কলকাতা, 13 মার্চ: তিনি বিধানসভা নামক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি ৷ এমনটা বলেই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Biman Banerjee) কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । বিধানসভার অধ্যক্ষ সোমবার দাবি করেছেন, সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস জয়যুক্ত হয়েছেন তা আসলে তৃণমূলের সমর্থনেই।
এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "বিধানসভার অধ্যক্ষের কথা শুনে মনে হচ্ছে যে তিনি বিধানসভা নামক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি । বিধানসভার অধ্যক্ষ যেকোনও দলের ঊর্ধ্বে । কী বলতে হবে, আর কী বলতে হবে না, তাঁকে সেটা জানতে হবে । এর আগে কোনও লোকসভার স্পিকারের মুখ থেকে কী তিনি কখনও এই ধরনের কোন কথা শুনেছেন ? তাহলে উনি বুঝতে পারবেন যে একজন স্পিকার হিসেবে তাঁর ভূমিকাটা ঠিক কী? আমাদের বিধানসভার স্পিকার এখনও পর্যন্ত তাঁর নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।"
ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) ডিএ আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ করেন বলেন, তারা নাটক করছেন ৷ পাশাপাশি আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীরা একটি চিঠি পায় ৷ যেখানে লেখা ছিল, নাটক বন্ধ না-করলে বোমা মেরে তাদের ধরনা মঞ্চ উড়িয়ে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদারের শাসকদলের দিকে আঙুল তুলেছেন ৷ ফিরাহাদ হাকিমের মুখের কথার সঙ্গে হুমকির চিঠিতে লেখা শব্দগুলির মিলের কথা তিনি তুলে ধরেন ৷ যেখানে নাটক কথাটি লেখা রয়েছে ৷ সুকান্ত বলেন, ফিরহাদ হাকিমের মত এত বড় নেতা বা মন্ত্রী যদি এই একই শব্দ ব্যবহার করে হুমকি দেন, তাহলে তো আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হওয়াটাই স্বাভাবিক । তাছাড়া ফিরহাদ হাকিম এবং পোস্টারের লেখকের এত মনের মিল কী করে হচ্ছে সেটা আমি বুঝতে পারছি না ।"
চাকরি দুর্নীতি নিয়ে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রীকে ইডি তলব করেছে । এই বিষয় সুকান্ত মজুমদার তৃণমূলকে একহাত নেন ৷ একদিকে শওকত মোল্লাকে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা চোর চোর বলে স্লোগান দিচ্ছে ৷ অন্যদিকে পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকীকে ফুল মালা সহযোগে মানুষ অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন । এই বিষয়ে সুকান্ত জানান, বাম আমলে রাইটার্স বিল্ডিংয়ে এই শওকত মোল্লা রেজ্জাকের ঘরের বাইরে বেঞ্চ পেতে বসে থাকতেন । জি হুজুর জি হুজুর করে দৌড়াদৌড়ি করত বলে তাঁর দাবি ।
আরও পড়ুন: কোন দলে মুকুল! ফের হাইকোর্টে মামলা শুভেন্দু অধিকারীর