কলকাতা, 20 নভেম্বর: পিএইচডির ভরতি ঘিরে সমস্যা তৈরি হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে । তালিকা প্রকাশের পরও উপাচার্য বনাম ডক্টরল কমিটির টানাপোড়েনে যাদবপুরে আটকে গেল পিএইচডিতে ভরতি । পিএইচডিতে ভরতির ক্ষেত্রে এতদিনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মানা হয়নি ইউজিসির কোনও নিয়ম ৷ এমনটাই দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ । এর জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক পড়ুয়াদের ভবিষৎ ঘিরে প্রশ্ন উঠছে শুরু করেছে ।
পিএইচডিতে ভরতির জন্য ইউজিসির নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে ৷ সেই নিয়ম অনুযায়ী, পিএইচডিতে ভরতির তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ডক্টরল কমিটি অর্থাৎ পিএইচডি অ্যাডমিশন কমিটি । ইউজিসির নিয়ম, এক জন প্রফেসরের অধীনে আটজনের বেশি গবেষণা করতে পারবেন না । কিন্তু গত কয়েক বছরে যাদবপুরের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, গবেষকের সংখ্যা উদ্বৃত্ত হলে সুপার নিউমেরিক পোস্টে তাঁদেরকে নিয়ে নেওয়া হত । সম্প্রতি উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ ডক্টরল কমিটির মিটিংয়ে যোগ দেন । তিনি কমিটির বিপরীত সিদ্ধান্তের কথা বলেন । তারপরও অ্যাডমিশন কমিটি পিএইচডিতে ভরতির তালিকাকে অনুমোদন করে ।
এরপর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে গবেষকদের নামের তালিকা বের করা হয় । সেই তালিকায় প্রকাশের পরই এর বিরোধিতা করে যাদবপুরের উপাচার্য ও কলা বিভাগ কর্তৃপক্ষ ৷ তারা এই তালিকা মানছেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় ৷ তবে যথাযথ তালিকা প্রকাশ হয়েছে বলে তা মেনে নেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । এরপরেই শুরু হয় উপাচার্য বনাম ডক্টরল কমিটির টানাপোড়েন ।
এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, "অ্যাডমিশন প্রক্রিয়ায় দেরি হয়ে গিয়েছে । জুন মাস থেকে ভরতি হওয়ার কথা ছিল । আগের প্রশাসন গুরুত্ব দিয়ে সেই কাজ করেনি । এখন বেনিয়ম দেখা যাচ্ছে । ইউজিসি গাইডলাইন মানা হয়নি । ডক্টরল কমিটিতে যাঁরা ছিলেন, আমি ভেবেছিলাম সবাই নিয়ম মেনে কাজ করবেন । কিন্তু তাঁরা যে ইউজিসির গাইডলাইন মানছেন না, এরকম হবে তা তো ভাবতেই পারিনি । সুপার নিউমেরিক করতে গিয়েছে । সেটা করতে গিয়ে ছাত্রদের ভরতিটাই প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় । এইভাবে করতে গেলে ছাত্রদের ভরতির অনুমোদনটাই বাতিল হয়ে যাবে ।"
আরও পড়ুন: