কলকাতা, ২৬ ফেব্রুয়ারি : আজ থেকে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষার প্রথম দিনেই মোবাইল নিয়ে ধরা পড়ায় পাঁচ পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস জানান, ওই পরীক্ষার্থীদের পুরো পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
আজকের বিজ্ঞপ্তিতে সংসদের তরফে বলা হয়, প্রথম দিনের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা সার্বিকভাবে সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দু'একটি ঘটনা নজরে এসেছে। হাওড়া জেলার একজন ও মালদার চারজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার করার সময় ধরা পড়েছে। সংসদ তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
যদিও সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস বলেন, "এবিষয়ে নতুন কোনও আপডেট নেই। বিজ্ঞপ্তিতে যতটুকু আছে তার বেশি আর কিছু বলার নেই। আমরা এখনও কিছু জানাইনি। রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কোনও খবর দেওয়া হয়নি। আপাতত ওই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা বাতিল হচ্ছে। সব ডকুমেন্টস হাতে পেলে রেজিস্ট্রেশন বাতিলের বিষয়ে বলতে পারব। যা শুনছি সেই অনুযায়ী যদি ডকুমেন্টস পাওয়া যায় তাহলে রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে।"
এই বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর আগে সাংবাদিক বৈঠক করে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস জানিয়েছিলেন, ক্লাসরুমে মোবাইলসহ ধরা পড়লে সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হবে। এমন কী অপরাধের গুরুত্ব বুঝে সেই পরীক্ষার্থীর সংসদের রেজিস্ট্রেশনও বাতিল করা হবে। সেই অনুযায়ী, আজ পরীক্ষার প্রথম দিনেই পাঁচ পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আগামী পরীক্ষাগুলির জন্য পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মহুয়া দাস বলেন, "এইরকম কাজ করলে শাস্তি পেতে হবে। এটাই বার্তা হওয়া উচিত। ইনভিজিলেটররা খুব ভালো কাজ করছেন। কেউ ছাড়া পাচ্ছে না। ধরা পড়লে সেই বছরের মতো পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাবে। অথবা রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাবে।"
আজ প্রথম ভাষায় পরীক্ষা ছিল। কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা বাদে আজ মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে মুর্শিদাবাদের ফরিদপুর হাইস্কুলের ছাত্র সুব্রত সাহার পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে সংসদ।