ETV Bharat / state

যাদবপুরে ফের ছাত্র বিক্ষোভ, ক্যাম্পাসে রাত কাটালেন উপাচার্য - vc

যাদবপুরে ফের ছাত্র বিক্ষোভ, ক্যাম্পাসে রাত কাটালেন উপাচার্য

প্রদীপ কুমার ঘোষ
author img

By

Published : Mar 19, 2019, 11:34 PM IST

কলকাতা, ১৯ মার্চ: " আজ পর্যন্ত বিভিন্ন আধিকারিক এবং মাস্টারমশাইরা এই নিয়ে মোট পাঁচবার ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাত কাটাতে বাধ্য হলেন। প্রতিটা ক্ষেত্রে ছাত্র ছাত্রীরা দাবি করে, তাদের দাবি এখনই মানতে হবে। এটা কোনও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া হতে পারে? " গতকাল ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাত কাটানো নিয়ে একথা বললেন যাদপুরের সহ-উপাচার্য প্রদীপ কুমার ঘোষ।

গতরাতে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাত কাটাতে বাধ‍্য হন যাদপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। গতকাল দুপুর ২টায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের (EC) বৈঠক শুরু হয়। সেখানে নিজেদের দাবিদাওয়া পেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। EC-র সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনাও হয় ছাত্রছাত্রীদের। কিন্তু, কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনও সদুত্তর না পাওয়ায় রাত দেড়টা পর্যন্ত EC বৈঠক চলে। কিন্তু, কোনও সমাধানে আসতে পারেনি কোনও পক্ষই। নিজেদের দাবি বা প্রশ্নের সদুত্তর না পাওয়ায় বাইরে অবস্থান চালিয়ে যায় ছাত্রছাত্রীরা। EC-তে কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়েই বৈঠক শেষ করে পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান EC-র সদস্যরা। ক‍্যাম্পাসে থেকে যান উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার।

নিজেদের দাবি নিয়ে এডুকেশন বিভাগের ছাত্র যিশু দেবনাথ বলেন, " বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্টার ফর ডিজ়াবিলিটিসে আর্থিক দুর্নীতি আছে। পলিসির দিক থেকেও দুর্নীতি আছে। ডিজ়াবিলিটিস স্টাডিজ় মানে ডিজ়াবিলিটিস নিয়ে গবেষণা হবে। এখানে যে গবেষণা হচ্ছে তার সঙ্গে ডিজ়াবিলিটিস-এর দূর-দূরান্ত কোনও সম্পর্ক নেই। সেই গবেষণার নাম করে UGC এবং রাষ্ট্রীয় উচ্চশিক্ষা যোজনার আওতায় এক কোটি টাকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এই দুর্নীতি কাম্য নয়। গবেষণায় অর্থ বরাদ্দের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নর্মস আছে। সেগুলি অনুসরণ করা হোক। যাদের অভিজ্ঞতা আছে ডিজ়াবিলিটিস নিয়ে, তাঁদেরকে দিয়ে গবেষণা করানো হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণকারী EC যদি এবিষয়ে বলে আমার কিছু করার নেই, তাহলে বুঝতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। "

সহ-উপাচার্য প্রদীপ কুমার ঘোষ বলেন, "সব অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য আমি এখানে বসে নেই। কালকে বহু দাবি এসেছে। ডোমিসাইল থেকে শুরু করে অন্যান্য ইশু। আমাদের দিক থেকে যতটা সম্ভব আলোচনা করার তা করা হয়েছে। কালকে একাধিক ছাত্র সংগঠন তাদের বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে। দাবি করা হচ্ছে ডিজ়াবিলিটিস স্টাডিজ় এখনই বন্ধ করে দিতে হবে। এই জাতীয় সিদ্ধান্ত EC-তে সঙ্গে সঙ্গে করা যায় না। "

সেন্টার ফর ডিজ়াবিলিটিস স্টাডিজ়ের প্রধান তথা ইংরেজি বিষয়ের অধ‍্যাপক মনোজিৎ মণ্ডল বলেন, "২৫ লাখ টাকা আমাদের দিয়েছে বাইরের একটি রিসার্চ বোর্ড থেকে। যেটায় ইউনিভার্সিটি অনুমোদন দিয়েছে। প্রজেক্টটা এসেছে। তা বলে এটা দুর্নীতি হয়ে গেল? এই মার্চ মাসে আমরা প্রজেক্টটা পেয়েছি। প্রজেক্টটা তো শুরুই হয়নি। দুর্নীতি কি করে হয়ে গেল?"


কলকাতা, ১৯ মার্চ: " আজ পর্যন্ত বিভিন্ন আধিকারিক এবং মাস্টারমশাইরা এই নিয়ে মোট পাঁচবার ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাত কাটাতে বাধ্য হলেন। প্রতিটা ক্ষেত্রে ছাত্র ছাত্রীরা দাবি করে, তাদের দাবি এখনই মানতে হবে। এটা কোনও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া হতে পারে? " গতকাল ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাত কাটানো নিয়ে একথা বললেন যাদপুরের সহ-উপাচার্য প্রদীপ কুমার ঘোষ।

গতরাতে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাত কাটাতে বাধ‍্য হন যাদপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। গতকাল দুপুর ২টায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের (EC) বৈঠক শুরু হয়। সেখানে নিজেদের দাবিদাওয়া পেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। EC-র সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনাও হয় ছাত্রছাত্রীদের। কিন্তু, কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনও সদুত্তর না পাওয়ায় রাত দেড়টা পর্যন্ত EC বৈঠক চলে। কিন্তু, কোনও সমাধানে আসতে পারেনি কোনও পক্ষই। নিজেদের দাবি বা প্রশ্নের সদুত্তর না পাওয়ায় বাইরে অবস্থান চালিয়ে যায় ছাত্রছাত্রীরা। EC-তে কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়েই বৈঠক শেষ করে পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান EC-র সদস্যরা। ক‍্যাম্পাসে থেকে যান উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার।

নিজেদের দাবি নিয়ে এডুকেশন বিভাগের ছাত্র যিশু দেবনাথ বলেন, " বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্টার ফর ডিজ়াবিলিটিসে আর্থিক দুর্নীতি আছে। পলিসির দিক থেকেও দুর্নীতি আছে। ডিজ়াবিলিটিস স্টাডিজ় মানে ডিজ়াবিলিটিস নিয়ে গবেষণা হবে। এখানে যে গবেষণা হচ্ছে তার সঙ্গে ডিজ়াবিলিটিস-এর দূর-দূরান্ত কোনও সম্পর্ক নেই। সেই গবেষণার নাম করে UGC এবং রাষ্ট্রীয় উচ্চশিক্ষা যোজনার আওতায় এক কোটি টাকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এই দুর্নীতি কাম্য নয়। গবেষণায় অর্থ বরাদ্দের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নর্মস আছে। সেগুলি অনুসরণ করা হোক। যাদের অভিজ্ঞতা আছে ডিজ়াবিলিটিস নিয়ে, তাঁদেরকে দিয়ে গবেষণা করানো হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণকারী EC যদি এবিষয়ে বলে আমার কিছু করার নেই, তাহলে বুঝতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। "

সহ-উপাচার্য প্রদীপ কুমার ঘোষ বলেন, "সব অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য আমি এখানে বসে নেই। কালকে বহু দাবি এসেছে। ডোমিসাইল থেকে শুরু করে অন্যান্য ইশু। আমাদের দিক থেকে যতটা সম্ভব আলোচনা করার তা করা হয়েছে। কালকে একাধিক ছাত্র সংগঠন তাদের বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে। দাবি করা হচ্ছে ডিজ়াবিলিটিস স্টাডিজ় এখনই বন্ধ করে দিতে হবে। এই জাতীয় সিদ্ধান্ত EC-তে সঙ্গে সঙ্গে করা যায় না। "

