কলকাতা, 11 এপ্রিল : এবার নতুন ফন্দি ! ব্যাঙ্ক অফিসার সেজে ফোন করা হচ্ছে বিভিন্ন মানুষকে। বলা হচ্ছে, EMI মুকুবের জন্য নির্দিষ্টভাবে আবেদন করতে হবে। কিন্তু সেই টোপ গিললেই মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে যাবেন । গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান এই চক্রের পিছনে কাজ করছে জামতাড়া গ্যাং।
ইতিমধ্যেই এমন ফোন কল বহু মানুষ পেয়েছেন। যেখানে বলা হচ্ছে, EMI মুকুবের জন্য আবেদন করতে হবে। তার সঙ্গে দিতে হবে ব্যাঙ্কের তথ্য। আর এখানেই তৈরি হয়েছে সংশয়। আদৌ কি ব্যাঙ্কের তরফে এমন কোনও ফোন আসছে? ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, এমন কোনও ফোন তাদের তরফে করা হচ্ছে না। তবে এই ফোন করছেন কারা? গোয়েন্দারা বলছে, এমন ফোন থেকে সাবধান। এই কাজ প্রতারকদের। EMI নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণার পর থেকেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রতারকরা। প্রতারণার ফাঁদ পাতছে তারা। গোয়েন্দাদের সন্দেহ এই কাজ জামতাড়া গ্যাংয়ের।
গতবছরের 16 নভেম্বর এক রেস্তরাঁ কর্তা দেবাশিস ঘোষ অভিযোগ দায়ের করেন লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানায়। জানান, তার রেস্তরাঁর নামে কেউ বা কারা গুগলে বিজ্ঞাপন দিয়েছে সেখানে দেওয়া হয়েছে একটি ফোন নম্বরও। তাঁরা অভিযোগ পেয়েছেন বহু খদ্দের ওই বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে বহু টাকা খুইয়েছেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, খদ্দেররা যখন ওই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতেন, তখন তাদের বলা হত বুকিং চার্জ হিসেবে 10 টাকা দিতে হবে। কাস্টমার মোবাইলে পাঠিয়ে দেওয়া হতো একটি লিঙ্ক। সেই লিংকে পয়সা দিতে বলা হত । 10 টাকা পাঠালেই অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যেত হাজার হাজার টাকা। সেই পদ্ধতিকে এখন কাজে লাগাচ্ছে প্রতারকরা। এমন ঘটনার পাশাপাশি গুগলে সার্চ করলে বেরিয়ে আসে অনেক ফিশিং ওয়েবসাইট। অর্থাৎ টোপ দিয়ে ছিপ ফেলে বসে থাকা। সেই টোপ গিললেই আপনি পড়বেন বিপদে। কারণ ফিশিং ওয়েবসাইটগুলোতে ক্লিক করলে আপনার ফোনের দখলে চলে যাবে ফ্রডস্টারদের কাছে। ওই একই কায়দায় EMI-র নামে শুরু হয়েছে প্রতারণা।
মূলত ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া থেকেই গোটা ভারতে পরিচালিত হয় এই ধরনের প্রতারণা চক্র। ঘরে বসেই লাখ লাখ টাকা প্রতারণা করে তারা। সেই সূত্রেই সাবধান করছেন গোয়েন্দারা। বুঝে-শুনে যেকোনও ওয়েবসাইটে ক্লিক করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।