কলকাতা, 10 ডিসেম্বর: রাত পোহালেই রাজ্যে টেট (WB TET 2022) ৷ 2017 সালের পর পাঁচ বছর বাদে ফের হতে চলেছে প্রাথমিকে শিক্ষকতা করার যোগ্যতা নির্ণায়ক এই পরীক্ষা ৷ এদিকে, ইতিমধ্যেই প্রাথমিক-সহ রাজ্যের সরকারি শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির (Teacher Recruitment Scam) অভিযোগ, মামলা, তদন্ত, আন্দোলন ঘিরে তপ্ত রাজ্য রাজনীতি ৷ এমন প্রেক্ষাপটে পরীক্ষা ঘিরে যাতে নতুন করে কোনও বিতর্ক না হয়, তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ৷ ইতিমধ্যেই পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে (Exam Venue) আঁটোসাটো নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board of Primary Education) ৷ নোটিশ দিয়ে জারি করা হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ ৷ কী আছে সেই নোটিশে ?
পর্ষদের নোটিশে বলা হয়েছে,
1. কোনও পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না পরীক্ষার্থীরা
2. মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না পরীক্ষাকেন্দ্রের 'গার্ড'রাও
3. প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকবেন একজন সরকারি আধিকারিক
4. পরীক্ষাকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকের কাছেই মোবাইল জমা রাখতে হবে 'গার্ড'কে
5. বিশেষ প্রয়োজনে লগ বুকে স্বাক্ষর করে মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন গার্ডের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকারা
6. সেক্ষেত্রে কর্তব্যরত সরকারি আধিকারিকের সামনেই কথা বলে তাঁর কাছে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফের জমা দিতে হবে
7. স্থানীয় থানা থেকে প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে
8. এছাড়াও, রাজ্যের প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা ৷ এর সাহায্যে সর্বক্ষণ পরীক্ষাকেন্দ্রে নজরদারি চালানো হবে ৷
আরও পড়ুন: টেটের আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল, ইয়ারফোন লুকোনোর চেষ্টা !
উল্লেখ্য, টেট সুষ্ঠুভাবে সারতে কলকাতা পুলিশের সদর কার্যালয় লালবাজারে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে ৷ অন্য একটি কন্ট্রোল রুম থাকছে পর্ষদের কার্যালয়ে ৷ সেখান থেকে সিসিটিভি ক্য়ামেরা ও মনিটরের মাধ্যমে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে নজরদারি চালানো হবে ৷
প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কলকাতা হাইকোর্টে একের পর এক মামলা রুজু হয়েছে ৷ সেসবের সমাধান এখনও হয়নি ৷ অন্যদিকে, বছরের পর বছর নিয়োগ না-পেয়ে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন টেট উত্তীর্ণরা ৷ এরই মাঝে আবারও একটি টেট নেওয়া হচ্ছে ৷ প্রশ্ন উঠছে, 2022 সালের টেট উত্তীর্ণদের কবে এবং কীভাবে নিয়োগ করা হবে ? কারণ, হিসাব অনুসারে 2014, 2017 সালে যাঁরা পরীক্ষায় সফল হয়েছিলেন, তাঁদেরই আগে চাকরি পাওয়ার কথা ৷ কিন্তু, আইনি জটিলতায় সেই প্রক্রিয়া আপাতত বিশ বাঁও জলে ৷ তাহলে কি ওই প্রার্থীদের ডিঙিয়েই নতুনদের নিয়োগ করা হবে ? নাকি অন্য কোনও পন্থা অবলম্বন করবে পর্ষদ ? এর উত্তর আপাতত অজানা ৷