সেন্টার ফর ডিজ়াবিলিটিস স্টাডিজ়ের প্রধান তথা ইংরেজি বিষয়ের অধ‍্যাপক মনোজিৎ মণ্ডল বলেন, "২৫ লাখ টাকা আমাদের দিয়েছে বাইরের একটি রিসার্চ বোর্ড থেকে। যেটায় ইউনিভার্সিটি অনুমোদন দিয়েছে। প্রজেক্টটা এসেছে। তা বলে এটা দুর্নীতি হয়ে গেল? এই মার্চ মাসে আমরা প্রজেক্টটা পেয়েছি। প্রজেক্টটা তো শুরুই হয়নি। দুর্নীতি কি করে হয়ে গেল?"


Intro:কলকাতা, ১৯ মার্চ: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য রেজিস্ট্রারের ঘেরাও হয়ে থাকা কোন নতুন বিষয় নয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ছাত্রদের দাবি মারিয়ে যেতে বলায় কার্যত তিন রাত ঘেরাও হয়ে থাকতে হয় সহ-উপাচার্যকে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত মোট পাঁচবার এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হতে হল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ‍্যাপক, কর্তৃপক্ষকে। আর এই পরিস্থিতিতেই ছাত্রদের আন্দোলনের ধরনের গণতান্ত্রিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সহ-উপাচার্য। তাঁর প্রশ্ন, ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন কতটা গণতান্ত্রিক?


Body:গতকাল দুপুর ২টোয় শুরু হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের (ইসি) বৈঠক। সেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা সেন্টার ফর ডিস‍্যাবিলিটিস স্টাডিজে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ আনে। কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সদুত্তর না পাওয়ায় বাইরে অবস্থান চালিয়ে যান তাঁরা। রাত ১:৩০ পর্যন্ত ইসি বৈঠক হওয়ার পরেও অভিযোগ নিয়ে কোনও সমাধানসূত্র না বের হওয়ায় ক‍্যাম্পাসেই রাত কাটান উপাচার্য সুরঞ্জন দাশ, সহ-উপাচার্য প্রদীপ কুমার ঘোষ, রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ নিয়ে সহ-উপাচার্য প্রদীপ কুমার ঘোষ বলেন, "সব অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য আমি এখানে বসে নেই। কালকে বহু দাবি এসেছে। ডোমিসাইল থেকে শুরু করে অন্যান্য ইস‍্যু। আমাদের দিক থেকে যতটা সম্ভব আলোচনা করার তা করা হয়েছে। আর দাবি তো একটা পক্ষের শুনলে হবে না। সমস্ত পক্ষের দাবি আমরা একসাথে নিয়ে বসেছিলাম। কালকে একাধিক ছাত্র সংগঠন তাদের বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে। যেমন, ডোমিসাইল নিয়েই আমাদের তিনটি পক্ষের চিঠি এসেছিল। তাতে দুটো মত পোষণ করছেন। দুটো দল মনে করেছেন ডোমিসাইল থাকবে। আর একটা দল মনে করেছে ডোমিসাইল চালুর আগে স্টুডেন্টদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। সেই ইস্যুটা আমরা সমাধান করেছি। এই শেষ পর্বে এসে যে ইস্যুতে আমাদের কথা হচ্ছে যে, একটি সেন্টার আছে নামকরা, সেন্টার ফর ডিসেবিলিটি স্টাডিজ, সেটাকে এক্ষুনি বন্ধ করে দিতে হবে। এই জাতীয় আলোচনা ইসিতে সঙ্গে সঙ্গে করা যায় না। আমাদের এটাও একটা অন্যান্য সংগঠনের দাবির ভিত্তিতে আমরা ভেবে রেখেছি যে সমস্ত সেন্টারগুলো এবং কিছু কিছু স্কুলে যেগুলো কোর্স অফার করে তাদের অ্যাক্টিভিটি আমরা পর্যালোচনা করব। একটা পর্যালোচনা কমিটি গঠন করব। সেই রিভিউ কমিটিকে সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হোক যে কোন কোন সেন্টারের অ্যাক্টিভিটি আপ টু ডেট আছে বা অন্য কিছু আছে। সবকিছু নিয়ে ভাবনাচিন্তা হবে।"

