কলকাতা, 13 অক্টোবর: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ফের রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকার সংঘাত। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের উচ্চতর কর্তৃপক্ষ কে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, "ওনাকে স্থির করতে হবে উচ্চতর কর্তৃপক্ষ কে ? উচ্চতর কর্তৃপক্ষ বলতে উনি কাকে বোঝাচ্ছেন, সেটা যতক্ষণ না বুঝতে পারছি, ততক্ষণ কী বলব !"
বুধবার আচমকাই ইসি বৈঠক ডাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৈঠক শুরু হবার সময় ঘরের বাইরে পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ ওঠে। অশালীন মন্তব্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন উপাচার্য। পড়ুয়াদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে অবশেষে নিজেই ধরনায় বসলেন উপাচার্য। প্রায় 18 ঘণ্টা ধরে অরবিন্দ ভবনের সামনে গাড়ি বারান্দায় ধরনা দেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার-সহ ইসির সদস্যরা। এটাই নতুন নয়, এর আগেও নতুন এই উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পরেই একাধিক বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে। সেখানে উপাচার্য তা নিরাপত্তার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। আবারও বৃহস্পতিবার উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কথা বললেন তিনি।
তবে বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে "অনভিপ্রেত" বলে মনে করলেও শুক্রবার সেই উপাচার্যকেই প্রশ্ন করলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “গণমাধ্যমে দেখলাম, উনি উচ্চতর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন। ওনাকে তো স্থির করতে হবে উচ্চতর কর্তৃপক্ষ কে ? উচ্চতর কর্তৃপক্ষ বলতে উনি কাকে বোঝাচ্ছেন, সেটা যতক্ষণ না বুঝতে পারছি, ততক্ষণ কী বলব।”
আরও পড়ুন: 'হিন্দু ধর্মের অপমান', পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তের
তবে এখানেই শেষ নয়, এর সঙ্গে নাম না করে রাজ্যপালকে আরও একবার নিশানা করলেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, “উচ্চতর কর্তৃপক্ষ মানে কী ? একমুখী, কোনও আলোচনা না চাওয়া, একটা পাগলা জগাই টাইপের, তারপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিনীত হওয়া বার্তা। নাকি উচ্চশিক্ষার প্রসারে ও প্রচারে আলোচনা করে, সমন্বয় রেখে দফতর যে কাজ করতে চাইছে তার সার্বিক প্রতিফলন ? মাননীয় উপাচার্যরা আগে ঠিক করুন, উচ্চতর কর্তৃপক্ষ মানে কী ? তারপরে নিশ্চয়ই প্রতিক্রিয়া দেব।”