কলকাতা, 13 জুলাই : নারদ তদন্তে সাক্ষী গোছানোর কাজ পুরোদমে শুরু করে দিল CBI । কলকাতা কর্পোরেশনের পর এবার পরিবহন দপ্তর ও পঞ্চায়েত দপ্তরে নোটিশ পাঠালেন তদন্তকারীরা । CBI সূত্রে এই খবর পাওয়া গেছে । তদন্তকারীরা জেরা করতে চান, পঞ্চায়েত ও পরিবহন দপ্তরের কয়েকজন কর্তাকে । সূত্রের খবর, নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিষয়ে খোঁজখবর নিতেই এই নোটিশ । তবে যে সময় এই ঘটনা ঘটেছিল, তখন সুব্রত মুখোপাধ্যায় পঞ্চায়েত মন্ত্রী আর মদন মিত্র পরিবহন মন্ত্রী ছিলেন।
নারদকাণ্ডে যে ফুটেজ সামনে এনেছিলেন ম্যাথু স্যামুয়েল, তাতে কলকাতা কর্পোরেশনে মেয়রের অ্যান্টি চেম্বারে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে । সেই সূত্রেই কলকাতা কর্পোরেশনের চার কর্মীকে ডাকা হয়েছে । কিন্তু তৎকালীন ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদ ম্যাথুকে নিয়ে 2014 সালে সুব্রতবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন । তদন্তকারীদের কাছে ম্যাথু একথা জানিয়েছেন । তাঁর দাবি, সে দিন প্রায় পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছিলেন সুব্রতকে । তদন্তকারীদের দাবি স্ট্রিং অপারেশনের ফুটেজও বলছে তেমনই । ইতিমধ্যেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা । দু'দফায় জেরা করা হয় তাঁকে । তাঁর বয়ানের ভিডিয়ো রেকর্ডিংও করা হয় । তবে তাঁর বিষয়ে পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিকদের থেকে কী জানতে চায় CBI তা এখনও পরিষ্কার নয় ।
অন্যদিকে, নারদের ফুটেজে সাত সকালে ঘুম চোখে বিছানায় শুয়ে টাকার বান্ডিল নিতে দেখা গিয়েছিল তৎকালীন পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্রকে । CBI-এর কাছে ম্যাথু দাবি করেছেন, IPS এস এম এইচ মির্জা মারফত মদনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন । যেদিন মদনের ভবানীপুরের বাড়িতে নারদ কর্তা গিয়েছিলেন, সঙ্গে ছিলেন টাইগার মির্জাও । যিনি আবার পুলিশ কর্তা মির্জার দূর সম্পর্কের ভাইও । মদন কেউ 5 লাখ টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন ম্যাথু । ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে মদনকে জেরা করা হয়েছে । CBI সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে পরিবহন ও পঞ্চায়েত দপ্তরের কয়েকজন কর্তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে নিজাম প্যালেসে ।