কলকাতা, 3 জানুয়ারি : 31 ডিসেম্বর রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ডিগ্রি কলেজগুলিতে সহকারি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন জারি করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন । ইতিমধ্যেই অনলাইনে আবেদনগ্রহণ প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে । যা চলবে 15 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত । কিন্তু সেই বিজ্ঞপ্তিতে কত শূন্যপদ রয়েছে তা জানানো হয়নি । তবে কলেজ সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত তাদের কাছে আগের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে 427টি শূন্যপদ রয়েছে । এই বছরের শেষে শূন্যপদের সংখ্যা দু'হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে বলে মনে করছেন কমিশনের আধিকারিকরা ।
এর আগে 2018 সালে 51টি বিষয়ে সহকারি অধ্যাপক পদে নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়েছিল কলেজ সার্ভিস কমিশন । তার মধ্যে চারটি বিষয়ে কোনও শূন্যপদ ছিল না । তাই 47টি বিষয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পর 44টি বিষয়ে নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ করেছিল কমিশন । বাকি তিনটি বিষয়ের জন্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি সেই সময় । 2019 সালের জানুয়ারি মাস থেকে 2020 সালের মার্চ পর্যন্ত চলেছিল ইন্টারভিউ, প্যানেল প্রকাশ, কাউন্সেলিং ও সুপারিশ করার প্রক্রিয়া । তারপরে বাকি থাকা শূন্যপদের ভিত্তিতে চলে রি-কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া । 31 ডিসেম্বর 44টির মধ্যে 41টি বিষয়ের প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে । বাকি 3টি বিষয়ের প্যানেলের মার্চ মাস পর্যন্ত বৈধতা রয়েছে । তাই সেগুলির জন্য রি-কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া মার্চ মাস পর্যন্ত চলবে বলে জানা গিয়েছে ।
সম্প্রতি 51টি বিষয়ের মধ্যে 44টি বিষয়ে সহকারি অধ্যাপক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন জারি করেছে কলেজ সার্ভিস কমিশন । গতবারের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে 7টি বিষয়ের প্যানেল প্রকাশিত হয়নি সেগুলির ক্ষেত্রে নতুন করে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না এবার । কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই সাতটি বিষয়ের ক্ষেত্রে 2018 সালের বিজ্ঞাপনের ভিত্তিতে যে সকল প্রার্থীরা আবেদন করেছিলেন তাঁদের আবেদনগুলিকেই এই বছর গ্রাহ্য করা হবে এবং শূন্যপদ হলে তাঁদেরকে বিবেচনা করেই প্যানেল প্রকাশ করা হবে ।
নতুন বিজ্ঞাপনে দেওয়া হয়নি শূন্যপদের সংখ্যা । সেখানে বলা হয়েছে, মেধাতালিকা তথা নিয়োগের প্যানেল প্রকাশের আগে বিষয়ভিত্তিক, ক্যাটাগরিভিত্তিক ও কলেজভিত্তিক শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করে দেওয়া হবে । তবে কলেজ সার্ভিস কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, "2018 সালের বিজ্ঞাপনের ভিত্তিতে আমরা 2820টি শূন্যপদ পেয়েছিলাম । তার মধ্যে 2 হাজার 393টি শূন্যপদে আমরা প্রার্থী সুপারিশ করে দিয়েছি । ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রার্থী না পাওয়ায় 427টি শূন্যপদ এখনও পড়ে রয়েছে । অর্থাৎ আমাদের হাতে এখন 427টি শূন্যপদ রয়েছে ।"
এই 427টি শূন্যপদের সঙ্গে আগামী এক বছরের শূন্যপদ যোগ হয়ে সেই সংখ্যা দু'হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে বলে মনে করছেন কলেজ সার্ভিস কমিশনের আধিকারিকরা । এ প্রসঙ্গে ওই আধিকারিক বলেন, "আমরা 31 ডিসেম্বর 450টি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজকে বলেছি, আগামী 1 বছরের মধ্যে যত শূন্যপদ তৈরি হবে তা 31 মার্চের মধ্যে জানাতে । আমরা আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছি যাতে শূন্যপদ হয়েও পড়ে না থাকে । ফলে আমরা একদিকে আবেদনগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করলাম 427টি শূন্যপদ হাতে নিয়ে। সঙ্গে আগামী এক বছরের শূন্যপদ 450টা কলেজ থেকে চাইলাম । সব মিলিয়ে অন্তত দু'হাজারের মতো আমাদের কাছে চলে আসবে । তার ভিত্তিতে আমরা 2022-এর জানুয়ারি থেকে সুপারিশ করা শুরু করব । 2021 সালে আমরা ইন্টারভিউ করব ।"
আরও পড়ুন :ফেব্রুয়ারির মধ্যেই প্রায় 100 কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ করবে কলেজ সার্ভিস কমিশন
তবে নিয়োগের বিজ্ঞাপনে কলেজ সার্ভিস কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, যেহেতু কলেজ সার্ভিস কমিশন শূন্যপদ তৈরি করে না, তাঁরা শুধুমাত্র কলেজের রিকুইজ়িশন করা শূন্যপদের ভিত্তিতে সুপারিশ করে, তাই কোনও ক্যাটাগরি বা বিষয়ে শূন্যপদ না থাকলে তার জন্য কমিশন দায়ী হবে না ।