কলকাতা, 19 ডিসেম্বর: 12 দিন পর অনশন তুললেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা (Students of Kolkata Medical College withdraw hunger strike) ৷ পূর্ব নির্ধারিত 22 তারিখেই নির্বাচন করবেন ছাত্ররা। সোমবার থেকেই নির্বাচনের সমস্ত প্রক্রিয়া তাঁরা শুরু করবেন। সমাজের চার বিশিষ্ট নাগরিকের তত্ত্বাবধানে এই নির্বাচন হবে বলে দাবি ছাত্রদের। তাঁরা হলেন বিনায়ক সেন, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, সুজাত ভদ্র এবং অম্বিকেশ মহাপাত্র ৷ কলেজ কর্তৃপক্ষকে মেল করে এবং লিখিত আকারে আজ বা আগামিকালের মধ্যে আগামী 22 ডিসেম্বর নির্বাচনের বিষয়টি জানানো হবে ছাত্রদের তরফে। চারটি বর্ষের আড়াইশো জন করে মোট 1000 জন ভোটার রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রার্থী 20 জন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ছাত্ররা এই কলেজেরই ফাঁড়ি এবং বউবাজার থানায় লিখিত আকারে নির্বাচনের বিষয়ে জানাবেন। পাশাপাশি কলেজ কর্তৃপক্ষকে মেল করে এবং লিখিত আকারে আজ বা আগামিকালকের মধ্যে 22 তারিখ নির্বাচনের বিষয়টি জানানো হবে ছাত্রদের তরফে। ছাত্রদের আরও দাবি, নির্বাচনের জন্যে বারংবার জানানো হলেও তাঁরা কোনও পদক্ষেপ নেননি। তাই এই সিদ্ধান্ত। 1928 সালে একই কায়দায় নির্বাচন হয়েছিল। সেই ছাত্র সংসদ 1984 সাল পর্যন্ত ছিল। আবারও এই একই কায়দায় নির্বাচন করতে চলেছে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা। মেডিক্যাল কলেজের যে কোনও পড়ুয়া এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মেডিক্যালে অচলাবস্থা, কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকের মাঝেই বেরিয়ে গেলেন অধ্যক্ষ
গত 12 দিন ধরে নির্বাচনের দাবিতে ছাত্ররা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অনড় ছিলেন নিজেদের দাবিতে। অনশন চলাকালীন দু'জন পড়ুয়া অসুস্থও হয়ে পড়েন। একাধিকবার কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক হলেও সমাধানসূত্র মেলেনি । স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এসে কথা বললেও মেটেনি সমস্যা। বৈঠকের পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় । বৈঠকের মাঝপথ থেকে বেড়িয়ে যান অধ্যক্ষ। তারপর স্বাস্থ্যভবনেও একাধিক বৈঠক হয়। অবশেষে আজ সন্ধ্যা 6টা 40 নাগাদ সেই অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন ছাত্ররা।
তবে এই বিষয় কলেজ কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনও উত্তর মেলেনি। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায় জানান, সরকারি পরিকাঠামোতে এমন হয় কি না, তা আমার জানা নেই ৷ প্রতিবাদে প্রথম থেকেই পড়ুয়াদের পাশে ছিল ও তাঁদের সাহস জুগিয়েছিল এআইডিএসও ৷ এমসিসিকে'র পক্ষ থেকে 22 তারিখ নির্বাচনের ঘোষণা করা হয় ৷ বৈধতার প্রশ্ন তুলে এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না তারা ৷