কলকাতা, 12 জুন : বিজেপিতে মাত্র সাড়ে তিন বছর । বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন, পেয়েছিলেন বিধায়কের পদ ৷ কিন্তু,গতকাল সেই পুরানো দলেই ফিরে এলেন মুকুল রায়(Mukul Roy) ৷ প্রবীণ এই রাজনীতিকের এই দলবদলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে ৷ মুকুল রায়ের এই দলবদলের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি সাজাতে শুরু করেছে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তবে রাজ্যের অন্য দুই বিরোধী দল কংগ্রেস এবং সিপিএম এই 'দলবদল'-র এই বিষয়টিকে লুকিয়ে থাকা নগ্ন রাজনৈতিক মূল্যবোধের অবনমনের কথা বলছে ৷
এবিষয়ে কংগ্রেস নেতা মনোজ চক্রবর্তী (Manoj Chakraborty) বলেন, "দেউলিয়াপনার নগ্ন রূপ এই দলবদলে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে ৷ বিজেপি এবং তৃণমূলের সার্বিক দেউলিয়াপনা এই ছবিতে ধরা পড়েছে ৷ একই সঙ্গে মুকুল রায়ের রাজনৈতিক মূল্যবোধের চূড়ান্ত অবনমন এই দলবদলের মধ্যে ধরা পড়েছে ৷"
আরও পড়ুন : দলে ফিরলেও মুকুলকে স্বমহিমায় দেখ যাবে কি, প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে
2017 সালে মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির খাতায় নাম লেখান ৷ ফের ফিরে আসেন তৃণমূলে ৷ তাঁর এই দলবদলের বিষয়টি নিয়ে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) প্রথমে মন্তব্য করতে রাজি হননি ৷ কিন্তু পরে মুখ খোলেন ৷ তাঁর কথায়, "এই দলবদল দেখিয়ে দিল যারা বিজেপিতে স্বচ্ছন্দ তারা তৃণমূলে স্বচ্ছন্দ । আবার যারা তৃণমূল কংগ্রেসে সাবলীল তারা বিজেপিতে স্বচ্ছন্দ ।"
তিনি আরও বলেন, "যারা ভেবেছিল বিজেপিকে রুখতে তৃণমূল কংগ্রেস একমাত্র বিকল্প, তারা ভুল ভেবেছিল । তা এদিন আরও একবার প্রমাণিত । আগেও বলেছি, এখনও বলছি, বিজেপিকে রুখতে বামপন্থা একমাত্র বিকল্প ।"
আরও পড়ুন : মমতার হাতে মুকুলের রাজনৈতিক ভাগ্য...
তবে যাই হোক, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত মুকুল রায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজনদের তালিকার অন্যতম ৷ আবার মুকুল রায়ও দলের হয়ে রাজ্যের বাইরে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতেন ৷ এসবের পরেও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ৷ পদ্মে পদ পেলেও গুরুত্ব ছিল না বলে দাবি করতে থাকেন মুকুল অনুগামীরা ৷ তাই সেখানে বেশ অস্বস্তিতেই কাটাচ্ছিলেন বলে শোনা যাচ্ছিল ৷ দলে ফিরেছেন সদ্য ৷ এবার জোড়া ফুলে তাঁর অস্বস্তি লাঘব হবে কি না তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন রাজনীতিকরা ৷