বিধাননগর, 3 নভেম্বর: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Teacher Recruitment Scam) ধৃত মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal) আজ ফের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) দফতরে হাজিরা দিলেন ৷ গতকাল তাঁকে প্রায় এগারো ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ।
বৃহস্পতিবার সকালে ইডি দফতরে প্রবেশের সময় তাপস মণ্ডল জানান, গতকালই আরও কিছুক্ষণ থাকতে বলেছিলেন ইডি আধিকারিকরা ৷ তবে তিনি অসুস্থ বোধ করায় জানিয়েছিলেন, আজ ফের আসবেন ৷ সেই কারণে আজ ইডি দফতরে হাজিরা দেন তিনি ৷
তাপসের কথায়, "গতকাল আরও দু ঘণ্টা থাকতে বলেছিলেন (ইডি), কিন্তু যেহেতু আমার শরীর খারাপ, সেই কারণে আমি বলেছিলাম কালকে আসব । হিসেব কালই যা দেওয়ার দিয়েছি । এই টাকা আমাদের অফলাইনের লেট ফাইন । লেট ফাইন হিসেবে বোর্ডে দিয়েছিলাম ৷ এটা মানিকবাবু বলতে পারবেন সেই টাকা কী হয়েছে না হয়েছে । সেই টাকার পরিমাণ 20 কোটি 73 লক্ষের মতো । এই টাকা সরাসরি বোর্ডে যেত ৷ আমার অফিস থেকেই বোর্ডে ডেসপ্যাচ হত এই টাকা । ইলিগ্যল ফি না ৷"
আরও পড়ুন: চতুর্থবার হাজিরায় এসে বিস্ফোরক মানিক-'ঘনিষ্ঠ' তাপস মণ্ডলের
তিনি আরও বলেন, "300 টাকা অনলাইন ফি, যেটা পরে অফলাইন হয়েছে, তার সঙ্গে চার হাজার সাতশো টাকা যোগ হয়েছে । বেআইনি কী করে ? এটা আইনি পথেই করেছে বোর্ড ৷ কারণ এতগুলো ছাত্রছাত্রী আমাদের এতগুলো কলেজের সমস্যার সমাধান তো হয়েছে । এটা আইনি কি বেআইনি আমি বলতে পারব না । পর্ষদের সভাপতি তো স্বাভাবিকভাবেই ডিসিশন নিয়েছেন । যাঁরা অফলাইনে কলেজগুলোতে ভর্তি হয়েছিলেন, যেহেতু তাঁরা ডিউ টাইমে ফর্ম ফিলাপ করতে পারেননি, তাই তাঁদের ওটা অনলাইনে করে দেওয়া হয়েছে । নিয়ম কি অনিয়ম হয়েছে সেটা বোর্ড বলবে । আমাদের সমস্যা ছিল, আমরা সমস্যা তুলে ধরেছি ৷ সমাধান হয়েছে ব্যাস ।"