মানিকচক, 10 মার্চ: স্ত্রীকে খুন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল যুবক (After Killing Wife Youth Died by Suicide)। বৃহস্পতিবার গভীর রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার মানিকচকে (Crime at Malda)। মৃতদেহ দু'টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভূতনি থানার পুলিশ।
মৃত দম্পতির নাম পিন্টু পাল (26) ও প্রিয়াঙ্কা পাল (22)। পিণ্টু মাঠে চাষবাসের কাজ করত । প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর 1 বছর 3 মাস হল প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে করেছেন তিনি । তাঁদের দুই মাসের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে । বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়ার পর পরিবারের সকলে নিজের ঘরে চলে গিয়েছিলেন । হঠাৎ পিন্টুর 2 মাসের ছেলে কাঁদতে শুরু করলে সেই আওয়াজ পেয়ে বাবা মন্টু পাল দরজায় ধাক্কা মেরে ডাকাডাকি করতে থাকেন । পিণ্টু দরজা খুলে মন্টুবাবুর হাতে ছেলেকে দিয়ে জানান, তাঁর বৌমা আর নেই । একথা শুনে মন্টুবাবু কিছু জিজ্ঞাসা করতে যেতেই পিন্টু দরজা বন্ধ করে দেন ।
এই অবস্থায় তিনি দৌড়ে তাঁর ভাইকে ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের ডাকেন । তাঁদের সাহায্যে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন পিন্টু ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে ও প্রিয়াঙ্কার দেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে । খবর পেয়ে মৃতদেহ দু'টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠায় ভূতনি থানার পুলিশ ।
এই বিষয়ে মন্টুবাবু বলেন, "রাতে আমি ঘুমিয়েছিলাম । নাতির কান্নার আওয়াজ শুনে ছেলেকে ডাকাডাকি করি । ছেলে বাইরে এসে বাচ্চাকে আমার হাতে দিয়ে বলে, তোমার বৌমা আর নেই । এই বলে কাঁদতে কাঁদতে ঘরে ঢুকে যায় পিন্টু । এরপর ডাকাডাকি করেও ঘর না খোলায় প্রতিবেশীদের খবর দিই । দরজা ভাঙতেই দু'জনের মৃতদেহ দেখা যায় । বাড়িতে কোনও অশান্তি ছিল না । তবে ওদের মধ্যে মনোমালিন্য ছিল কি না, আমার তা জানা নেই ।"
অন্যদিকে, মেয়ে ও জামাইয়ের মৃত্যুতে প্রিয়াঙ্কার মা বলেন, "সকালে খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ছুটে যাই। ওদের মধ্যে বিবাদ ছিল বলে আমাদের জানা নেই । রাতে মেয়ে শুধু জানিয়েছিল, শ্বশুরমশাই তাকে রুটি করতে দেননি ৷ জামাই রুটি করার পর তারা খাবার খেয়েছিল। আমাদের মনে হচ্ছে, মেয়েকে খুন করা হয়েছে । মেয়ের শ্বশুর এই ঘটনার জন্য দায়ী । আমরা দোষীর শাস্তি চাই ।"
আরও পড়ুন : স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে রায়গঞ্জে আটক স্বামী