কলকাতা, 6 জানুয়ারি: আবাস যোজনায় দুর্নীতির (Awas Yojana Scam) সুলুক সন্ধানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় দল । এই নিয়ে গতকালই মুখ খুলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । বলেছিলেন, রাজনৈতিক কারণেই রাজ্যে বারবার প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র ।
শুক্রবার তার সঙ্গে সামঞ্জস্য দেখে রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় দলকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) । এদিন রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলকে রাজনৈতিক পর্যটক আখ্যা দিয়েছেন তিনি । এদিন কুনাল ঘোষ বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল আসলে রাজনৈতিক পর্যটক । তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই বাংলায় পাঠানো হচ্ছে । সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় যে দুর্নীতি চলছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেও যে অনিয়ম চলছে । সেখানে যাওয়ার বা পর্যালোচনার কোনও প্রয়োজন মনে হয় না । কিন্তু বাংলায় বিজেপির গণসংগঠন বা শাখা সংগঠন হিসাবে কাজ করার জন্য এই রাজনৈতিক পর্যটকদের পাঠানো হয় । এখন তাঁরা টাকা বন্ধ করে দিচ্ছেন ।’’
তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘100 দিনের কাজ করার পর যাতে মানুষ টাকা না পায় তার জন্য বিজেপির নেতারা যে প্রয়াস চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলকে দেখলে রাজ্যের সাধারণ মানুষ যদি টাকা চান, যদি তাঁরা জানতে চান কেন বাংলার শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, কেন বাংলার মানুষের টাকা আটকে রেখে সস্তা পলিটিক্স হচ্ছে- এর জবাবও কিন্তু তাঁদের দিতে হবে ।’’
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির (BJP) জাতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) । তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের লোকেরা টাকা যে নিয়েছে, তার প্রমাণ প্রকাশ্যে । কিন্তু কেন্দ্রীয় দল আসতেই টাকা পয়সা, ফ্রিজ, টিভি, ট্রাক্টর সরিয়ে রাখা হয়েছে । কিন্তু এসব করে বাঁচা যাবে না ।’’
অন্যদিকে রাজ্য সিপিএমের (CPIM) তরফে কুণাল ঘোষের এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘আবাস যোজনায় যে দুর্নীতি হয়েছে তার মাত্রা ব্যাপক । লুটের পরিমাণ প্রায় 10 হাজার কোটি টাকা । আমরা বরাবরই বলে এসেছি তদন্ত হোক । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee) তো তদন্ত চাইছেন । তিনিই তো তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে মেদিনীপুরে । রাজীব, তিনিও যদি চান দুর্নীতির তদন্ত হোক, তাহলে বিরোধিতা কিসের । অভিষেকের দুর্নীতির কথা বলা আর তৃণমূলের বিরোধিতাকে কী এভাবে বলা চলে, একটা মুখ অন্যটা মুখোশ ।’’
আরও পড়ুন: আবাস দুর্নীতির তদন্তে এসে চোখ ছানাবড়া কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের !