কলকাতা, 19 ফেব্রুয়ারি : আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তরুণ মুখগুলিকেই অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানিয়েছিল সিপিআইএম। সিপিআইএম সূত্রের খবর, এবার এরাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট ঐশী ঘোষ। প্রার্থী হতে পারেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী দীপ্সিতা ধর। হাওড়ার দীপ্সিতা এবং দুর্গাপুরের ঐশীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বলা হবে রাজ্য বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে। বেশ কয়েকদিন ধরেই দীপ্সিতা এবং ঐশী সংবাদের শিরোনামে রয়েছেন। তাঁদের আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি বামফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অনেকটাই গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। অতীতের লোকসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। হারানো জমি পুনরুদ্ধারে তাই তরুণ প্রজন্মকে ভরসা করছে বামেরা। 40 বছরের কমবয়সি তরুণ মুখকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করানোর জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে রাজ্য বামফ্রন্টের বৈঠকে।
দিল্লির জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী দীপ্সিতা ধর এবং ঐশী ঘোষ এরাজ্যে তাঁদের সক্রিয় ভূমিকা দেখিয়েছেন। বামফ্রন্টের বিভিন্ন মিটিং-মিছিলে এবং স্ট্রিট কর্নারে বক্তব্য রেখে সুবক্তার তকমা পেয়েছেন দলের পক্ষ থেকে। বামপন্থী পত্রপত্রিকায় এবং অনলাইন ম্যাগাজিনে নিয়মিত বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে শানিত লেখনি ধরেছেন এই দুই মহিলা। সম্প্রতি নবান্ন অভিযানে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন দীপ্সিতা। সহকর্মীকে পুলিশের নির্মম লাঠিপেটার হাত থেকে বাঁচাতে উদ্যত হয়েছিলেন তিনি। সাংগঠনিক দক্ষতা রয়েছে ঐশী এবং দীপ্সিতার। জানিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।
আরও পড়ুন- পরিবর্তন নয়, মানুষের অধিকারের লড়াইয়ের বার্তা সীতারামের
তিনি বলেন, " বামফ্রন্টের অভ্যন্তরীণ আলোচনার ভিত্তিতে প্রার্থী তালিকা ঠিক করা হবে। হঠাৎ করে আমার মনে হল আর আমি একজনকে প্রার্থী করে দিলাম এমনটা এই দলে হয় না। নির্দিষ্ট আলাপ-আলোচনা এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। চলতি মাসের শেষদিন ব্রিগেড সমাবেশ। তারপরেই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। সেখানেই সব জল্পনার অবসান ঘটবে। এই দলে কেউ প্রার্থী হওয়ার জন্য বিক্ষোভ দেখায় না। পার্টির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।"