কৃষ্ণগঞ্জ (নদিয়া), 26 জানুয়ারি: বাঙ্কার ভর্তি ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় রবিবার ঘটনাস্থলে গেল এনসিবি'র প্রতিনিধিদল এবং বিএসএফ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি বাঙ্কারগুলি মেপেও দেখলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। কীভাবে সেখানে এই বিরাট পরিমাণে ফেনসিডিল এলো সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিএসএফ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার অন্তর্গত মাজদিয়া এলাকায় তল্লাশি শুরু করে। সেখানে পরপর তিনটি বাঙ্কার উদ্ধার করেন বিএসএফের জওয়ানরা। খুলতেই দেখা যায় বাঙ্কারের ভিতরে রয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার কাফ সিরাপ। এরপর শনিবার ওই এলাকা থেকে আরও একটি বড় বাঙ্কার উদ্ধার করে বিএসএফ। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন ঘটনাস্থলে যায় এনসিবি। পাশাপাশি বিএসএফও ফের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ৷ কীভাবে ওই এলাকায় স্থায়ীভাবে এই বাঙ্কার তৈরি সম্ভব হল তা নিয়ে উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। এমন কাণ্ড কারা ঘটাল আর কারা তাদের কী কী ভাবে সাহায্য করল তা খুঁজে বের করার কাজ শুরু হয়েছে।
এলাকাবাসীরা এখনও রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন। সূত্রের খবর, একটি জমিতে ঘর বানিয়ে চোরাচালানকারীরা মদের আসর বসাত। সেই ঘরের নীচ থেকেও উদ্ধার হয়েছে বাঙ্কার ৷ জমির মালিক অবশ্য পলাতক। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া কাফ সিরাপ সোমবার আদালতে পেশ করতে পারেন বিএসএফ এবং এনসিবি দলের প্রতিনিধিরা। এর পাশাপাশি আরও কয়েকটি সূত্র ধরে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে খবর ছিল যে একটি বাগানের মাটির নীচে কয়েকটি লোহার বাঙ্কার রয়েছে। সেই খবর পেয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালান বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের 32 নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। তল্লাশির সময় নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের মাঝদিয়া সুধীররঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ের সামনের একটি বাগানে ভিতর মাটির তলা থেকে উদ্ধার করা হয় লোহার তিনটি বাঙ্কার । বাঙ্কার খুলতেই বিএসএফের চক্ষু চড়কগাছ ৷ বাঙ্কারের মধ্যে রাখা ছিল লক্ষ লক্ষ বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ। এবার ঘটনাস্থলে গেল এনসিবি এবং বিএসএফ।