সেন্টার ফর ডিস‍্যাবিলিটিস স্টাডিজ নিয়ে প্রদীপবাবু বলেন, "আর একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না এই সেন্টারটা বহু দিন আগে তৈরি হয়েছিল হেপসন নামে। তারপর পরবর্তীকালে বিভিন্ন রকম পরিবর্তনের পেক্ষাপটে এবং ইউজিসি, ইউটির সাহায্যে কাজটা চলে আসছে। টেনিওর বলে কোনও কিছু সেন্টারের হয় না। সেন্টারের দীর্ঘমেয়াদি টেনিওর হয়। যখন ইউনিভার্সিটি মনে করবে এই সেন্টারটাকে বন্ধ করতে হবে তখন বন্ধ হয়। সুতরাং, টেনিওর বলে কিছু হয় না। এটা হতে পারে যে, একটা পার্টিকুলার প্রজেক্ট যদি সে পেয়ে থাকে তাহলে তার টেনিওর শেষ হয়ে যাবে। প্রজেক্ট শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু তার মানে সেন্টারটা উঠে যাবে না। সুতরাং, ওই নিয়ে আমি আর ব্যাখ্যায় যাব না।"

সহ-উপাচার্য ছাত্রদের এই আন্দোলন কতটা গণতান্ত্রিক তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি।বলেন, "আমি যে ব্যাখ্যায় যাব সেটা হল, গত ১৯ তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন আধিকারিক এবং মাস্টারমশাইরা মিলে মোট পাঁচবার এই জাতীয় ঘটনার সম্মুখীন হলেন। এবং প্রতিটা ক্ষেত্রে আমাদের দাবি এক্ষুনি মানতে হবে। এটা কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া হতে পারে কিনা এইটা আমার প্রশ্ন। দ্বিতীয়ত, কালকে অনেক দাবি যখন উঠেছে, তার মধ্যে গণতান্ত্রিকতা নিয়ে প্রশ্ন আসতেই হবে। তার কারণ, এমন প্রশ্নও উঠেছে যে আমরা সিলেকশন কমিটি অফ টিচার্সে ছাত্র প্রতিনিধি চাই। সাইন্সের ইস্যুতেই এসেছে, কিন্তু ইস্যুটা এসেছে। আমরা আগেও বলেছি ইলেকশন নিয়ে যে মূল ইস্যুটার সময় ছিল, অবশ্য কালকে ইলেকশন নিয়ে কোন বক্তব্যই আসেনি। সেখানে আমরা বারবার করে বলেছি, একটা স্টেট অ্যাক্ট এবং স্টেট ডাইরেকশনে ইলেকশন বন্ধ আছে। যতক্ষণ না সেটা ডিকটেক্ট হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অফিস ওন করা সম্ভব নয়। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় যেটা করেছে সেটা হচ্ছে, ইউনিয়ন কন্টিনিউ করেছে এক নম্বর। দুই নম্বর একটা স্টেকহোল্ডার ফর্ম করে তাঁদের বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল‍। সেই বক্তব্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে বিশ্ববিদ্যালয় কতটা যেতে পারে? এই প্রশ্নগুলো কিন্তু আজকে আসা দরকার আছে এবং মানুষের বোঝার দরকার আছে। সুতরাং, এর বাইরে আর নতুন করে কিছু বলার নেই। আমাদের তো প্রতিপক্ষ বলে তো কিছু নেই, ছাত্ররা আমাদের কাছে প্রতিপক্ষ নয়। কিন্তু যখনই আন্দোলন করবে তার গণতান্ত্রিকতা নিয়ে যে প্রশ্নটা অন্যের ক্ষেত্রে তুলছি সেটা তাদের গণতান্ত্রিকতা খর্ব হচ্ছে, অন্যদের গণতান্ত্রিকতা খর্ব হচ্ছে কিনা সেই ব্যাপারটা কেন আমরা আলোচনা করব না? এটা কিন্তু আজকে ভীষণ ভাবে প্রশ্নের মধ্যে আসছে। আমি মনে করি যে আমি অভিযোগ করতেই পারি যে কোন অভিযোগ একটা জায়গা আছে তার সময়ের ব্যাপার আছে তাকে পর্যালোচনা ব্যাপার আছে সেই পর্যালোচনায় হতে দিতে সময় দিতে হবে। এটা ওভার নাইট বা ওভার দ্য টেবিল করা সম্ভব নয় এটা করতেই হবে বললে। এই হচ্ছে আমার বক্তব্য।"

