কলকাতা, 1 জানুয়ারি: অবসর নিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ডক্টর আরিজ আফতাব। 31 ডিসেম্বর ছিল তাঁর শেষ কাজের দিন। তবে নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কে হবেন, সেই সংক্রান্ত প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে পাঠাকে পারেনি রাজ্য। তার ফলে শেষমেশ কে নির্বাচনী আধিকারিক হবেন তা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে ৷
নবান্ন থেকে তিনজনের নামের তালিকা জাতীয় নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর কথা । সেখান থেকে একজনকে বেছে নেবে কমিশন। সেই তালিকাই এখনও দিল্লির নির্বাচন সদনে পৌঁছয়নি বলে জানা গিয়েছে । তবে তাঁর মানে এই পদটি ফাঁকা থাকবে তা ভাবার কোনও কারণ নেই । এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব পদ্ধতি আছে।
কোনও রাজ্যে স্থায়ী মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের নিয়োগ না হলে সবচেয়ে প্রবীণ আধিকারিককে অস্থায়ী দায়িত্ব দেওয়া হয় । সেভাবে আপতত দায়িত্বে আসছেন দিব্যেন্দু দাস। পাশাপাশি এই ধরনের ক্ষেত্রে মুখ্যসচিবের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ে দিব্যেন্দু এখন প্রবীণতম আইএএস অফিসার। তাই তাঁকেই দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন আরিজ আফতাব।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কে হবেন তা নিয়ে এই ধরনের জটিলতা এর আগে কখনও হয়নি। রাজ্যের তরফে নির্দিষ্টি সময়ে কমিশনে নামের তালিকা পৌঁছে গিয়েছে । এবারই প্রথম দেখা গেল প্রস্তাবিত নামের তালিকা কমিশনে গেল না। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অবসর নেওয়ার মেয়াদ কাছাকাছি চলে এলেই তৎপর হয় দু'পক্ষ। প্রথমে রাজ্য প্রশাসন অন্য কোন কোন আধিকারিক তাঁর জায়গায় বসতে পারেন, তা ঠিক করে তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয় কমিশনে। সেখান থেকেই একজনকে বেছে নেওয়া হয়। এবার তা হয়নি। এদিকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক না থাকলে সেই রাজ্যের মুখ্যসচিকে কয়েকটি অতিরিক্ত দায়িত্ব নিতে হয়। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ পালনের দায় তাঁর উপরে বর্তায় ।
প্রসঙ্গত, গত আট বছর রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সামলেছেন আরিজ আফতাব। 2017 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পদে আসেন তিনি । 2019 লোকসভা ও 2021 বিধানসভা এবং গত বছর লোকসভা ভোট পরিচালনা করেন তিনি । এবার তাঁর মেয়াদ শেষ হল। তবে তাঁর জায়গায় স্থায়ীভাবে কে দায়িত্বে আসবেন ? তা এখনও স্পষ্ট নয়।