কলকাতা, 10 ফেব্রুয়ারি: একাধিক সময় অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ বিভাগের পুলিশকর্মীরা । সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা ভবানীপুর এলাকায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে নিজেকে সিবিআই আধিকারিক পরিচয় দিয়ে 50 লক্ষ টাকা ডাকাতির ঘটনা ঘটে ৷ সেখানে উঠে আসে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ বিভাগের এক পুলিশ কনস্টেবলের নাম । এছাড়াও অতীতের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্পেশাল ব্রাঞ্চের নাম । এ বার এই নিয়ে কলকাতা পুলিশের নগরপালের (Vineet Goyal) নির্দেশে কড়া পদক্ষেপ (Strict Action for Cops) করল স্পেশাল ব্রাঞ্চ ।
সার্ভিস রিভলবার কাজের শেষে জমা দেওয়ার নির্দেশ: জানা গিয়েছে, দিনের শেষে ডিউটি হস্তান্তর করার সময় নিজের সার্ভিস রিভলবার জমা দিতে হবে পুলিশকর্মীদের এবং এটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । যদিও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলির সঙ্গে এই নির্দেশের কোনও যোগ রয়েছে কি না, সেই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন লালবাজারের কর্তারা ।
সম্প্রতি ডাকাতি এবং শহরে তোলাবাজির মতো ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের চারজন পুলিশকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন । ফলে খোদ পুলিশ মহলেই এখন গুঞ্জন শুরু হয়েছে যে, পুলিশের এই দৌরাত্ম্য ঠেকাতেই হয়তো নগরপালের (Kolkata Police commissioner) এই নির্দেশ ।
কী নির্দেশ নগরপালের: এই নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রতিদিন কাজের শেষে অফিসে আগ্নেয়াস্ত্রাগারে নিজেদের সার্ভিস রিভলবার জমা দিতে হবে পুলিশকর্মীদের এবং খাতায়-কলমে তার রেকর্ড রাখতে হবে । সম্প্রতি একটি পরিসংখ্যান থেকে কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল জানতে পারেন যে, সার্ভিস রিভলবার ঠিকমতো জমা পড়ছে না । পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মতে, যদি সার্ভিস রিভলবার ঠিক সময়মতো জমা না পড়ে তাহলে তা ব্যবহার করে একাধিক অনৈতিক কর্মকাণ্ড হতে পারে ।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক কারণে এক কোটি টাকা পাচার ? তদন্তে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ
নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হল: যদিও স্পেশাল ব্রাঞ্চ সূত্রের খবর, এই নির্দেশ নতুন কিছু নয় । কলকাতা পুলিশে আগে থেকেই এই নিয়ম বলবৎ ছিল । কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই নিয়ম অনেকেই মানছিলেন না । তবে এই নিয়ম এ বার বাধ্যতামূলকভাবে চালু হয়ে গিয়েছে ।
সম্প্রতি ভবানীপুরের ডাকাতির ঘটনায় তদন্ত নেমে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার হাতে গ্রেফতার হন কলকাতা পুলিশেরই স্পেশাল ব্রাঞ্চের এক পুলিশ কর্মী । এছাড়াও কয়েক বছর আগে মধ্য কলকাতায় তোলাবাজির ঘটনার তদন্তে নেমে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল কলকাতা পুলিশের অপর একজন পুলিশ কনস্টেবল, যিনি সেই সময় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে ছিলেন ।