কলকাতা, 7 জানুয়ারি : আত্মহত্যা না খুন? খিদিরপুরের ওয়াটগঞ্জ থানার অন্তর্গত এক জনবহুল এলাকাতে অবস্থিত বন্ধ কারখানার মধ্যে দগ্ধ এক মহিলার মৃতদেহ ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে । ঘটনার তদন্তে নেমে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ এবং লালবাজারের হোমিসাইড শাখার তদন্তকারী অধিকারিকরাও ধন্দে ।
মৃত মহিলার পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানতে পারেনি পুলিশ ৷ তিনি এলাকারই বাসিন্দা কি না, সেই খোঁজ করছে পুলিশ । পুলিশের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়েছে ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় শৌচালয় কর্মী তুলসীরামের বয়ানের পর । তাঁর বয়ান অনুযায়ী যখন তিনি বৃহস্পতিবার সকালে শৌচালয় পরিষ্কারের কাজে ব্যস্ত ছিলেন, ঠিক তখন পাশের বন্ধ কারখানার মধ্যে থেকে তীব্র চামড়া পোড়ার গন্ধ পান । তড়িঘড়ি কারখানার মধ্যে ঢুকে তুলসীরাম দেখেন মহিলার শরীরের সামনের দিকটা দাউদাউ করে জ্বলছে । অথচ অস্বাভাবিক ব্যাপার হল যে মহিলার মুখ দিয়ে কোনও আওয়াজ বেরোচ্ছে না । জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন তুলসীরাম। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে ।
আরও পড়ুন :- জঙ্গলমহলের লোকের সঙ্গে আমার হৃদয়ের সম্পর্ক : শুভেন্দু
তদন্তকারী এক অফিসারের কথায়, তুলসীরামের এই বয়ান থেকে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হচ্ছে । "যদি আত্মহত্যা হয়ে থাকে তাহলেও তো পোড়ার জ্বালায় কোনও আওয়াজ করতেন মহিলা। অথচ ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী কোনও আওয়াজ মহিলার মুখ থেকে বেরোয়নি। তবে কী আগেই মহিলাকে খুন করা হয়েছে এবং তারপর এই বন্ধ কারখানায় এনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে । এখনও এই ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই । এটা এক নম্বর। দ্বিতীয় সন্দেহ হল যে কারখানটি বন্ধ হলেও এলাকাটি জনবহুল । একটা দেহ এনে পুড়িয়ে দেওয়া হলেও কেউ দেখল না । তবে কী এর পেছনে লুকিয়ে আছে আরও কোনও বড় চক্রান্ত । এই সব নিয়েই তদন্ত চলছে । তবে আগে দরকার মৃতার পরিচয় জানা।" বলেন তদন্তকারী ওই অফিসার ৷