কলকাতা, 19 জুন: বাঙালির সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজভবন । আগামিকাল, 20 জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস উদযাপিত হবে রাজ্যের রাজভবনে । রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উপস্থিতিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে । আর এই পশ্চিমবঙ্গ দিবস উদযাপনের তীব্র বিরোধিতা করল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ।
বিভাজনের তত্ত্ব খাড়া করে সোমবার তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "20 জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনে রাজ্যপালের উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করছি । এরাজ্যের ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে এই তারিখটিতে 'দিবস' পালনের সম্পর্ক নেই । বিভাজনপন্থীরাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দৃষ্টিতে এই প্রচার করেন । বাংলাকে অপমান করার কোনও অধিকার রাজ্যপালের নেই ।"
কুণাল ঘোষের আরও দাবি, "প্রাদেশিক আইনসভার ভোটাভুটিতে 1947 সালের 20 জুন দুই বাংলা ভাগের বিষয়টি নির্ধারিত হয় । যদিও তার আগে 3 জুন মাউন্টব্যাটেনের পরিকল্পনা সম্প্রচারিত হয় । যার তীব্র বিরোধিতা করছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ।"
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিভিন্ন রাজ্যের রাজভবনগুলিকে সব রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয় । দেশের সংস্কৃতির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সৌজন্য বোধ বজায় রাখতে এই উদ্যোগ । এর আগে গুজরাত, সিকিম, গোয়া, মহারাষ্ট্র, কেরালা-সহ একাধিক রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজভবনে । যেখানে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রতিনিধিদের ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হয় ৷ সংশ্লিষ্ট রাজ্যের নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । বাংলার সঙ্গে সেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের যে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও এ রাজ্যে থাকতে তাদের কোন সমস্যা হচ্ছে কি না, সেই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হয়ে থাকে ।
রাজভবন সূত্রের দাবি, আগামিকাল পশ্চিমবঙ্গ দিবসের অনুষ্ঠানেও এ রাজ্যের শিক্ষা সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন । বাংলার সংস্কৃতি ইতিহাস নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হবে । তার আগে এনসিসি ক্যাডারদের উদ্যোগে শান্তি দৌড় হবে । সকাল 7টা 45 মিনিটে রাজভবনের দক্ষিণ গেট থেকে এই দৌড় শুরু হবে । 8টা 45 মিনিটে বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে রাজভবনের সেন্ট্রাল মার্বেল হলে আঁকার প্রতিযোগিতার আয়োজিত হবে ।
আরও পড়ুন: শ্যামাপ্রসাদকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গ দিবসের দাবি বিজেপির