ETV Bharat / state

মিলছে না ভিক্ষে, সাহায্যের অপেক্ষায় ভিখারিরা - Beggars are in problem due to lockdown

লকডাউনের ফলে মিলছে না ভিক্ষে ৷ সমস্যায় পড়েছে ভিখারিরা ৷

মহম্মদ দোলন আনসারি
মহম্মদ দোলন আনসারি
author img

By

Published : Apr 17, 2020, 6:25 PM IST

Updated : Apr 17, 2020, 9:43 PM IST

মালদা, 17 এপ্রিল : লকডাউনে সমস্যায় পড়েছে গ্রামাঞ্চলের ভিখারিরা ৷ প্রায় কারও কাছেই পৌঁছায়নি প্রশাসনিক কিংবা বেসরকারি সাহায্য ৷ এই পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য চাইছেন তাঁরা ৷ সেই ছবিই আজ ধরা পড়ল চাঁচলের নেতাজি মোড় এলাকায় ৷

গত ছয় বছর ধরে চাঁচলের পাঞ্চালিপাড়ায় ভাড়াবাড়িতে থাকেন পঞ্চাশোর্ধ মহম্মদ দোলন আনসারি ৷ জন্ম থেকেই তিনি বিশেষভাবে সক্ষম ৷ তাঁর দুই পা অকেজো ৷ জোর নেই বাঁ হাতেও ৷ তাঁর পৈতৃক বাড়ি বর্ধমানে ৷ ছোটো থেকে ট্রেন-বাসে ভিক্ষা করেই পেট চালান ৷ বছর ছয়েক আগে এসে পৌঁছান চাঁচলে ৷ তখন থেকে এখানেই থেকে গিয়েছেন ৷ পাঞ্চালিপাড়ায় একটি ছোটো ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন ৷ পরে আম্মাকেও এখানে নিয়ে আসেন ৷ তবে তাঁর বিবি ও দুই ছেলে এখনও বর্ধমানে থাকেন ৷ বর্তমানে চাঁচলকেই নিজের জায়গা বলে মনে করেন তিনি ৷ ভিক্ষে করেই সংসার চলে ৷ সেই উপার্জন থেকে বর্ধমানে পরিবারকেও টাকা পাঠান ৷ কিন্তু লকডাউন এখন তাঁর জীবনে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ রোজ ভিক্ষে করতে বের হতে পারেন না ৷ কোনও কোনওদিন বের হলেও আয় আগের মতো হয় না ৷ এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েছেন তিনি ৷

ঘরে খাবার প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ায় আজ ভিক্ষে করতে বেরোতেই হয়েছিল বিশেষভাবে সক্ষম মহম্মদ আনসারিকে ৷ তিনি বলেন, "ছয় বছর ধরে এখানে রয়েছি ৷ এখন চাঁচলই আমার ঘর-বাড়ি হয়ে গিয়েছে ৷ এমন পরিস্থিতি আগে কখনও হয়নি ৷ প্রথম থেকেই নেতাজি মোড়ে বসে ভিক্ষে করি ৷ আগে প্রতিদিন প্রায় 500 টাকা উপার্জন হত ৷ সেই টাকায় আমাদের দু’জনের ভালোভাবেই চলে যেত ৷ টাকা পাঠাতাম বর্ধমানেও ৷ কিন্তু লকডাউন ঘোষণার পর দিনে 100 থেকে 150 টাকার বেশি উপার্জন হয় না ৷ প্রতিদিন ভিক্ষে করতে যেতেও পারি না পুলিশের ভয়ে ৷ এদিকে জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে ৷ এই মাসে এখনও বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারিনি ৷ কোনও সাহায্যও এখনও কেউ দেয়নি ৷ কিছু সাহায্য পেলে আমার সুবিধা হত ৷"

খবর পেয়ে মহম্মদকে প্রশাসনিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন চাঁচল এক-এর BDO সমীরণ ভট্টাচার্য ৷ তিনি বলেন, "ওই ব্যক্তিকে প্রশাসনের তরফে চাল, ডাল, আলু ও সয়াবিন দেওয়া হবে ৷ আজই সেসব তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷" তবে শুধু মহম্মদ নয়, তাঁর মতো আরও অনেক ভিখারি গ্রামেগঞ্জে চরম সমস্যায় রয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে ৷ বিশেষত যারা মন্দির কিংবা মসজিদের সামনে ভিক্ষে করতেন, সেসব বন্ধ থাকায় তাঁদের পরিস্থিতি এখন দুর্বিসহ ৷

মালদা, 17 এপ্রিল : লকডাউনে সমস্যায় পড়েছে গ্রামাঞ্চলের ভিখারিরা ৷ প্রায় কারও কাছেই পৌঁছায়নি প্রশাসনিক কিংবা বেসরকারি সাহায্য ৷ এই পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য চাইছেন তাঁরা ৷ সেই ছবিই আজ ধরা পড়ল চাঁচলের নেতাজি মোড় এলাকায় ৷

গত ছয় বছর ধরে চাঁচলের পাঞ্চালিপাড়ায় ভাড়াবাড়িতে থাকেন পঞ্চাশোর্ধ মহম্মদ দোলন আনসারি ৷ জন্ম থেকেই তিনি বিশেষভাবে সক্ষম ৷ তাঁর দুই পা অকেজো ৷ জোর নেই বাঁ হাতেও ৷ তাঁর পৈতৃক বাড়ি বর্ধমানে ৷ ছোটো থেকে ট্রেন-বাসে ভিক্ষা করেই পেট চালান ৷ বছর ছয়েক আগে এসে পৌঁছান চাঁচলে ৷ তখন থেকে এখানেই থেকে গিয়েছেন ৷ পাঞ্চালিপাড়ায় একটি ছোটো ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন ৷ পরে আম্মাকেও এখানে নিয়ে আসেন ৷ তবে তাঁর বিবি ও দুই ছেলে এখনও বর্ধমানে থাকেন ৷ বর্তমানে চাঁচলকেই নিজের জায়গা বলে মনে করেন তিনি ৷ ভিক্ষে করেই সংসার চলে ৷ সেই উপার্জন থেকে বর্ধমানে পরিবারকেও টাকা পাঠান ৷ কিন্তু লকডাউন এখন তাঁর জীবনে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ রোজ ভিক্ষে করতে বের হতে পারেন না ৷ কোনও কোনওদিন বের হলেও আয় আগের মতো হয় না ৷ এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েছেন তিনি ৷

ঘরে খাবার প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ায় আজ ভিক্ষে করতে বেরোতেই হয়েছিল বিশেষভাবে সক্ষম মহম্মদ আনসারিকে ৷ তিনি বলেন, "ছয় বছর ধরে এখানে রয়েছি ৷ এখন চাঁচলই আমার ঘর-বাড়ি হয়ে গিয়েছে ৷ এমন পরিস্থিতি আগে কখনও হয়নি ৷ প্রথম থেকেই নেতাজি মোড়ে বসে ভিক্ষে করি ৷ আগে প্রতিদিন প্রায় 500 টাকা উপার্জন হত ৷ সেই টাকায় আমাদের দু’জনের ভালোভাবেই চলে যেত ৷ টাকা পাঠাতাম বর্ধমানেও ৷ কিন্তু লকডাউন ঘোষণার পর দিনে 100 থেকে 150 টাকার বেশি উপার্জন হয় না ৷ প্রতিদিন ভিক্ষে করতে যেতেও পারি না পুলিশের ভয়ে ৷ এদিকে জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে ৷ এই মাসে এখনও বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারিনি ৷ কোনও সাহায্যও এখনও কেউ দেয়নি ৷ কিছু সাহায্য পেলে আমার সুবিধা হত ৷"

খবর পেয়ে মহম্মদকে প্রশাসনিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন চাঁচল এক-এর BDO সমীরণ ভট্টাচার্য ৷ তিনি বলেন, "ওই ব্যক্তিকে প্রশাসনের তরফে চাল, ডাল, আলু ও সয়াবিন দেওয়া হবে ৷ আজই সেসব তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷" তবে শুধু মহম্মদ নয়, তাঁর মতো আরও অনেক ভিখারি গ্রামেগঞ্জে চরম সমস্যায় রয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে ৷ বিশেষত যারা মন্দির কিংবা মসজিদের সামনে ভিক্ষে করতেন, সেসব বন্ধ থাকায় তাঁদের পরিস্থিতি এখন দুর্বিসহ ৷

Last Updated : Apr 17, 2020, 9:43 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.