সহ উপাচার্য প্রদীপ কুমার ঘোষ জানিয়েছেন এই সেন্টার কুড়ি কাজকর্ম পর্যালোচনা করতে একটি পর্যালোচনা কমিটি তৈরির সিদ্ধান্ত গতকালের বৈঠকে হয়ে গিয়েছে। পড়ুয়াদের কোনও অভিযোগ থাকলে সেই পর্যালোচনা কমিটিকে করা উচিত বলে মনে করছেন তিনি। প্রদীপবাবু বলেন, "আমি মনে করি, যা সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি সেটা ফলপ্রসূ করতে আমাদের সময় দাও। এই রিভিউ কমিটির কাছে তোমাদের ইনপুট দাও। তোমাদের যা অভিযোগ বল। আমরা সেটা চেক করব। আমাদের কাজ হচ্ছে সিস্টেমটাকে ঠিকমতো চালানো। এই সিস্টেমটাকে চালাতে গেলে এই রকম রাতারাতি কোনও সিদ্ধান্ত বা চাপে পড়ে ওভার দ‍্য টেবিল কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।"

সেন্টার ফর ডিস‍্যাবিলিটিস স্টাডিজে যে আর্থিক দুর্নীতি বা অন্য কোনও ধরনের দুর্নীতি হচ্ছে তা মানতে নারাজ এই সেন্টারের প্রধান তথা ইংরেজির অধ‍্যাপক মনোজিৎ মণ্ডল। তিনি বলেন, "দুটো অভিযোগপত্র দেখাক। ২৫ লক্ষ টাকাটা আমাদের দিয়েছে বাইরের একটি রিসার্চ বোর্ড থেকে। যেটা ইউনিভার্সিটি অনুমোদন দিয়েছে। প্রজেক্টটা শুরুই হয়নি সেটা দুর্নীতি হয় কি করে? প্রজেক্টটা এসেছে। তা বলে এটা দুর্নীতি হয়ে গেল? যদি এটা দুর্নীতি হয়, তাহলে এই দুর্নীতিটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করেছে আমাদের দিয়ে। তাহলে আমায় কেন? তোমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধরো। ওরা ইসির কাছে দাবি করেছে যে, ওরা এই প্রজেক্টটা কেন আমাদের দিয়েছে? আমরা তো যেচে নিইনি। ওরা আমাদের কাছে চেয়েছে। আমরা আবেদন করেছি একটি ফরমেটে অন্য সেন্টার যেমন অ্যাপ্লাই করে সেইভাবে প্রজেক্টটা আমাদের দিতে বলেছি। বাইরে থেকে এক্সপার্ট এসেছে, দেখেছে, তারপরে সেটা স্যাংশন করেছে। সেটা বিশ্ববিদ্যালয় রুশা কমিটি স‍্যাংশন করেছে, সরকার স‍্যাংশন করেছে। তাহলে আমরা দুর্নীতিটা কোথায় করলাম? এই মার্চ মাসে আমরা প্রজেক্টটা পেয়েছি। প্রজেক্টটা তো শুরুই হয়নি। দুর্নীতি কি করে হয়ে গেল?"




Conclusion:

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.