কলকাতা, 18 ডিসেম্বর: কর্মসমিতির বৈঠক হওয়ার পরেও সমাবর্তন ঘিরে জটিলতা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে । কর্মসমিতির বৈঠক হলেও অনুমতি মেলেনি কোর্ট বৈঠকের । যার ফলে এখনও অনিশ্চয়তায় সমাবর্তন । কারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ডিগ্রি প্রদানের মুখ্য দায়িত্বে থাকেন আচার্য । তবে সেই আচার্যের অনুমতি নেই কোর্ট বৈঠকে। ফলে ডিগ্রি প্রদানের বিষয়টি কী হবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন । যদিও ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে দৃষ্টিপাত করার জন্য আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ ।
আগামী 24 ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় হতে চলেছে সমাবর্তন অনুষ্ঠান । প্রায় 5 হাজারেরও বেশি পড়ুয়া এবার ডিগ্রি পাবেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর । এছাড়াও শোনা গিয়েছে এবার সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হবেন ইউজিসির চেয়ারম্যান জগদীশ কুমার । তবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান ঘিরে একাধিক পরিকল্পনা থাকলেও বিতর্ক কিছু ছাড়ছে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অনুষ্ঠানের । বহু টালবাহানার পর অবশেষে কর্মসমিতির বৈঠকের অনুমতি দেয় রাজ্য সরকার । সেই অনুমতি নিয়েই সোমবার বৈঠক হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে । তবে এখনও নিশ্চিত নয় সেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানের । কারণ অনুষ্ঠানের ছ'দিনের মাথায়ও হয়নি কোর্ট বৈঠক ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, "আচার্যের অনুমতির জন্য আমরা একটা চিঠি পাঠিয়েছি । আশা করছি তাতে সম্মতি জানাবেন আচার্য ।" রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোসকে যে চিঠি বিশ্ববিদ্যালয় তরফ থেকে পাঠানো হয়েছে তাতে কোর্ট বৈঠকের জন্য তিনটি দিনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে । সেই তিনদিনের মধ্যে যে কোনও একটা দিনে সম্মতি দিলে সেদিন হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কোর্ট বৈঠক তারপরে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আর কোনও জট থাকবে না । কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে আসা এই চিঠির উত্তরে আচার্য কী পদক্ষেপ করেন, সেটাই দেখার ।
আরও পড়ুন :
1 যাদবপুরের কর্মসমিতির বৈঠক ঘিরে বিতর্ক, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগ ব্রাত্যর
2 জট কাটল 'সমাবর্তনে'র, অবশেষে যাদবপুরে কর্মসমিতির বৈঠকে অনুমতি রাজ্য সরকারের