জলপাইগুড়ি, 6 ফেব্রুয়ারি: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার ৷ বুধবার বিকেলে জলপাইগুড়ির বেরুবাড়িতে ওই মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ মৃতের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ৷ তিনি কি ভারতীয়, নাকি বাংলাদেশের বাসিন্দা, আপাতত সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ ও বিএসএফ ৷
জলপাইগুড়ি জেলার বেরুবাড়ি-2 গ্রাম পঞ্চায়েতের ছয়ঘরিয়া পাড়ায় একটি চা-বাগানের মালিক অশোক রায় ৷ বাগানটি একেবারে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থিত৷ অশোক রায় বলেন, ‘‘চা-বাগানে জল দেওয়ার সময় দেখি মৃতদেহ পড়ে আছে । মৃতদেহ কোথাকার আমি জানি না । আমরা বিএসএফ-কে গোটা ঘটনাটি জানাই যে কয়েকদিনের পচাগলা মৃতদেহ পড়ে রয়েছে চা-বাগানের ভেতরে ৷’’
তিনি জানান, এর পর বিএসএফ জওয়ানরা ঘটনাস্থলে আসেন ৷ তার পর তাঁরা খবর দেন মানিকগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে ৷ সেখান থেকে পুলিশ আসে ৷ পরে কোতোয়ালি থানার পুলিশও আসে ৷ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ৷ কোতয়ালি থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে ৷ কোতোয়ালি থানার একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে মৃতের আনুমানিক বয়স 50 ৷ তবে তাঁর পরিচয় জানা যায়নি ৷
যেহেতু সীমান্তে দেহটি পড়েছিল, তাই মৃত ব্যক্তি ভারত কিংবা বাংলাদেশের নাগরিক হতে পারেন ৷ পুলিশ জানিয়েছে, সেই কারণে দু’দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ ভারতের দিকের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে যেমন খোঁজখবর করা শুরু হয়েছে, তেমনই বাংলাদেশকেও জানানো হয়েছে ৷ জলপাগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে জানান, বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে মৃতদেহ শনাক্তকরণ করার জন্য ৷
তবে বাংলাদেশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম আব্দুল খালেক মানু ৷ তিনি বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বড় বোদা উপজেলার শশী ইউনিয়নের প্রধান পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ৷ ওই গ্রামটিও সীমান্ত সংলগ্ন ৷ তিনি গত তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ৷ এপারে দেহ উদ্ধার নিয়ে যখন হইচই হচ্ছে, সেই সময় ওপারে জিরো পয়েন্টে আব্দুল খালেকের পরিবারও ছুটে আসে ৷
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে আব্দুল খালেকের মেয়ে প্রভা আখতার বলে, ‘‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নদীর ওপারে আমি বাবার কাপড় দেখে আমি বাবাকে চিনতে পেরেছি । মৃতদেহ বিএসএফ নিয়ে চলে গিয়েছে ।’’