ETV Bharat / state

নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সাংসদদের সাসপেন্ড, বিজেপির বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল

Trinamool Congress: সোমবার লোকসভা থেকে 33 জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ এই তালিকায় তৃণমূল কংগ্রেসের ন’জন সাংসদ রয়েছেন ৷ এই নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বাংলার শাসক দল ৷

Trinamool Congress
Trinamool Congress
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 18, 2023, 7:42 PM IST

কলকাতা, 18 ডিসেম্বর: সংসদীয় গণতন্ত্রকে সংসদভবনই হত্যা করছে এই বিজেপি, সোমবার এই ভাষায় বিরোধী 33 জন সংসদের সাসপেনশন প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের । এ দিন এই নিয়ে দিল্লিতে প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় । একইভাবে কলকাতাতেও এই নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ । উভয়ই কাঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে ।

প্রসঙ্গত, এ দিন দিল্লিতে নবনির্মিত বঙ্গভবনে দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই বৈঠকের মাঝেই সাসপেনশনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে । এরপরই এই নিয়ে সরব হন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ।

তিনি বলেন, ‘‘ইতিপূর্বে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন-সহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল । আজ লোকসভায় 33 জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ তার মধ্যে আমাদের দলের আটজন সাংসদ রয়েছেন । ওরা গায়ের জোরে সংসদ চালাচ্ছে । আমাদের মাত্র দু’টো দাবি ছিল । একটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে এসে বিবৃতি দিন । লোকসভায় কিভাবে এত বড় নিরাপত্তা লঙ্ঘন হল ?’’

সুখেন্দুশেখর রায় আরও বলেন, ‘‘তিনি প্রাইভেট চ্যানেলে বক্তব্য রাখতে পারছেন ৷ কিন্তু সংসদকে এড়িয়ে যাচ্ছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য রাখতে পারছেন ৷ কিন্তু সংসদে এসে বলতে পারছেন না । সংসদ চলছে ৷ অথচ এই সময় না প্রধানমন্ত্রী, না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কেউ এই বিষয়ে কিছু বলছেন । সংসদকে জানানো মানে দেশবাসীকে জানানো ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘লোকসভায় যাঁরা নির্বাচিত হয়ে আছেন, তাঁরা ভারতবর্ষের মানুষের দ্বারা নির্বাচিত হন । সংসদকে জানানো তাঁদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে । অথচ সেই কর্তব্য পালন না করে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে যে পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকার করেছে, এটা গণতন্ত্রের পক্ষে একটা ধ্বংসাত্মক প্রক্রিয়া বলে আমরা মনে করি ।’’

একই সঙ্গে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ । তিনি বলছেন, ‘‘সংসদীয় গণতন্ত্রকে সংসদভবনেই হত্যা করা হচ্ছে । কী করেছিলেন এই সাংসদেরা ? সংসদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন ৷ তার জন্য শাস্তির মুখে পড়তে হল এই সাংসদদের । অথচ বিজেপির যে সাংসদ স্মোক কাণ্ডে অনুপ্রবেশকারীদের সাহায্য করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না ।’’

কুণাল ঘোষ আরও বলেন, ‘‘আসলে এভাবে সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদ ভবনেই গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে । বিরোধী জোটকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি । তাই বিরোধী সাংসদদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে ।’’

আরও পড়ুন:

  1. এবার সাসপেন্ড অধীর-সহ 33! শীতকালীন অধিবেশন থেকে বহিষ্কৃত 9 তৃণমূল, 11 কংগ্রেস-সাংসদ
  2. লোকসভার পর রাজ্যসভা, অধিবেশনে বাধা দিয়ে সাসপেন্ড উচ্চকক্ষের 45 সাংসদ
  3. 'আমি ভাগ্যবান এই মুহূর্তে সাংসদ নই', জোট-বৈঠকের আগে কড়া প্রতিক্রিয়া মমতার

কলকাতা, 18 ডিসেম্বর: সংসদীয় গণতন্ত্রকে সংসদভবনই হত্যা করছে এই বিজেপি, সোমবার এই ভাষায় বিরোধী 33 জন সংসদের সাসপেনশন প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের । এ দিন এই নিয়ে দিল্লিতে প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় । একইভাবে কলকাতাতেও এই নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ । উভয়ই কাঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে ।

প্রসঙ্গত, এ দিন দিল্লিতে নবনির্মিত বঙ্গভবনে দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই বৈঠকের মাঝেই সাসপেনশনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে । এরপরই এই নিয়ে সরব হন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ।

তিনি বলেন, ‘‘ইতিপূর্বে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন-সহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল । আজ লোকসভায় 33 জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ তার মধ্যে আমাদের দলের আটজন সাংসদ রয়েছেন । ওরা গায়ের জোরে সংসদ চালাচ্ছে । আমাদের মাত্র দু’টো দাবি ছিল । একটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে এসে বিবৃতি দিন । লোকসভায় কিভাবে এত বড় নিরাপত্তা লঙ্ঘন হল ?’’

সুখেন্দুশেখর রায় আরও বলেন, ‘‘তিনি প্রাইভেট চ্যানেলে বক্তব্য রাখতে পারছেন ৷ কিন্তু সংসদকে এড়িয়ে যাচ্ছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য রাখতে পারছেন ৷ কিন্তু সংসদে এসে বলতে পারছেন না । সংসদ চলছে ৷ অথচ এই সময় না প্রধানমন্ত্রী, না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কেউ এই বিষয়ে কিছু বলছেন । সংসদকে জানানো মানে দেশবাসীকে জানানো ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘লোকসভায় যাঁরা নির্বাচিত হয়ে আছেন, তাঁরা ভারতবর্ষের মানুষের দ্বারা নির্বাচিত হন । সংসদকে জানানো তাঁদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে । অথচ সেই কর্তব্য পালন না করে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে যে পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকার করেছে, এটা গণতন্ত্রের পক্ষে একটা ধ্বংসাত্মক প্রক্রিয়া বলে আমরা মনে করি ।’’

একই সঙ্গে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ । তিনি বলছেন, ‘‘সংসদীয় গণতন্ত্রকে সংসদভবনেই হত্যা করা হচ্ছে । কী করেছিলেন এই সাংসদেরা ? সংসদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন ৷ তার জন্য শাস্তির মুখে পড়তে হল এই সাংসদদের । অথচ বিজেপির যে সাংসদ স্মোক কাণ্ডে অনুপ্রবেশকারীদের সাহায্য করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না ।’’

কুণাল ঘোষ আরও বলেন, ‘‘আসলে এভাবে সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদ ভবনেই গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে । বিরোধী জোটকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি । তাই বিরোধী সাংসদদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে ।’’

আরও পড়ুন:

  1. এবার সাসপেন্ড অধীর-সহ 33! শীতকালীন অধিবেশন থেকে বহিষ্কৃত 9 তৃণমূল, 11 কংগ্রেস-সাংসদ
  2. লোকসভার পর রাজ্যসভা, অধিবেশনে বাধা দিয়ে সাসপেন্ড উচ্চকক্ষের 45 সাংসদ
  3. 'আমি ভাগ্যবান এই মুহূর্তে সাংসদ নই', জোট-বৈঠকের আগে কড়া প্রতিক্রিয়া মমতার
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.