ETV Bharat / state

লকডাউন শিথিল হলেই মাধ্যমিকের উত্তরপত্র জমা, দু'বার করে মূল্যায়নের নির্দেশ পর্ষদের

author img

By

Published : Apr 14, 2020, 2:13 PM IST

লকডাউন শিথিল হলেই উত্তরপত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু হবে । পরীক্ষকদের উত্তরপত্রগুলি দু'বার করে চেক করে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । লকডাউনের কারণে উত্তরপত্র জমা নেওয়ার কাজ স্থগিত হয়ে যায় ।

madhyamik
মাধ্যমিক

কলকাতা, 14 এপ্রিল : 27 ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা । তারপর থেকে জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছিল উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ । আর তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কোরোনা ভাইরাস নিয়ে তৈরি পরিস্থিতি । লকডাউন ঘোষণার পর মাঝপথেই থমকে যায় মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে নম্বর জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া । তবে, যে সকল পরীক্ষকের কাছে উত্তরপত্র রয়েছে তাঁদের সেগুলি ভালো করে মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ । গতকাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে মূল্যায়ন সংক্রান্ত আরও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে মাধ্যমিকের সব পরীক্ষককে বলা হয়েছে, বাকি থাকা সব উত্তরপত্র দু'বার করে মূল্যায়ন করে নম্বর ও উত্তরপত্র জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখতে।

চলতি বছর 18 ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা ৷ চলেছিল 27 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত । এই বছর সঠিক সময়ে ফলাফল প্রকাশ করতে প্রথম থেকেই পরীক্ষকদের সময়ে মূল্যায়ন শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ । নির্দেশ অনুযায়ী জোরকদমে চলছিল কাজ । কিন্তু, তার মধ্যেই কোরোনা মোকাবিলায় লকডাউন চালুর ঘোষণা হওয়ায় 22 মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ।

madhyamik
পর্ষদের জারি করা নোটিস

জানা গেছে, প্রতিটি বিষয়ের উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে দু'টি ভাগে প্রধান পরীক্ষকদের কাছে উত্তরপত্র ও নম্বর জমা করতে হত পরীক্ষকদের । দু'টি ভাগে পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত সেই নম্বর পর্ষদের কাছে জমা করতে হত প্রধান পরীক্ষকদের । লকডাউন শুরুর আগেই প্রধান সাতটি বিষয়ের প্রথম ভাগের উত্তরপত্র ও নম্বর পরীক্ষকরা প্রধান পরীক্ষকদের কাছে জমা করে দিয়েছিলেন । কিন্তু, কোরোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় ভাগের উত্তরপত্র ও নম্বর জমা করতে পারেননি পরীক্ষকরা । প্রথম ভাগের নম্বরও প্রধান পরীক্ষকরা পর্ষদের কাছে জমা করতে পারেননি ৷

প্রথমে 15 এপ্রিল পর্যন্ত ও তারপর 10 জুন পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার । লকডাউনের সময়সীমাও বাড়িয়ে 30 এপ্রিল করা হয়েছে । এই পরিস্থিতিতে এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে দেরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল । এমনকী লকডাউনের পর মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ নিয়ে একাধিকবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর একটাই বক্তব্য, "লকডাউন না উঠলে কিছু বলতে পারব না ।"

যদিও কিছুদিন আগেই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, "মাধ্যমিকের খাতা দেখা সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে । নম্বর জমা পড়ছিল, সেই অবস্থাতে আমাদের লকডাউন শুরু হয়েছে । বর্তমানে পরীক্ষক, প্রধান পরীক্ষকরা সবাই গৃহবন্দী হয়ে গিয়েছেন । লকডাউন উঠলেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আমরা ফল প্রকাশ করার চেষ্টা করব ।" যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের যে প্রতিশ্রুতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি দিয়েছিলেন গতকাল পর্ষদের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে । বিজ্ঞপ্তিতে সব পরীক্ষককে বলা হয়েছে, "আপনাদের কাছে যে উত্তরপত্রগুলি রয়েছে সেগুলি অন্ততপক্ষে দুইবার চেক করতে অনুরোধ করা হচ্ছে । তারপর মার্কস-ফয়েলে নম্বর দিয়ে সেই মার্কস-ফয়েল ও উত্তরপত্রগুলি প্রধান পরীক্ষকদের কাছে জমা করার জন্য প্রস্তুত রাখবেন । লকডাউন শিথিল হলেই পর্ষদ নম্বর জমা দিতে বলতে পারে ।"

