কলকাতা, 14 জুন : বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগ বিরোধী আইন মন্তব্যে পাল্টা আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ । শিশির অধিকারী একজন তৃণমূল সাংসদ । বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেও (যদিও, শিশির অধিকারী আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেননি । বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে অমিত শাহর সভায় তাঁকে দেখা গিয়েছে) সাংসদ পদটি ধরে রেখেছেন । আগে তাঁর বাবাকে আইন শেখান । রবিবার শুভেন্দুর উদ্দেশে এমনটাই মন্তব্য করলেন তিনি ।
কুণাল ঘোষ বলেন,"শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগ বিরোধী আইন বিষয়ে এতই যখন জ্ঞান তাহলে তৃণমূলকে যেন তিনি শেখানোর চেষ্টা না করে । প্রথমে তাঁর বাবা শিশিরদাকে শেখান । কারণ তিনি বিজেপিতে যোগদান করার পরেও তৃণমূল সাংসদ পদটি ধরে রেখেছেন ।" এর আগে শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ নিয়ে সরব হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ । কুণালের সাংসদ পদ খারিজের দাবি তুলেছিলেন তিনি ।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের এক মাস পর বিজেপির প্রাক্তন সহসভাপতি মুকুল রায় সপুত্র বিজেপিতে যোগ দেন । শুক্রবার তৃণমূলের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে যোগদান করেন । সেই প্রসঙ্গে রাজ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন লাগু করতে চান বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী ।
বিজেপি ছেড়ে মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফিরে যাওয়াতে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,"মুকুল রায়ের দল ছাড়াতে আমরা চিন্তিত নই । যেহেতু বিজেপি রাজ্যের একমাত্র বিরোধী দল, তৃণমূল এখন আমাদের টার্গেট করেছে । রাজ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হয়নি । দু-তিন মাস লাগলেও বিরোধী দলনেতা হওয়ার সুবাদে আমি এই আইন লাগু করে ছাড়ব ।"
তিনি দাবি করেন. মুকুল রায় প্রটোকল মেনে দল ছাড়েননি । উল্লেখ্য, তৃণমূল দল গঠনের সময় থেকে ছিলেন মুকুল রায় । 2017-এ বিজেপিতে যোগদান করেন । একুশের নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে তৃণমূল প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিধায়ক হন তিনি ।
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করে দেখাব : শুভেন্দু
এদিকে শিশির অধিকারীর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে বির্তক থাকলেও 21 মার্চ অমিত শাহের সভায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে ।