ETV Bharat / state

Dress Controversy: আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজে ফের 'পোশাক ফতোয়া', কতটা সমর্থন করছেন পড়ুয়ারা ?

Students Reaction over Dress Controversy: আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের 'পোশাক ফতোয়া' ঘিরে শোরগোল রাজ্যজুড়ে ৷ তবে এই নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে অন্যান্য কলেজের পড়ুয়ারাদের থেকে ৷ কেউ এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ৷ আবার কারও মতে, পোশাক শালীন বা অশালীন বিচার অন্য কেউ করে দিতে পারে না ৷ পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলল ইটিভি ভারত ।

Acharya Jagadish Chandra Bose College
আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজ
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 31, 2023, 7:50 PM IST

Updated : Aug 31, 2023, 8:06 PM IST

কলকাতা, 31 অগস্ট: বছরখানেকের মাথায় ফের 'পোশাক ফতোয়া' জারি করেছে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজ ৷ যাকে ঘিরে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক । তবে প্রাপ্তবয়স্কদের শালীন বা অশালীন পোশাক সম্পর্কে কেউ কিছু নিদিষ্ট করে দিতে পারে না বলে মত বিভিন্ন কলেজের একাংশ পড়ুয়ার । পাশাপাশি কলেজের এই নির্দেশিকাকে সাদরে গ্রহনও করেছেন অনেকে ৷ এ দিকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও তাঁর কথায়, পোশাকের ব্যাপারটা পড়ুয়াদের উপরই ছেড়ে দেওয়াই উচিত ৷ শিক্ষামন্ত্রী ইটিভি ভারতকে বলেন, "আমি বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানি না ৷ তবে আমার মতে ছাত্রদের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত তারা কী পোশাক পরবে এবং কী পরবে না"।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অর্ণব রক্ষিত বলেন,"এটা ঠিক আমি কোন পোশাক পরে কোথায় যাব সেটা ভাবতে হবে । কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমি কী পোশাক পড়ব সেটা কেউ আমাকে বলে দেবে । এমন অনেকেই আছে যারা রাজ্যের বাইরে থেকে এই পশ্চিমবঙ্গে পড়তে আসে । তাঁদের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে চলতে সমস্যা হয় । ফলে তাঁর যেটায় সুবিধা হয় সেই ধরনের পোশাকই তারা পরে ।" যাদবপুরের আরও এক পড়ুয়া পৌলমি প্রামাণিক বলেন,"আমি যেটায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করব সেটাই পরব । যদি শরীর দেখানোর কথা হয় তাহলে শাড়ি কোনওভাবেই শালীন পোশাক হয় না । কারণ শাড়িতে শরীরে বহু জায়গা দেখা যায় ।"

এই বিতর্কের জেরে অনেকের মত, কলেজের উচিত ইউনিফর্ম ঠিক করে দেওয়া । এই বিষয়ে স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র দীপাঞ্জন সাহা বলেন," স্কুলে আমরা একটা ইউনিফর্ম মেনে এসেছি । তাই আমার মনে হয় সব কলেজে ইউনিফর্ম থাকা উচিত । যদি ইউনিফর্ম না থাকে তাহলে আমি কাউকে ঠিক করে দিতে পারি না যে সে কী পোশাক পরবে ।" আবার অনেকে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের নির্দেশিকাকে সমর্থন করেছে ৷ তাদের মতে এই নিয়মে কোনও সমস্যা নেই । হেরিটেজ কলেজের পড়ুয়া সাইমা আহমেদ জানান, চাকরি ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় জামা কাপড় নিয়ে নিয়ম জারি থাকে । কলেজ থেকেই এই নিয়ম শুরু হলে চাকরির জীবনে সমস্যা হয় না । পোশাক সম্পর্কে এই নিয়ম থাকা উচিত ।"

এত বিতর্ক থাকলেও জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য ওম প্রকাশ যাদবের কথায়, "অধ্যক্ষ আমাদের বাবা-মায়ের মতো । তাঁরা যা বলবেন আমাদের ভালোর জন্যেই । কলেজে সত্যিই অনেকেই অশালীন পোশাক পরে আসে, যা উচিত নয় । তাই এই নিয়ম ভালোর জন্যই করা হয়েছে বলে আমি মনে করছি ।"

আরও পড়ুন: 'ছেঁড়া জিন্স বা অশালীন পোশাক পরব না', মুচলেকা দিলে তবে ভরতি জগদীশচন্দ্র বসু কলেজে! তুঙ্গে বিতর্ক

প্রসঙ্গত, ছেঁড়া জিন্স বা অশালীন পোশাক পরে কলেজে আসব না, এমন মুচলেকাতে সই করলেই তবে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজে ভরতির সুযোগ মিলছে ছাত্র-ছাত্রীদের । কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতির দাবি, "কলেজে প্রবেশ মানে সে তখন আমার এক্তিয়ারে । ফলে আমি মনে করেছি এই ধরনের পোশাক পরাটা অশালীন । তাই কোনওভাবেই এটাকে কলেজের ভিতরে বরদাস্ত করব না । কলেজের বাইরে তাঁরা যা ইচ্ছা করতে পারে ।" আর তার এই বক্তব্যের জেরে আরও একবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে কলকাতার নাম করা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৷ নির্দেশিকা ঘিরে শুরু হয়েছে জোর চর্চা ৷

কলকাতা, 31 অগস্ট: বছরখানেকের মাথায় ফের 'পোশাক ফতোয়া' জারি করেছে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজ ৷ যাকে ঘিরে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক । তবে প্রাপ্তবয়স্কদের শালীন বা অশালীন পোশাক সম্পর্কে কেউ কিছু নিদিষ্ট করে দিতে পারে না বলে মত বিভিন্ন কলেজের একাংশ পড়ুয়ার । পাশাপাশি কলেজের এই নির্দেশিকাকে সাদরে গ্রহনও করেছেন অনেকে ৷ এ দিকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও তাঁর কথায়, পোশাকের ব্যাপারটা পড়ুয়াদের উপরই ছেড়ে দেওয়াই উচিত ৷ শিক্ষামন্ত্রী ইটিভি ভারতকে বলেন, "আমি বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানি না ৷ তবে আমার মতে ছাত্রদের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত তারা কী পোশাক পরবে এবং কী পরবে না"।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অর্ণব রক্ষিত বলেন,"এটা ঠিক আমি কোন পোশাক পরে কোথায় যাব সেটা ভাবতে হবে । কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমি কী পোশাক পড়ব সেটা কেউ আমাকে বলে দেবে । এমন অনেকেই আছে যারা রাজ্যের বাইরে থেকে এই পশ্চিমবঙ্গে পড়তে আসে । তাঁদের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে চলতে সমস্যা হয় । ফলে তাঁর যেটায় সুবিধা হয় সেই ধরনের পোশাকই তারা পরে ।" যাদবপুরের আরও এক পড়ুয়া পৌলমি প্রামাণিক বলেন,"আমি যেটায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করব সেটাই পরব । যদি শরীর দেখানোর কথা হয় তাহলে শাড়ি কোনওভাবেই শালীন পোশাক হয় না । কারণ শাড়িতে শরীরে বহু জায়গা দেখা যায় ।"

এই বিতর্কের জেরে অনেকের মত, কলেজের উচিত ইউনিফর্ম ঠিক করে দেওয়া । এই বিষয়ে স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র দীপাঞ্জন সাহা বলেন," স্কুলে আমরা একটা ইউনিফর্ম মেনে এসেছি । তাই আমার মনে হয় সব কলেজে ইউনিফর্ম থাকা উচিত । যদি ইউনিফর্ম না থাকে তাহলে আমি কাউকে ঠিক করে দিতে পারি না যে সে কী পোশাক পরবে ।" আবার অনেকে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের নির্দেশিকাকে সমর্থন করেছে ৷ তাদের মতে এই নিয়মে কোনও সমস্যা নেই । হেরিটেজ কলেজের পড়ুয়া সাইমা আহমেদ জানান, চাকরি ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় জামা কাপড় নিয়ে নিয়ম জারি থাকে । কলেজ থেকেই এই নিয়ম শুরু হলে চাকরির জীবনে সমস্যা হয় না । পোশাক সম্পর্কে এই নিয়ম থাকা উচিত ।"

এত বিতর্ক থাকলেও জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য ওম প্রকাশ যাদবের কথায়, "অধ্যক্ষ আমাদের বাবা-মায়ের মতো । তাঁরা যা বলবেন আমাদের ভালোর জন্যেই । কলেজে সত্যিই অনেকেই অশালীন পোশাক পরে আসে, যা উচিত নয় । তাই এই নিয়ম ভালোর জন্যই করা হয়েছে বলে আমি মনে করছি ।"

আরও পড়ুন: 'ছেঁড়া জিন্স বা অশালীন পোশাক পরব না', মুচলেকা দিলে তবে ভরতি জগদীশচন্দ্র বসু কলেজে! তুঙ্গে বিতর্ক

প্রসঙ্গত, ছেঁড়া জিন্স বা অশালীন পোশাক পরে কলেজে আসব না, এমন মুচলেকাতে সই করলেই তবে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজে ভরতির সুযোগ মিলছে ছাত্র-ছাত্রীদের । কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতির দাবি, "কলেজে প্রবেশ মানে সে তখন আমার এক্তিয়ারে । ফলে আমি মনে করেছি এই ধরনের পোশাক পরাটা অশালীন । তাই কোনওভাবেই এটাকে কলেজের ভিতরে বরদাস্ত করব না । কলেজের বাইরে তাঁরা যা ইচ্ছা করতে পারে ।" আর তার এই বক্তব্যের জেরে আরও একবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে কলকাতার নাম করা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৷ নির্দেশিকা ঘিরে শুরু হয়েছে জোর চর্চা ৷

Last Updated : Aug 31, 2023, 8:06 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.