কলকাতা, 14 এপ্রিল : 27 ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা । তারপর থেকে জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছিল উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ । আর তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কোরোনা ভাইরাস নিয়ে তৈরি পরিস্থিতি । লকডাউন ঘোষণার পর মাঝপথেই থমকে যায় মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে নম্বর জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া । তবে, যে সকল পরীক্ষকের কাছে উত্তরপত্র রয়েছে তাঁদের সেগুলি ভালো করে মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ । গতকাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে মূল্যায়ন সংক্রান্ত আরও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে মাধ্যমিকের সব পরীক্ষককে বলা হয়েছে, বাকি থাকা সব উত্তরপত্র দু'বার করে মূল্যায়ন করে নম্বর ও উত্তরপত্র জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখতে।

চলতি বছর 18 ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা ৷ চলেছিল 27 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত । এই বছর সঠিক সময়ে ফলাফল প্রকাশ করতে প্রথম থেকেই পরীক্ষকদের সময়ে মূল্যায়ন শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ । নির্দেশ অনুযায়ী জোরকদমে চলছিল কাজ । কিন্তু, তার মধ্যেই কোরোনা মোকাবিলায় লকডাউন চালুর ঘোষণা হওয়ায় 22 মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ।

madhyamik
পর্ষদের জারি করা নোটিস

জানা গেছে, প্রতিটি বিষয়ের উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে দু'টি ভাগে প্রধান পরীক্ষকদের কাছে উত্তরপত্র ও নম্বর জমা করতে হত পরীক্ষকদের । দু'টি ভাগে পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত সেই নম্বর পর্ষদের কাছে জমা করতে হত প্রধান পরীক্ষকদের । লকডাউন শুরুর আগেই প্রধান সাতটি বিষয়ের প্রথম ভাগের উত্তরপত্র ও নম্বর পরীক্ষকরা প্রধান পরীক্ষকদের কাছে জমা করে দিয়েছিলেন । কিন্তু, কোরোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় ভাগের উত্তরপত্র ও নম্বর জমা করতে পারেননি পরীক্ষকরা । প্রথম ভাগের নম্বরও প্রধান পরীক্ষকরা পর্ষদের কাছে জমা করতে পারেননি ৷

প্রথমে 15 এপ্রিল পর্যন্ত ও তারপর 10 জুন পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার । লকডাউনের সময়সীমাও বাড়িয়ে 30 এপ্রিল করা হয়েছে । এই পরিস্থিতিতে এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে দেরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল । এমনকী লকডাউনের পর মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ নিয়ে একাধিকবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর একটাই বক্তব্য, "লকডাউন না উঠলে কিছু বলতে পারব না ।"

যদিও কিছুদিন আগেই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, "মাধ্যমিকের খাতা দেখা সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে । নম্বর জমা পড়ছিল, সেই অবস্থাতে আমাদের লকডাউন শুরু হয়েছে । বর্তমানে পরীক্ষক, প্রধান পরীক্ষকরা সবাই গৃহবন্দী হয়ে গিয়েছেন । লকডাউন উঠলেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আমরা ফল প্রকাশ করার চেষ্টা করব ।" যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের যে প্রতিশ্রুতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি দিয়েছিলেন গতকাল পর্ষদের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে । বিজ্ঞপ্তিতে সব পরীক্ষককে বলা হয়েছে, "আপনাদের কাছে যে উত্তরপত্রগুলি রয়েছে সেগুলি অন্ততপক্ষে দুইবার চেক করতে অনুরোধ করা হচ্ছে । তারপর মার্কস-ফয়েলে নম্বর দিয়ে সেই মার্কস-ফয়েল ও উত্তরপত্রগুলি প্রধান পরীক্ষকদের কাছে জমা করার জন্য প্রস্তুত রাখবেন । লকডাউন শিথিল হলেই পর্ষদ নম্বর জমা দিতে বলতে পারে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.