচনে ঝামেলা করতে গুন্ডারা ভয় পাবে ৷”